যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে প্যানিক অ্যাটাক। সদ্য টিনএজে পা রাখা কিশোর–কিশোরী থেকে বৃদ্ধ, যে কেউ হতে পারে এর শিকার। প্যানিক অ্যাটাক বিরল কোনো অবস্থা নয়। কিন্তু নিয়মিত এই ঘটনাই হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী।
কেউ আবার প্যানিক অ্যাটাককে ‘পাগল’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন প্যানিক অ্যাটাক হওয়া মানে পাগল হয়ে যাওয়া বা মানসিক কোনো সমস্যা নয়। এটি মনের ভেতরের নির্দিষ্ট কোনো আবেগজনিত সমস্যার জন্য হতেই পারে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, প্যানিক অ্যাটাকের ক্ষেত্রে শরীরের সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম অত্যধিক সক্রিয় হয়ে যায়। সাধারণত প্যানিক অ্যাটাকের স্থায়িত্ব হয় ১০ মিনিট। এরপর শারীরিক প্রতিক্রিয়া কমতে থাকে।
চিকিৎসকরা জানান, প্যানিক অ্যাটাককে ভয়াবহ মনে হলেও শরীরের ক্ষতি হয় না। তবে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হলে খুব দ্রুত তা থামানোর চেষ্টা করতে হবে। হঠাৎ প্যানিক অ্যাটাক হলে তা থামানার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এগুলো-
* প্রথমেই নিজেকে শান্ত করতে জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন। এতে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
* যে মুহূর্তে এ ধরনের ভয় ধাওয়া করবে তখনই নিজের যে কাজটা সবচেয়ে ভালো লাগে সেটাই করা উচিত। হতে পারে সেটা গান গাওয়া বা স্রেফ টিভি দেখা ইত্যাদি।
* দিনে কিছু সময় নিয়মিত মেডিটেশন করুন। এতে উপকার পাবেন। সেই সঙ্গে মানসিক প্রশান্তির জন্য নিয়মিত যোগাসন করার অভ্যাস করতে পারেন।
* দুঃখজনক হলেও সত্যি দিনের মধ্যে বেশিরভাগ সময় আমরা অকার্যকরী চিন্তা করে কাটাই। যা আমাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। তাই যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
* শরীর ও মনকে ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের শরীরচর্চা মানসিক স্ট্রেস অনেকটাই কমিয়ে আনে।
* যার সঙ্গে কথা বলে আরাম পান তার সঙ্গেই কথা বলুন। চারপাশে এমন কিছু মানুষ থাকেই যাদের কথা বলার কোনো মাপকাঠি থাকে না। ভালো না লাগলে তাদের এড়িয়ে চলুন।
* প্যানিক অ্যাটাক ঠেকাতে একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। পায়ের পাতা মাটিতে চেপে রাখুন। এভাবে পাঁচ মিনিট বসে দীর্ঘ নিশ্বাস নিন। এ ছাড়া নিজেকে ভালো করে হাইড্রেটেড রেখেও অনেক সময় এই অবস্থার মোকাবিলা করা যায়।