ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশ থেকে জরুরি সহায়তা পাঠানোয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ড. হারিনী আমারাসুরিয়া। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ইউনূসকে ফোন করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আমারাসুরিয়া শ্রীলঙ্কার বিশাল অংশে শত শত মানুষের প্রাণহানি এবং ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘সহায়তা এবং সংহতির প্রকাশের জন্য’ প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ইউনূস ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি তার সমবেদনা এবং গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি শ্রীলঙ্কাকে এই সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য অতিরিক্ত জরুরি সহায়তা এবং দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যা কিছু প্রয়োজন তা করতে আমরা খুশি হবো।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীলঙ্কায় গত বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ১০ টন ত্রাণ সহায়তা পাঠায় বাংলাদেশ। এই সহায়তার মধ্যে ছিল তাঁবু, শুকনো খাবার, মশারি, ওষুধ, টর্চ লাইট, রেসকিউ হেলমেট এবং গাম বুটের মতো জরুরি সরঞ্জাম। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি দল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দেশটির রাজধানী কলম্বোয় পৌঁছান।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার প্রভাবে শ্রীলঙ্কায় সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৩৪ জন নিহত এবং অন্তত দু’শতাধিক নিখোঁজ রয়েছেন। ২০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষকে সরকার পরিচালিত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ফোনালাপের সময়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। কথোপকথনকালে সিনিয়র সচিব এবং এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।