ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত তথ্য সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে প্রতিবেদন আকারে তৈরি করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)-এর প্রতিনিধি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকটিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে শিগগির চিঠি দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের আর্থিক অবস্থান যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে প্রার্থীদের সব ঋণসংক্রান্ত তথ্য ‘দ্রুত, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গভাবে’ প্রস্তুত করার ওপর জোর দিয়েছে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে ঋণ শ্রেণীকরণ সংক্রান্ত প্রচলিত নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে এবং ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) ডেটাবেজে সব ঋণের সঠিক অবস্থা তুলে ধরতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সিআইবি প্রতিবেদনে এখনো বেশ কিছু ঘাটতি রয়েছে। যেমন: ঋণগ্রহীতার পুরনো পরিচয় তথ্য, ঋণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অসম্পূর্ণ তথ্য এবং লেনদেন-বহির্ভূত ক্রেডিট কার্ড ফি বকেয়া থাকার কারণে ভুল শ্রেণীকরণ।
বার্ষিক ফি, নবায়ন ফি বা এ ধরনের লেনদেন-বহির্ভূত বকেয়া চার্জের কারণে যেসব ক্ষেত্রে ঋণকে খারাপ হিসেবে শ্রেণীকরণ করা হয়েছে, সেগুলো সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী এসব দায় খেলাপি হিসেবে গণ্য হয় না।
ঋণদাতা ব্যাংকগুলোকে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী ‘খেলাপি’র সংজ্ঞা অনুসারে ঋণগ্রহীতা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কেওয়াইসি ও ই-কেওয়াইসি তথ্য অবিলম্বে হালনাগাদ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন সিআইবি-সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনজীবী নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, যেসব মামলার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা রায় হয়েছে, সেসব তথ্য সিআইবিকে জানাতে হবে, যাতে ডাটাবেজ যথাযথভাবে হালনাগাদ করা যায়।
এমকে