ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপজুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে এই সপ্তাহে কমপক্ষে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) উদ্ধার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও প্রতিবেশী মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডেও টানা ভারি বৃষ্টিতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে এখন পর্যন্ত ৬২ জন নিহত এবং ৯৫ জন আহত হয়েছেন—যার মধ্যে গুরুতর ও সামান্য আহত দু’ধরনের মানুষই রয়েছেন।

স্থানীয় পুলিশ মুখপাত্র ফেরি ওয়ালিনতুকান বলেন, অন্তত ৬৫ জন এখনও নিখোঁজ, যাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

পাশের পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে কমপক্ষে ২২ জন মারা গেছেন এবং ১২ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।

ওয়ালিনতুকান বলেন, উত্তর সুমাত্রায় লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া এবং ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়াই এখন কর্তৃপক্ষের প্রধান কাজ। তবে কিছু এলাকায় যাতায়াত ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উদ্ধারকার্যে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আবহাওয়া ভালো হলে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সিবোলগা শহরে একাই ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম প্রান্তের আচেহ প্রদেশেও ভারি বর্ষণে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে হয়েছে এবং কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ কোম্পানি জানিয়েছে, আকস্মিক বন্যায় একটি ট্রান্সমিশন টাওয়ার ধসে পড়ার পর থেকে তারা ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ পরিষেবা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।

ইন্দোনেশিয়ায় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে বর্ষাকাল, আর এ সময় ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা ও পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।

কয়েক দিনের মধ্যে সৃষ্ট একটি শক্তিশালী মৌসুমি ঝড় এই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড়ের ধরণ ও শক্তি বদলে যাচ্ছে—বর্ষাকাল দীর্ঘ হচ্ছে, বৃষ্টিপাত বাড়ছে এবং আকস্মিক বন্যা বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

এর আগে এই মাসেই মধ্য জাভায় ভারি বৃষ্টিজনিত ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত এবং ১৩ জন নিখোঁজ হন।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার