রাজনীতি
জেলাভিত্তিক বিএনপি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে বিএনপি। ৬৩টি আসনে ফাঁকা রাখা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু আসন জোটের শরিকদের জন্য রেখে দিয়েছে বিএনপি।
এবারের নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৩টি আসনে অংশ নেবেন। এগুলো হলো ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুধু বগুড়া-৬ আসন থেকে অংশ নেবেন।
জেলাভিত্তিক বিএনপি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখে নিন-
ঢাকা বিভাগ
ঢাকা-১: খন্দকার আবু আশফাক; ঢাকা-২: আমান উল্লাহ আমান; ঢাকা-৩: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়; ঢাকা-৪: তানভীর আহমেদ রবিন; ঢাকা-৫: নবী উল্লাহ নবী; ঢাকা-৬: ইশরাক হোসেন; ঢাকা-৮: মির্জা আব্বাস আহমেদ; ঢাকা-১১: এম এ কাইয়ুম; ঢাকা-১২: সাইফুল আলম নীরব; ঢাকা-১৪: সানজিদা ইসলাম তুলি; ঢাকা-১৫: মো. শফিকুল ইসলাম খান; ঢাকা-১৬: আমিনুল হক ও ঢাকা-১৯: ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন।
গাজীপুর-২: এম মুঞ্জুরুল করিম রনি; গাজীপুর-৩: রফিকুল ইসলাম বাচ্চু; গাজীপুর-৪: শাহ রিয়াজুল হান্নান ও গাজীপুর-৫: ফজলুল হক মিলন।
নারায়ণগঞ্জ-১: মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দীপু; নারায়ণগঞ্জ-২: নজরুল ইসলাম আজাদ; নারায়ণগঞ্জ-৩: মো. আজহারুল ইসলাম মান্নান ও নারায়ণগঞ্জ-৫: মো. মাসুদুজ্জামান।
মুন্সীগঞ্জ-১: শেখ মো. আবদুল্লাহ; মুন্সীগঞ্জ -২: মিজানুর রহমান সিনহা, মুন্সীগঞ্জ -৩ : পরে ঘোষণা।
ফরিদপুর-১: পরে ঘোষণা; ফরিদপুর-২: শ্যামা ওবায়েদ ইসলাম; ফরিদপুর-৩: নায়াব ইউসুফ আহমেদ; ফরিদপুর-৪: শহীদুল ইসলাম বাবুল।
মাদারীপুর-১: কামাল জামান মোল্লা; মাদারীপুর-২: পরে ঘোষণা; মাদারীপুর-৩: আনিসুর রহমান।
নরসিংদী-১: খায়রুল কবির খোকন; নরসিংদী-২: ড. আব্দুল মঈন খান; নরসিংদী-৩: পরে ঘোষণা; নরসিংদী-৪: সরদার মো. সাখাওয়াত হোসেন; নরসিংদী-৫: ইঞ্জি. মো.আশরাফ উদ্দিন বকুল।
মানিকগঞ্জ-২: মঈনুল ইসলাম বাঁধন; মানিকগঞ্জ-৩: আফরোজা খান রিতা।
শরীয়তপুর-১: সাইদ আহমেদ আসলাম; শরীয়তপুর-২: মো. শফিকুর রহমান কিরণ; শরীয়তপুর-৩: মিয়াঁ নুরুদ্দিন আহমেদ অপু।
গোপালগঞ্জ-১: মো. সেলিমুজ্জামান মোল্ল্যা; গোপালগঞ্জ-২: ডা. কে এম বাবর আলী; গোপালগঞ্জ-৩: এস এম জিলানী।
কিশোরগঞ্জ-১: পরে ঘোষণা; কিশোরগঞ্জ-২: অ্যাড. মো. জালাল উদ্দিন; কিশোরগঞ্জ-৩: ড. ওসমান ফরুক; কিশোরগঞ্জ-৪: মো. ফজলুল রহমান; কিশোরগঞ্জ-৫ : পরে ঘোষণা; কিশোরগঞ্জ-৬: মো. শরীফুল রহমান।
রাজবাড়ী-১: আলি নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম।
টাঙ্গাইল-১: ফকির মাহবুব আনাম স্বপন; টাঙ্গাইল-২: আব্দুস সালাম পিন্টু; টাঙ্গাইল-৩: এম ওবায়দুল হক নাসির; টাঙ্গাইল-৪: মো. লুৎফুর রহমান মতিন; টাঙ্গাইল-৬: মো. রবিউল আউয়াল লাবলু; টাঙ্গাইল-৭: আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও টাঙ্গাইল-৮: আহমেদ আজম খান।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী-১: মো. শরীফ উদ্দীন; রাজশাহী-২: মো. মিজানুর রহমান মিনু; রাজশাহী-৩: মোহাম্মদ শফিকুল হক মিলন; রাজশাহী-৪: ডিএমডি জিয়াউর রহমান; রাজশাহী-৫ : অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও রাজশাহী-৬ আবু সাঈদ চাঁদ।
নওগাঁ-১: মো. মোস্তাফিজুর রহমান; নওগাঁ-২: মো. সামসুজোহা খান; নওগাঁ-৩: মো. ফজলে হুদা বাবুল; নওগাঁ-৪: ইকরামুল বারী টিপু ও নওগাঁ-৬: শেখ মো. রেজাউল ইসলাম।
নাটোর-১ ফারজানা শারমিন; নাটোর-২ রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও নাটোর-৪ মো. আব্দুল আজিজ।
পাবনা-২: এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব; পাবনা-৩: মো. হাসান জাফির তুহিন; পাবনা-৪: হাবিবুর রহমান হাবিব ও পাবনা-৫ মো. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ মো. সাজাহান মিয়াঁ; চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: মো. আমিনুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ মো. হারুনর রশিদ।
বগুড়া-১: কাজী রফিকুল ইসলাম; বগুড়া-৩: আব্দুল মুহিত তালুকদার; বগুড়া-৪: মো. মোশারফ হোসেন; বগুড়া-৫: গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ; বগুড়া-৬: তারেক রহমান ও বগুড়া-৭: খালেদা জিয়া।
জয়পুরহাট-১: মো. মাসুদ রানা প্রধান ও জয়পুরহাট-২: আব্দুল বারী।
সিরাজগঞ্জ-২: হাসান মাহমুদ টুকু; সিরাজগঞ্জ-৩: ভিপি আয়নুল হক; সিরাজগঞ্জ-৪: এম আকবর আলী; সিরাজগঞ্জ-৫ মো. আমিরুল ইসলাম খান ও সিরাজগঞ্জ-৬: এম এ মুহিত।
ময়মনসিংহ বিভাগ
ময়মনসিংহ-১: সৈয়দ এমরান সালেহ; ময়মনসিংহ-২: মোতাহের হোসেন তালুকদার; ময়মনসিংহ-৩: এম ইকবার হোসেইন; ময়মনসিংহ-৫: মোহাম্মদ জাকির হোসেন; ময়মনসিংহ-৬: মো. আখরুল আলম; ময়মনসিংহ-৭: ডা. মো. মাহবুবুর রহমান; ময়মনসিংহ-৮: লুতফুল্লাহেল মাজেদ; ময়মনসিংহ-৯: ইয়াসের খাঁন চৌধুরী ও ময়মনসিংহ-১১: ফকর উদ্দিন আহমেদ।
শেরপুর-১: সানসিলা জেবরিন; শেরপুর-২: মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরী ও শেরপুর-৩: মো. মাহমুদুল হক রুবেল।
জামালপুর-১: এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত; জামালপুর-২: এ ই সুলতান মাহমুদ বাবু; জামালপুর-৩: মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল; জামালপুর-৪: মো. ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ও জামালপুর-৫: শাহ মো. ওয়ারেস আলী মামুন।
নেত্রকোণা-১: ব্যারিস্টার কায়সার কামাল; নেত্রকোণা-২: মো: আনোয়ারুল হক; নেত্রকোণা-৩: রফিকুল ইসলাম হিলালী; নেত্রকোণা-৪: মো. লুৎফুজ্জামান বাবর ও নেত্রকোণা-৫: মো. আবু তাহের তালুকদার।
বরিশাল বিভাগ
বরিশাল-১: জহির উদ্দিন স্বপন; বরিশাল-২: সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু; বরিশাল-৪: মো. রজীব আহসান; বরিশাল-৫ : মো. মজিবর রহামন সরওয়ার ও বরিশাল-৬: আবুল হোসেন খান।
পটুয়াখালী-১: এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও পটুয়াখালী-৪: এ বি এম মোশাররফ হোসেন।
ভোলা-১: গোলাম নবী আলমগীর; ভোলা-২: মো. হাফিজ ইব্রাহীম; ভোলা-৩: মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ও ভোলা-৪: মো. নুরুল ইসলাম নয়ন।
পিরোজপুর-২: আহমেদ সোহেল মঞ্জুর ও পিরোজপুর-৩: মো. রুহুল আমিন দুলাল।
ঝালকাঠি-২: সরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টু।
বরগুনা-১: মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা ও বরগুনা-২: নুরুল ইসলাম মনি।
খুলনা বিভাগ
খুলনা-২: নজরুল ইসলাম মঞ্জু; খুলনা-৩: রকিবুল ইসলাম বকুল; খুলনা-৪: আজিজুল বারী হেলাল; খুলনা-৫: মোহাম্মদ আলী আসগর ও খুলনা-৬: মনিরুল ইসলাম বাপ্পী।
বাগেরহাটের কোনো আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সাতক্ষীরা-১: মো. হাবিবুল ইসমাল হাবিব; সাতক্ষীরা-২: আব্দুর রউফ; সাতক্ষীরা-৩: কাজী আলাউদ্দিন ও সাতক্ষীরা-৪: মো. মনিরুজ্জামান।
যশোর-১ মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তি; যশোর-২: মোছা. সাবিরা সুলতানা; যশোর-৩: অনিন্দ্য ইসলাম অমিত; যশোর-৪: টি এস আইয়ুব ও যশোর-৬: কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।
মাগুরা-১: মো. মনোয়ার হোসেন ও মাগুরা-২: নিতাই রায় চৌধুরী।
ঝিনাইদহ-৩: মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
নড়াইল-১: বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম।
কুষ্টিয়া-১: রেজা আহম্মেদ; কুষ্টিয়া-২: রাগীব রউফ চৌধুরী; কুষ্টিয়া-৩: মো. জাকির হোসেন সরকার ও কুষ্টিয়া-৪: সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।
চুয়াডাঙ্গা-১: মো. শরীফুজ্জামান ও চুয়াডাঙ্গা-২: মাহমুদ হাসান খান।
মেহেরপুর-১: মাসুদ অরুন ও মেহেরপুর-২: মো. আমজাদ হোসেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম-১: নুরুল আমিন চেয়ারম্যান; চট্টগ্রাম-২: সরোয়ার আলমগীর; চট্টগ্রাম-৪: কাজী সালাউদ্দিন; চট্টগ্রাম-৫: মীর হেলাল উদ্দিন; চট্টগ্রাম-৭: হুম্মাম কাদের চৌধুরী; চট্টগ্রাম-৮: এরশাদ উল্লাহ; চট্টগ্রাম-৯: পরে ঘোষণা; চট্টগ্রাম-১০: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; চট্টগ্রাম-১২: এনামুল হক; চট্টগ্রাম-১৩: সরওয়ার জামাল নিজাম; চট্টগ্রাম-১৬: মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
কুমিল্লা-১: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন; কুমিল্লা-৩: কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ; কুমিল্লা-৪: মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী; কুমিল্লা-৫: মো. জসিম উদ্দিন; কুমিল্লা-৬: মো. মনিরুল হক চৌধুরী; কুমিল্লা-৮: জাকারিয়া তাহের; কুমিল্লা-৯: মো. আবুল কালাম; কুমিল্লা-১০: মো. আব্দুল গফুর ভূঁইয়া ও কুমিল্লা-১১: মো. কামরুল হুদা।
চাঁদপুর-১: আ ন ম এহসানুল হক মিলন; চাঁদপুর-২: মো. জালাল উদ্দিন; চাঁদপুর-৩: শেখ ফরিদ আহমেদ; চাঁদপুর-৪: মো. হারুনুর রশিদ ও চাঁদপুর-৫: মো. মমিনুল হক।
কক্সবাজার-১: সালাহউদ্দিন আহমেদ; কক্সবাজার-৩: লুৎফুর রহমান কাজল ও কক্সবাজার-৪: শাহজাহান চৌধুরী।
নোয়াখালী-১: এ এম মাহবুব উদ্দিন নোয়াখালী-২: জয়নাল আবেদীন ফারুক; নোয়াখালী-৩: মো. বরকত উল্লাহ বুলু; নোয়াখালী-৪: মো. শাহজাহান; নোয়াখালী-৫: মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম; নোয়াখালী-৬: মোহাম্মদ মাহবুবের রহমান শামীম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১: এম এ হান্নান; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪: মুশফিকুর রহমান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: মো. আবদুল মান্নান।
লক্ষ্মীপুর-২: মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর-৩: মো. শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
ফেনী-১: খালেদা জিয়া; ফেনী-২ : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ও ফেনী-৩: আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
খাগড়াছড়ি: আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, রাঙ্গামাটি: দীপেন দেওয়ান ও বান্দরবান: সাচিং প্রু
রংপুর বিভাগ
রংপুর-১: মো. মোকাররম হোসেন সুজন; রংপুর-২ মোহাম্মদ আলী সরকার; রংপুর-৩: মো. সামসুজ্জামান সামু; রংপুর-৪: মোহাম্মদ এমদাদুল হক ভরসা; রংপুর-৫: মো. গোলাম রব্বানী ও রংপুর-৬: মো. সাইফুল ইসলাম।
পঞ্চগড়-১: ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমির ও পঞ্চগড়-২: ফরহাদ হোসেন আজাদ।
ঠাকুরগাঁও-১: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ঠাকুরগাঁও-৩: মো. জাহিদুর রহমান জাহিদ।
দিনাজপুর-১: মো. মনজুরুল ইসলাম; দিনাজপুর-২: মো. সাদিক রিয়াজ; দিনাজপুর-৩ খালেদা জিয়া; দিনাজপুর-৪: মো. আক্তারুজ্জামান মিয়াঁ ও দিনাজপুর-৬: অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
নীলফামারী-২: এ এইচ মো. সাইফুল্লাহ রুবেল ও নীলফামারী-৪ মো. আব্দুল গফুর সরকার।
লালমনিরহাট-১: মো. হাসান রাজিব প্রধান ও লালমনিরহাট-৩: আসাদুল হাবিব দুলু।
কুড়িগ্রাম-১: সাইফুল ইসলাম রানা; কুড়িগ্রাম-২: মো. সোহেল হোসেন কায়কোবাদ; কুড়িগ্রাম-৩: তাজভীর উল ইসলাম ও কুড়িগ্রাম-৪: মো. আজিজুর রহমান।
গাইবান্ধা-১: খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী; গাইবান্ধা-২: মো. আনিসুজ্জামান খান বাবু; গাইবান্ধা-৩: অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক; গাইবান্ধা-৪: মোহাম্মদ শামীম কায়সার ও গাইবান্ধা-৫: মো. ফারুক আলম সরকার।
সিলেট বিভাগ
সিলেট-১: খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী; সিলেট-২: মোছা. তাহসিনা রুশদীর; সিলেট-৩: মোহাম্মদ আবদুল মালিক ও সিলেট-৬: এমরান আহমেদ চৌধুরী।
সুনামগঞ্জ-১: আনিমুল হক; সুনামগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ কয়সর আমমেদ ও সুনামগঞ্জ-৫: কলিম উদ্দিন মিলন।
মৌলভীবাজার-১: নাসির দ্দিন আহমেদ মিঠু; মৌলভীবাজার-২: সওকত হোসেন সকু; মৌলভীবাজার-৩: নাসের রহমান ও মৌলভীবাজার-৪: মো. মজিবর রহমান চৌধুরী।
হবিগঞ্জ-২: আবু সনসুর সাখাওয়াত হাসান জীবন; হবিগঞ্জ-৩: আলহাজ্ব মো. জি কে গাউস ও হবিগঞ্জ-৪: এস এম ফয়সাল।
রাজনীতি
ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল
ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে, জাতি কোনো তামাশা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহানগরী দক্ষিণ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক জরুরী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী (ঢাকা-৮ আসন কমিটির পরিচালক) মুহাম্মদ শামছুর রহমানের সভাপতিত্বে মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও আসন কমিটির সদস্য সচিব শাহীন আহমেদ খানের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী) এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামসহ ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার সাংগঠনিক সকল থানা আমীর, নায়েবে আমীর, সেক্রেটারী ও সহকারী সেক্রেটারিবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। কমিশন যথা সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ডিসেম্বরের ১০ বা ১১ তারিখ কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু একটি দল সংঘবদ্ধভাবে নির্বাচন ভণ্ডলের চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র করছে। কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রে নির্বাচনের রোডম্যাপ পরিবর্তন করা যাবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে জনগণ সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। প্রশাসনে দলীয়করণ বন্ধ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ সহ গণমানুষের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ঘোষিত রোডম্যাপে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রকারীরা নানারকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। সকল অপপ্রচার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুঁখে দিতে তিনি সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জামায়াতে ইসলামীর প্রতি যেভাবে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে এই দ্বারা বজায় রাখতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে আমাদের ত্যাগ, আমাদের কুরবানি অব্যাহত থাকবে এবং রাখতে হবে। ইসলামি সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে একটি সুখি-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনে তিনি দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে নিঃস্বার্থ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ শামছুর রহমান ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি জনগণের সমর্থনের সার্বিক দিক তুলে ধরে বলেন, দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রতি মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা দেখে একটি কুচক্রী মহল নানান রকম অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। কোনো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন অর্জনের লক্ষ্যে দায়িত্বশীল ভূমিকা অব্যাহত রাখতে তিনি ঢাকা-৮ আসনের সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানান।
এমকে
রাজনীতি
যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টানতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরস্থিতি ভালো করতে হবে। না হলে দেশের ক্ষতি হয়ে যাবে। যদি সরকার গঠন করতে পারি, তবে শুরুতেই দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরতে হবে।
রোববার বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতির লাগাম টানতে পারে শুধু বিএনপি। অতীতে বিএনপি দুর্নীতির লাগাম টেনেছে, ভবিষ্যতেও পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন সময়ে দেশ যখন সংকটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তখন বিএনপি ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি করেছে। দেশকে স্বাধীন করার জন্য লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। সেই দেশকে গড়তেও কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করতে হবে।
