বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ানো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার পরিদর্শন করে তিনি দেখেন, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল কয়েক দিন আগেও যেখানে ৯২২ টাকা ছিল, সেখানে এখন ৯৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি অসীম হালদার বলেন, কোম্পানিগুলো লিটারে ৯ টাকা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে। লিটারপ্রতি ১৮৯ টাকা যে তেল ছিল, এখন তা ১৯৮ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দামও লিটারে ৫ টাকা বেড়েছে।
দাম বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীরা সরকারকে কিছু না জানিয়েই দাম বাড়িয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা [ব্যবসায়ীরা] মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেনি।
তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগেই দরপত্রের মাধ্যমে তারা আমাদের কাছে বাজার দরের চেয়ে লিটারে ২০ টাকা কম দামে সয়াবিন তেল সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনেছি। এখন কোন যুক্তিতে তারা দাম বাড়াল, আমি জানি না।
উপদেষ্টা বলেন, খুব শিগগিরই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসবে মন্ত্রণালয়। তারা যদি দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা দেখাতে না পারেন, তবে নতুন দাম অনুমোদন দেওয়া হবে না।
সরকারের অনুমোদন ছাড়া ব্যবসায়ীরা কীভাবে দাম বাড়াল—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অক্টোবরে তেলের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু আমরা অনুমোদন দেইনি এবং বাজারও তা গ্রহণ করেনি। আমরা তাদের সঙ্গে আবারও বসব।’
রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাম স্থিতিশীল থাকবে। সম্প্রতি ছোলা, চিনি ও ডালের দামও কমেছে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিগুলো ১০ নভেম্বর সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর অনুমোদন চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়।
২৪ নভেম্বর তারা আবারও দাম সমন্বয়ের সুপারিশ করে, তবে মন্ত্রণালয় সাড়া দেয়নি।