পাশের উপজেলা থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
চিঠিতে ইসি জানায়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন উপলক্ষে নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল আগামী ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে। নীতিমালার আলোকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংকুলান না হলে পার্শ্ববর্তী/নিকটবর্তী উপজেলা (স্ব স্ব জেলাধীন) হতে উক্তরূপ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি দিয়েছে।
এই অবস্থায়, উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এদিকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে দায়িত্ব পালন করা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সকল কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে সংস্থাটি। সম্প্রতি ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়।
নির্বাচন কমিশনের এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন সময়ে দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে উক্ত নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের পাশাপাশি—স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তথ্য পাঠাতে হবে। এর মধ্যে উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
এছাড়া মাঠপর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তাদের—আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের তথ্যও নির্ধারিত ছকে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি; আর নিষ্পত্তি ১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি; রিটার্নিং কর্মকর্তা দ্বারা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।