স্বৈরাচার যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে, একটি দল এখন একইভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই দলের দুইজন বিএনপির আমলে মন্ত্রী ছিলেন। তারা সিনিয়র মানুষ, তারা গত হয়েছেন। তারা বেগম খালেদা জিয়ার ওপর শেষ দিন পর্যন্ত আস্থা রেখেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণে।
এ সময় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন অরাজকতা বিরাজ করছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, সামনে অনেক কঠিন সময় আসছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অরাজকতা বিরাজ করছে। দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দিতে হলে পরিকল্পনা থাকতে হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, যারা বলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দেখেছেন, এবার আমাদের দেখুন, মানুষ তাদের ১৯৭১ সালে দেখেছে—কীভাবে তারা লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে, মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে।
রাজনীতির ময়দানে বেহেশতের টিকিট দেওয়ার আশ্বাস প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, বেহেশত বা দোজখ দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ, এগুলো যারা বলে তারা শিরক করছে। পরকালে কে কোথায় যাবে, তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র সৃষ্টিকর্তার।
এমকে
রাজনীতি
এনসিপিসহ ৩ দলের নতুন নির্বাচনী জোট ঘোষণা
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন—এই তিন দল মিলে জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে আগ্রহীদের নিয়ে নতুন একটি রাজনৈতিক ও নির্বাচনী জোট ঘোষণা করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গণ-অধিকার পরিষদের নাম আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত এই জোটে তাদের কোনো প্রতিনিধি দেখা যায়নি। তবে আয়োজকরা জানান, আরও কিছু রাজনৈতিক দল শিগগিরই এই জোটে যুক্ত হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। সংবাদ সম্মেলনে তিন দলের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এমকে
রাজনীতি
ধর্মের নামে বিভাজনের পথ তৈরি করতে চায় একটি গোষ্ঠী: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে বিভাজনের পথ তৈরি করতে চায়, ধর্মকে দিয়ে রাষ্ট্র আর সমাজে বিভাজন আমরা বিশ্বাস করি না।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক সাতদিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখবেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, ২৪-এর জুলাই গোটা বাংলাদেশের মানুষের মন-মানসিকতায় এবং তরুণ সমাজের মন-মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এখন সবাই পরিবর্তন চায়। পরিবর্তন সর্বক্ষেত্রে চায়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে চায়, আমাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে চায়। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই। এই চিন্তাটি সবার মধ্যে এসেছে এবং এসেছে এই উপলব্ধি থেকেও যে, সেই পুরোনো রাষ্ট্রকাঠামো আর উপযোগী থাকছে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উপযোগী থাকছে না, বিচারব্যবস্থা উপযোগী থাকছে না। রাষ্ট্রের উন্নয়নের যে বিষয়গুলো আমরা এতদিন যেভাবে চিন্তা করেছি, সেগুলো পিছিয়ে পড়েছে। সেগুলো দিয়ে কাজ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে তার দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার নতুন করে গড়ে তোলা, দেশকে গড়ে তোলা- এই চিন্তা আমাদের নেতা তারেক রহমানকে আলোড়িত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলেরা অনুভব করে- পাস করে চাকরি নেই। এই ১৫ বছরে তো চাকরি পাওয়াই যায়নি। সব জায়গায় ভরাট আওয়ামী লীগের দুঃশাসন। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে আমরা কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করবো?
১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু চাকরি নয়, ব্যবসা, কৃষিকাজ, শ্রম- সব মিলিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। কীভাবে করা হবে তা এরইমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। এই পরিকল্পনা প্রমাণ করে বিএনপি একটি অ্যাডভান্স রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের যা কিছু ভালো অর্জন হয়েছে তা অতীতে বিএনপিই করেছে। আবার নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার ব্যাপারেও বিএনপি নতুন চিন্তাভাবনা সামনে নিয়ে আসছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ, একদলীয় শাসন থেকে তিনি বহুদলীয় ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। আধুনিক রাজনৈতিক দল গঠনের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। তার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন বাংলাদেশের মূল ভিত্তি রচনা করে।
বিএনপি মহাসচিব মন্তব্য করেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, মিডিয়ার স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা- সবই জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। আজকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিও তিনি নির্মাণ করেছিলেন। প্রবাসী শ্রমিকের রেমিট্যান্সের পথও তিনিই খুলেছিলেন।
বিএনপির শীর্ষ এই রাজনীতিবিদ বলেন, আমরা কেউই খুব আনন্দিত থাকতে পারছি না। আমরা ভারাক্রান্ত। কারণ আমাদের নেত্রী, বাংলাদেশের অভিভাবক, গার্ডিয়ান অব ডেমোক্রেসি, সেই মহান নেত্রী যিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপস করেননি সেই নেত্রী আজ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজে মনিটর করছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন। সারাদেশের মানুষ তার জন্য দোয়া করছে। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ নিশ্চয়ই এত মানুষের দোয়া কবুল করবেন।
রাজনীতি
‘সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘এনসিপি সরকার গঠন করলে বা সরকারের অংশ হলে প্রাইভেট সেক্টরে শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব।’
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে জুলাই স্পিরিটে আলোকিত পেশাজীবীদের সংগঠন ‘ন্যাশনাল প্রফেশনাল অ্যালায়েন্সের’ আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘পাবলিক এবং প্রাইভেট উভয় সেক্টরে দলীয় দাস, পরিবারতন্ত্র, তৈলমর্দন—এসব ছিল চাকরি পাওয়ার মূল ক্রাইটেরিয়া।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা কোনো দলের কাছে সিট নেগোসিয়েশনে যাব না।
সিট বণ্টনের পলিটিকস বাংলাদেশে আর চলবে না।’
ছোট দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বড় দলগুলোর কাছে মাথা নত করবেন না। মেরুদণ্ড বিক্রি করবেন না। পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ধর্মের রাজনীতি এগুলো আর চলবে না।
ভাঙা দিয়ে শুরু করেছি, এখন গড়ার সময়।’
ভারতকে উদ্দেশ করে পাটওয়ারী বলেন, ‘ভারতকে বলতে চাই, নির্বাচনে ডিস্টার্ব করতে আসবেন না। অনেক ব্যবসা আছে এখানে, পরে লেজ গুটিয়ে পালাতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার বিজেপির সন্ত্রাস রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত।



