বিশেষ তহবিলে যেসব শেয়ার কেনা যাবে না

বিশেষ তহবিলে যেসব শেয়ার কেনা যাবে না
পুঁজিবাজারে গতি ফেরানো এবং স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে গত সপ্তাহে বিশেষ তহবিল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিলের বিনিয়োগ নীতিমালায় তুলনামূলক ভাল কোম্পানিতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এটি নিশ্চিত করতে শেয়ারের যোগ্যতা হিসেবে আরোপ করা হয়েছে দুটি শর্ত। এর একটি হচ্ছে- গত তিন বছরে কমপক্ষে ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দেওয়ার ধারাবাহিক রেকর্ড এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ফ্রি ফ্লোটিং শেয়ার সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ হওয়া। শর্ত অনুসারে, বিশেষ তহবিলের টাকায় ৭০ শতাংশের বেশী ফ্রি ফ্লোট শেয়ারধারী কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারবে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের ধারণকৃত শেয়ারের বাইরে থাকা শেয়ারকেই ফ্রি ফ্লোটিং শেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই কোনো কোম্পানির ফ্রি ফ্লোট শেয়ার ৭০ শতাংশের মধ্যে থাকতে হলে উদ্যোক্তাদের কাছে ওই কোম্পানির ন্যুনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে।

সূত্র অনুসারে বর্তমানে ৭৩টি কোম্পানিতে উদ্যোক্তাদের মোট শেয়ারের পরিমাণ ৩০ শতাংশের কম। তাই বিশেষ তহবিলের টাকায় এসব কোম্পানির শেয়ার কেনা যাবে না। এর বাইরে সব কোম্পানির শেয়ারই বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত।

স্পন্সর-শেয়ারের পরিমাণ ৩০ শতাংশের কম এমন কোম্পানিগুলো হচ্ছে:- আইএফআইসি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, বে লিজিং, আফতাব অটোমোবাইলস, বিডি থাই এলুমিনিয়াম, কে এন্ড কিউ বাংলাদেশ, অ্যাপোলো ইস্পাত, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ফু-ওয়াং ফুড, ফাইন ফুড, বারাকা পাওয়ার, নর্দান জুট, দুলামিয়া কটন, তাল্লু স্পিনিং, মিথুন নিটিং, ডেল্টা স্পিনার্স, মেট্রো স্পিনিং, ম্যাকসনস স্পিনিং, জেনারেশন নেক্সট, ফ্যামিলি টেক্স, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ফার্মা এইডস, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যাল, সালভো কেমিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, বিডিকম অনলাইন, ইনটেক লিমিটেড, অগ্নি সিস্টেমস, এপেক্স ফুটওয়্যার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ফু-ওয়াং সিরামিক, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিডি সার্ভিসেস, ইউনাইটেড এয়ার, উসমানিয়া গ্লাস, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতি উদ্যোক্তাদের দায়বদ্ধতা বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ২০১১ সালে স্পন্সরদের ন্যুনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। এই বিধানটি কার্যকরের জন্য পরেও বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করা হয়।

উল্লেখ, ফ্রি ফ্লোট শেয়ার হচ্ছে একটি কোম্পানির মোট শেয়ারের এমন একটি অংশ যা সহজেই কেনাবেচা করা যায়। সাধারণত স্পন্সরদের ধারণ করা শেয়ার এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাদ দিয়ে অবশিষ্ট শেয়ারকে ফ্রি ফ্লোট শেয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। কারণ এ ধরনের শেয়ার কেনা-বেচা করার জন্য কোনো বিশেষ প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয় না।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত