জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে হান্নান মাসউদের চাচা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির হাতিয়া উপজেলার সমন্বয় কমিটি প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজ হাতিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বলে থানার ওসি মো. সাইফুল আলম জানিয়েছেন।
শামছল তিব্রিজ বলেন, “আমার ভাতিজা আবদুল হান্নান মাসউদকে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারবার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি আসায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
“যেকোনো সময় তার বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। এ কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। প্রশাসনের কাছে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।”
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ‘রুপক নন্দী’ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে আবদুল হান্নান মাসউদকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া একই দিন বিকালে ‘Israt Raihan Ome’ নামের আরেকটি ফেইসবুক আইডি থেকে এনসিপির এক কর্মীর মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে হান্নান মাসউদ ও তার সহযোগীদের ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
জিডিতে সাতজনের নাম উল্লেখ করা বলা হয়। তারা হলেন- হাতিয়ার কান্তি লালের ছেলে রুপক নন্দী (২৫), চর ঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ (৪৬), তার ছেলে ইসরাত রায়হান অমি (২৭), সঙ্কর চন্দ্রের ছেলে প্রেম নাল (২৫), তোফায়েল সেরাংয়ের ছেলে নুর হোসেন রহিম (২৬), সঙ্কর চন্দ্র দাসের ছেলে বাবুলাল (৩২) ও বেলায়েত হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (৩২)।
এই সাতজন বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে আবদুল হান্নান মাসউদ ও তার সহযোগীদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। তারা যেকোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলেও ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, “হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো ঘৃণ্য অপরাধ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরাসরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্টের অপচেষ্টা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর নগ্ন হামলা।
“বিষয়টি ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে এ ধরনের অপরাধ আরও উৎসাহিত হবে। তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।”
ওসি সাইফুল আলম বলছেন, “ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণ করা হয়েছে। স্ক্রিনশটগুলো যাচাই-বাছাই করে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এমকে