অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাধিক নথিপত্র চেয়েছে দুদক।
গত ১৬ নভেম্বর এক চিঠিতে এসব তথ্য চায় দুদক। এর আগে ৯ অক্টোবর শওকত আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম নথি চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চিঠিতে শওকত আলী চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে বা তাদের মালিকানাধীন/স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে অদ্যাবধি ব্যাংকে কোনো হিসাব স্কিম খোলা হয়ে থাকলে তা খোলার ফরম (সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রসহ) এবং লেনদেন বিবরণী শুরু থেকে, প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন ও পাসপোর্টের কপি চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া শওকত আলী চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যক্তিগত নামে বা তাদের মালিকানাধীন/স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ঋণ সুবিধা গ্রহণ করা হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে ঋণের আবেদন, শাখার প্রস্তাব এবং অনুমোদন সংক্রান্ত সকল রেকর্ডপত্র ও ঋণ হিসাব বিবরণী চেয়েছে দুদক। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়েছে চিঠিতে।
শওকত আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যের একটি টিম করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান শওকত আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবে আট হাজার কোটি টাকা লেনদেন এবং এলসির মাধ্যমে জাহাজভাঙার নামে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে শেল কোম্পানি দেখিয়ে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর শওকত আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা পড়ে। গত ৩০ জুন ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বিএফআইইউ।