চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, দেশে–বিদেশের মানুষের দোয়া— সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি। আজ হাদির জানাজায় অংশ নিতে নানা বয়সের মানুষ আসছেন রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে। যেন বাঁধভাঙা স্রোতে ঢেউয়ে মিলিত হচ্ছে জানাজাস্থলে। ছোট ছোট বাচ্চারা এসেছেন বাবার সঙ্গে, স্বজনদের সঙ্গে এসেছেন নারীরাও।
জানাজায় আগত নারীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা হলেও যারা এসেছেন, তারা বলছেন, হাদিকে শেষ বিদায় জানাতে এখানে পুরুষের পাশাপাশি তারাও একাত্ম হতে এসেছেন।
জনসমুদ্রে বয়স্কদের তুলনায় তরুণদের উপস্থিতি অনেক বেশি লক্ষকরা যাচ্ছে। তাদের মুখে হাদিকে নিয়ে নানা স্লোগান শোনা যাচ্ছে। ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, হাদির রক্ত, বৃথা যেতে দেব না, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘হাদির খুনিদের ঠাই, এই বাংলায় হবে না’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘হাদি এখন কবরে, খুনি কেন ভারতে’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’…।
দুপুর দুইটায় জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকে দলে মানুষ আসছেন মানিক মিয়া এভিনিউতে। ঢাকার মানুষের পাশাপাশি আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ আসছেন। প্রতিটি গেট দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে তারা জানাজাস্থলে পৃরবেশ করছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজন হলে চেক করে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।
অনেকে কালো ব্যাচ কিনছেন হাদির মৃত্যুতে শোক জানাতে, অনেকে কিনছেন জাতীয় পতাকা হাদির দেশপ্রেমে একাত্মতা প্রকাশ করতে।