ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরীফ ওসমান হাদির দাফন শেষে শাহবাগে জড়ো হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে তারা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। হাদি হত্যার প্রতিবাদে ও দায়ীদের গ্রেফতার-বিচারের দাবিতে তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
তাদের একের পর এক স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে পুরো শাহবাগ এলাকা।
শাহবাগের কিছুটা দূরে নিউ এলিফ্যান্ট রোড থেকেও মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যেতে দেখা গেছে অনেনকে।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘দিল্লী না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’, ‘মোদি না হাদি? হাদি হাদি’ স্লোগানে এলাকা প্রকম্পিত করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগ না করলে শিক্ষার্থী-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শাহবাগ এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল জলকামান ও এপিসি। এছাড়া হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মিন্টো রোড অভিমুখী সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে শায়িত করা হয়। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, ডাকসুর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ হাদির পরিবার-পরিজন উপস্থিত ছিলেন। দাফন শেষে হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এদিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা পড়ান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।