ক্যাটাগরি: রাজনীতি

অভ্যুত্থান-পরবর্তী ক্যাম্পাসে প্রথম লাশ উপহার দিলো ছাত্রদল: ছাত্রশিবির

অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়ে উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪–২৫ সেশনের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এই ঘটনাকে ‘ছাত্রদলের উপহার দেওয়া লাশ’ বলে মন্তব্য করেন এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই গ্রুপ ছাত্রাবাসে মাদক বিক্রি ও সেবনের মাধ্যমে আবাসিক পরিবেশকে অস্থির করে তুলছিল বলে ছাত্রদের অভিযোগ। সংঘর্ষের সময় সাকিবসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীও আক্রান্ত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাকিবের মৃত্যু হয়।

ছাত্রশিবির নেতারা বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনা কোনোভাবেই সাধারণ নয়—এটি একটি সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড। তাদের দাবি, এ ঘটনা ছাত্রদলের ‘ধারাবাহিক সহিংস রাজনীতির’ প্রতিফলন এবং হলের অভ্যন্তরে আধিপত্য বিস্তারের চর্চা এর মূল কারণ। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেন তারা।

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্রদল বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও আধিপত্যের রাজনীতি চালিয়ে আসছে। ফ্যাসিবাদী আমলে নিজেদের চরিত্র লুকিয়ে রাখলেও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে তাদের ‘হিংস্র রূপ’ আবারও প্রকাশ পেয়েছে বলে অভিযোগ সংগঠনটির।

ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় ছাত্রশিবির। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়ে সংগঠনটি নিহত সাকিবুল হাসান রানার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার