ক্যাটাগরি: বীমা

চাকরির প্রলোভনে প্রতারণা, পদ্মা ইসলামী লাইফের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

বেসরকারি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) সাজ্জাদ হোসেন ও জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, “সম্ভব অ্যাপস” নামের একটি প্ল্যাটফর্মে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে ফিক্সড বেতনের মিথ্যা আশ্বাস দেখানো হয়েছে এবং পরে বিভিন্ন অজুহাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রতারণার শিকার তিন ব্যক্তি সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে অর্থ ফেরত ও অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এসব চিঠিতে বলা হয়েছে, “সম্ভব অ্যাপস” নামের একটি অ্যাপ্লিকেশনে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে নির্ধারিত ঠিকানায় যান ভুক্তভোগীরা। সেখানে তারা জানতে পারেন, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত অফিসটি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়- ১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বাংলা মোটর, ঢাকা।

চিঠিতে ভুক্তভোগী নিগার সুলতানা বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাজ্জাদ হোসেন এবং জেনারেল ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান তাকে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পদে নিয়োগের আশ্বাস দেন এবং মাসিক ৪০ হাজার টাকা ফিক্সড বেতনের কথা বলেন। বিনিময়ে তারা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে দর কষাকষির মাধ্যমে নিগার সুলতানা নগদ ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা প্রদান করেন।

এতে আরও জানানো হয়, টাকা নেওয়ার পর চাকরির শর্ত পরিবর্তন করে জানানো হয়; পদটি ফিক্সড বেতনের নয়; বরং কমিশনভিত্তিক, মাসিক ১০ লাখ টাকার টার্গেট পূরণ না করলে কোনো কমিশনও প্রদান করা হবে না। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চাইলে তাকে জোরপূর্বক দুইটি জীবনবীমা পলিসি ধরিয়ে দেওয়া হয়; যা তার অনুমতি ছাড়াই তার নামে ইস্যু করা হয়েছে। উল্লেখিত দুইটি পলিসি হলো- ১. পলিসি নং: PAA-E-1423-25, মূল্য ১,৮৭,৫৩০ টাকা। ২. পলিসি নং: PAA-E-1190-25, মূল্য ৪১,২৭৫ টাকা।

একই অভিযোগ করা বাকী দুইজন হলেন- শাহনাজ পারভীন এবং নাদীয়া আক্তার। আইডিআরএ’র দেওয়া চিঠিতে শাহনাজ পারভীন বলেন, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করা হবে এবং মাসিক ৪০ হাজার টাকা ফিক্সড বেতন দেওয়া হবে। দর কষাকষির পর চাকরির আশায় শাহনাজ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, টাকা গ্রহণের পর জিল্লুর রহমান আর কোনো নিয়োগপত্র প্রদান করেননি। বরং পরে জানান, চাকরিটি কমিশনভিত্তিক এবং বীমা পলিসি করাতে না পারলে কোনো আয় হবে না, ফিক্সড বেতনও নেই।

একইভাবে অর্থ হারিয়েছেন নাদীয়া আক্তার। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, ইউনিট ম্যানেজার পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান ২২ হাজার ২৬০টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের নিকট প্রদত্ত আবেদনে আত্মসাৎ হওয়া অর্থ ফেরত প্রদান ও সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

এমকে

শেয়ার করুন:-
শেয়ার