বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কনগ্লোমারেট আকিজ গ্রুপ তাদের ইলেকট্রনিক্স বিভাগে দ্রুতগতির সম্প্রসারণ, পণ্য বৈচিত্র্য এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে নতুন চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, বহুমাত্রিক দক্ষতা এবং বাজার-চালিত কৌশল বাস্তবায়নে তার সুনাম আকিজ গ্রুপের রূপান্তর-যাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
নতুন দায়িত্বে তিনি আকিজ ইলেকট্রনিক্স ডিভিশনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার অধীনে গ্লোবাল পার্টনারশিপ সম্প্রসারণ, নতুন প্রযুক্তি ও পণ্যের উন্নয়ন এবং SKD/CKD-ভিত্তিক স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচারিং সক্ষমতা দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে। পাশাপাশি উৎসবস্ত্র সংগ্রহ, মূল্য নির্ধারণ, বিতরণ নেটওয়ার্ক, ব্র্যান্ড পজিশনিং এবং আফটার-সেলস সার্ভিসসহ পুরো অপারেশনাল চক্রকে তিনি কৌশলগতভাবে পরিচালনা করছেন, যা ভবিষ্যৎ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বৃদ্ধির লক্ষ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আকিজে যোগদানের আগে মোস্তাফিজুর রহমান AUX RAC-এর কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে স্বল্প সময়েই বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া তার অন্যতম বড় সাফল্য। শক্তিশালী সেলস প্ল্যানিং, চ্যানেল ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমার-ড্রিভেন কৌশল প্রণয়নে তার দক্ষতা প্রতিষ্ঠানের বাজার অবস্থানকে দ্রুত শক্তিশালী করে। AUX-এর মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ সেক্টরে এমন অর্জন তার নেতৃত্বগুণ এবং বাস্তবায়ন সক্ষমতারই প্রমাণ।
এর আগে Zaynax Group-এ ক্যাটাগরি হেড হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি অ্যানালিটিক্স, পূর্বাভাস, ভেন্ডর ম্যানেজমেন্ট ও ক্যাটাগরি পারফরম্যান্স উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখান। তার নেতৃত্বে বাজার-সমন্বয় সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা সংগঠনের একাধিক ক্যাটাগরিতে পারফরম্যান্স উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।
নিজের কর্মজীবনের প্রতিটি ধাপেই তিনি দীর্ঘমেয়াদি মূল্য সৃষ্টি, টেকসই গ্রোথ এবং বাজার-চালিত ইনোভেশনে বিশ্বাসী। কৌশলগত নেতৃত্ব, অপারেশনাল দক্ষতা এবং ভোক্তা-কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনার সমন্বয় তার কাজের মূল ভিত্তি। সিওও হিসেবে তার নিয়োগ আকিজ গ্রুপের ইলেকট্রনিক্স ডিভিশনের ভবিষ্যৎ রূপান্তর পরিকল্পনাকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আকিজ গ্রুপ ইতোমধ্যে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স বাজারে নতুন করে নিজেদের অবস্থান গঠন করছে। এই প্রেক্ষাপটে মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অভিজ্ঞতা প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন সক্ষমতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং পণ্যের বৈচিত্র্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে- যা দেশের ইলেকট্রনিক্স বাজারে নতুন প্রতিযোগিতামূলক ভারসাম্য তৈরি করতে পারে।