ক্যাটাগরি: জাতীয়

বেগম রোকেয়া দিবস আজ

আজ ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রোকেয়া দিবস। নারী জাগরণ ও নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৫তম জন্ম ও ৯৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে রোকেয়ার জন্ম। ১৯৩২ সালের একই দিনে তিনি কলকাতায় মারা যান। ক্ষণজন্মা মহীয়সী এই নারীর জন্ম ও মৃত্যুদিন ঘিরে প্রতিবছর পালন করা হয় রোকেয়া দিবস।

রোকেয়া দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নারীমুক্তি ও মানবাধিকার নিয়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নারীসমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।

নারীর সমানাধিকার আদায়ের দাবি রোকেয়ার সাহিত্যে জোরালোভাবে উঠে এসেছে। নারীকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁর উপলব্ধি, দর্শন ও আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবারও দিবসটি সরকারি-বেসরকারিভাবে পালন করা হবে।

‘আমরা সমাজেরই অর্ধাঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কি রূপে?’ নারী–পুরুষের সমতা ও সম–অধিকারের ভিত্তিতে সমাজ প্রতিষ্ঠার এই তাগিদ দিয়ে মহীয়সী রোকেয়া লড়েছেন নারীর জন্য।

রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোকেয়া পদক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবার রোকেয়া পদক ২০২৫ পাচ্ছেন চারজন নারী। তাঁরা হলেন নারীশিক্ষায় (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকারে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকারে নাবিলা ইদ্রিস ও নারী জাগরণে (ক্রীড়া) অবদান রাখায় ঋতুপর্ণা চাকমা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার