ভোলা থেকে বরিশাল যাতায়াতে সেতু নির্মাণসহ ৫ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে— ভোলায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ, গ্যাস সংযোগ প্রদানসহ অন্যান্য। অবরোধের কারণে সড়কে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। পরে তারা শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় শাহবাগ থেকে বাংলামোটরমুখী সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। মিছিল নিয়ে যমুনা অভুমুখে যাত্রা শুরু হলে পুলিশ ব্যরিকেড দিয়ে তা আটকায়।
আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের প্রধান দাবি ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ। ভোলার প্রতিটা মানুষ এই দাবিকে সমর্থন করে। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য এই সেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই দাবির সঙ্গে পুরো ভোলাবাসীর সমর্থন রয়েছে। যে কারণে আমরা দাবি আদায়ের রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হয়েছি। আশা করবো, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে খুব দ্রুত ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
তারা বলেন, আমরা কয়েকদিন যাবত সেতু নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগে কর্মসূচি পালন করছি। আজ আমরা একটি মিছিল বের করেছি, যেখানে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। আমরা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন চাই। ভোলা-বরিশাল সেতু চালু হলে দুই দিকের মানুষের সংযোগ স্থাপন হবে, মানুষই খুবই উপকৃত হবে। তাই আমরা চাই সরকার আমাদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে প্রত্যাশার এই সেতু নির্মাণ করে দিক।
আন্দোলন কর্মসূচিতে ঢাকায় বসবাসরত ভোলার বাসিন্দারা নানা ব্যানার ফেস্টুনসহ উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীদের একজন ইসমাঈল সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত একটি সেতু নির্মাণ আমাদের প্রধান দাবি। যাতায়াতে আমরা চরম দুর্ভোগের শিকার হই। নদী পারাপারের ক্ষেত্রে লঞ্চের ওপরই নির্ভর করতে হয়, ফলে রাতের বেলায় যাতায়াত প্রায় অসম্ভব। চিকিৎসার জন্য কাউকে ঢাকায় আনতে হলেও অনেক সময় পুরো একটি দিন অপেক্ষা করতে হয়।’
আন্দোলনকারীদের সবাই ভোলা জেলা থেকে আগত কিংবা চাকরির জন্য আগে থেকেই ঢাকা ছিল বলে জানান তিনি।