ক্যাটাগরি: কর্পোরেট সংবাদ

বিকাশে আসা রেমিট্যান্সে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন প্রবাসীর স্বজনদের

জাপান প্রবাসী জাহানারা সুমী দৈনন্দিন কাজ শেষে বিশ্রাম নিতে নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করছিলেন। হঠাৎ একটি অনলাইন পেইজে তাঁর চোখে পড়ল বিশাল আকৃতির একটি নদীর বোয়াল মাছ বিক্রির ভিডিও। সেটি দেখেই তিনি স্মৃতিকাতর হয়ে উঠলেন- মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় বাবার আনা বড় বড় মাছের কথা, যা দেখে পুরো বাড়িতে হৈচৈ লেগে যেত। তাই আর দেরি না করে বাবার প্রিয় বোয়াল মাছ অর্ডার করে তাঁকে সারপ্রাইজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুমী।

তিনি বলেন, ঢাকায় থাকা আমার ভাইকে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাসেজ দিয়ে বোয়াল মাছ বুক করার জন্য বলি। সচরাচর এতো বড় মাছ তো আর পাওয়া যায় না! আমি জাপান থেকেই তাৎক্ষণিক ভাইয়ের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেই। এমন জরুরি মুহূর্তে বিকাশ-এর রেমিট্যান্স সেবা সত্যিই খুব স্বস্তির জায়গা। ক্যারিয়ারের তাগিদে বাবা-মা-পরিবার ছেড়ে দূর প্রবাসে থাকলেও এই ধরনের আর্থিক সেবার কল্যাণে সেই দূরত্ব অনেকটাই ঘুচে যায়।

এদিকে, সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে রেখে সংসারের প্রয়োজনে বাহরাইন-এ পাড়ি জমিয়েছিলেন চাঁদপুরের বাসিন্দা রসুল মিয়া। প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখেন অনাগত সন্তান আর স্ত্রী আকলিমার। এমনই এক ঝড়ের রাতে প্রসব বেদনা উঠে আকলিমার, সেই রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যান আত্মীয়স্বজন। এমন পরিস্থিতিতে সন্তান ও মাকে বাঁচাতে মাঝ রাতেই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তাররা। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্ত্রীর পাশে না থাকার মনোবেদনা ছিল পাহাড়সম। তবুও অপারেশনের জন্য তাৎক্ষণিক বিকাশ-এর রেমিটেন্স সেবা ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে পারায় খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় কেটে যায়, স্ত্রী-সন্তান দুইজনই সুস্থ হয়ে ফেরে বাড়ি।

হোক সংকট কিংবা আনন্দ – প্রিয়জনদের বিশেষ মুহুর্তগুলোয় পাশে থাকার চেষ্টায় প্রবাসীদের বড় বাধা সময়মতো কষ্টার্জিত রেমিটেন্স পাঠাতে না পারা। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন কোটি প্রবাসী তার প্রিয়জনদের বিশেষ মুহুর্তগুলোকে আরও অর্থবহ করে তুলছেন সরাসরি তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠিয়ে। মাত্র কয়েক ট্যাপে বিকাশ-এ রেমিটেন্স পাঠানোর সুবিধা প্রবাসীর সাথে তার পরিবারের বন্ধন আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়িয়ে সমৃদ্ধ করছে দেশের অর্থনীতিকেও।

বিদেশ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠানো এবং তা তোলার জন্য নিকটবর্তী বাজারে বা উপজেলা শহরে যাওয়া প্রবাসী এবং তার স্বজন উভয়ের জন্যই অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। এই কারণে যখন প্রয়োজন তখনই রেমিটেন্স পাঠাতে বা পেতে বিকাশ-এর রেমিটেন্স সেবায় আগ্রহ বাড়ছে প্রবাসী এবং তার প্রিয়জনদের।

দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত প্রবাসীদের কষ্টার্জিত এই রেমিটেন্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহকে গতিশীল করে রিজার্ভকে শক্তিশালী করছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সে লক্ষ্যে, প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্স পাঠানোর একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে বিকাশ। বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী ১৭৬টিরও বেশি দেশ থেকে শতাধিক আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর (এমটিও)-এর মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা, যা দেশের ২৫টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকে নিষ্পত্তির (স্যাটেলমেন্ট) মাধ্যমে নিমেষেই পৌঁছে যাচ্ছে প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। সাথে রেমিটেন্সের সাথে যোগ হয়ে যাচ্ছে সরকার প্রদত্ত প্রণোদনার অর্থও।

বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ‘লাস্ট মাইল সল্যুশন প্রোভাইডার’ হিসেবে বিকাশ-এ পাঠানো রেমিটেন্স হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাওয়ায় প্রবাসীর পরিবার-প্রিয়জনদের জীবনমান বাড়ছে। সহজে এই রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ হুন্ডিসহ অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোকে নিরুৎসাহিত করছে, পাশাপাশি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখছে। এদিকে, বিকাশ-এ আসা রেমিটেন্সের টাকা দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই মোবাইল রিচার্জ, সেভিংস, কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, এনজিওর কিস্তি দেওয়া, স্কুল-কলেজের ফি পরিশোধসহ অসংখ্য কাজে ব্যবহার করতে পারছেন প্রবাসীর স্বজনরা।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার