ক্যাটাগরি: রাজনীতি

আগে ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ, তারপর এলডিসি ভাবনা: আমীর খসরু

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়বদ্ধতা ও জনগণের কাছে জবাবদিহি না থাকায় দেশের অর্থনৈতিক খাতে কোনো শৃঙ্খলা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মৌলিক বিষয়গুলো এখনো সুরাহা হয়নি। আমাদের দেশে গণতন্ত্র উত্তরণ হয়নি। গত ১৫ মাস ধরে অনির্বাচিত সরকার, এখনো আমরা ঝুলে আছি। এই সরকার যে সবকিছু খারাপ করছে, তা বলছি না। তবে সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, জনগণের কাছে জবাবদিহি নেই। এ কারণে দেশের অর্থনৈতিক খাতে কোনো শৃঙ্খলা নেই।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশে কোনো শেয়ারবাজার আছে? দেশে ব্যবসার কোনো পলিসি আছে? ব্যাংকিং সেক্টরে কোনো স্থিতিশীলতা আছে? এমতাবস্থায় এলডিসি উত্তরণ করে কী লাভ? আমাদের অবস্থান ক্লিয়ার—আমরা আগে ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ করবো, তারপর এলডিসি নিয়ে ভাবনা।

রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান সংকট ও পুনরুদ্ধারের পথ’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি, ব্যবসার ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করেছি, দেশীয় উদ্যোক্তাদের নানাভাবে প্রণোদনা দিয়েছি, বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেছি।

সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসার জন্য জরুরি হচ্ছে ‘ফিল গুড ফ্যাক্টর’। বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ব্যবসার ক্ষেত্রে ‘ফিল গুড ফ্যাক্টর’ দিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যদি দেখেন স্থিতিশীলতা নেই, বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ নেই, তখন তারা স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহী হবেন না।

তিনি বলেন, বিএনপির স্লোগান অর্থনীতির গণতান্ত্রয়ন। অর্থনীতিতে যদি গণতন্ত্র না থাকে, কারও হাতে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ থাকে—সেক্ষেত্রে অর্থনীতি বিকশিত হবে না। অর্থনীতিতে যতো নিয়ন্ত্রণ আরোপ হবে ততো দুর্নীতি বাড়বে।

আমীর খসরু আরও বলেন, বাংলাদেশ ওভার রেগুলেডেট কান্ট্রি। এতে অসুবিধা ব্যবসায়ীদের। আর সুবিধা হচ্ছে চোরদের। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভিয়েতনাম কেন অর্থনীতিতে আমাদের ছাড়িয়ে গেল। তারা ডিরেগুলেট করেছে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিজিবিএ সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল বলেন, অস্থিতিশীলতার কারণে আমরা অর্ডার হারাচ্ছি। পোশাকশিল্পের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। তৈরি পোশাক খাতের ক্রয়াদেশ তারা পাশের দেশকে দিয়ে দিচ্ছে।

তিনি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ‘পলিসি সাপোর্ট’ দিতে রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার