যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ৮৪২ কোটি ৬ লাখ টাকায় ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম ধরা হয়েছে ৩১২.২৫ মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। গত ১৮ নভেম্বর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় ৩ লাখ মেট্রিক টন গম জিটুজি পদ্ধতিতে আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম জিটুজি পদ্ধতিতে আমদানির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস হোয়াট অ্যাসোসিয়েটস গম সরবরাহের আগ্রহ ব্যক্ত করে পত্র পাঠায়। দুই দেশের মধ্যে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত প্রতি মেট্রিক টন ৩১২.২৫ মার্কিন ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে এই গম আমদানি করতে মোট ব্যয় হবে ৬ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৮৪২ কোটি ৬ লাখ ৩৩ হাজার ১০০ টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস হোয়াট অ্যাসোসিয়েটস কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই গম আমদানি করা হবে।
বৈঠকে জানানো হয়, ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৪ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ থেকে বিরত রয়েছে।