সারাদেশ
ভেদরগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝির সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝির সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে এ উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় বক্তারা মরহুম আনোয়ার হোসেন মাঝির কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরহুমের সুযোগ্য সন্তান সাংবাদিক জাকির হোসেন ও আল-আমিন সুমন মাঝি, সখিপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মাজহারুল ইসলাম সরদার, মানু সরকার যুগ্ম আহ্বায়ক সখিপুর থানা বিএনপি, উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুল মান্নান মাঝি, থানা যুবদল সভাপতি মাসুম বালা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাজীব সরদার, প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন আসামী, যুগ্ম আহ্বায়ক, সখিপুর থানা বিএনপি আজমল হক নান্টু মালত,বৃহত্তর তারাবুনিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান।
জয়নাল আবেদীন মাঝি, সাবেক সহ-সভাপতি, শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদল মিলন মাঝি, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি তোফায়েল আহমেদ সরদার, মনির খাঁন৷ ছাত্রদল সভাপতি নিহাদ মাহমুদ সরদার, জিয়াউর রহমান টিপু মাঝিসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শত বছরে একবার আনোয়ার মাঝিরা জন্ম নেন শফিকুর রহমান কিরণ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ বলেন, আনোয়ার মাঝির মতো মানুষ যুগে যুগে জন্মায় না, শত বছরেও একবার এমন মানুষ দেখা যায়। তিনি ছিলেন অসহায় মানুষের বন্ধু, গরিবের আশ্রয়। অসহায় কেউ সাহায্য চাইলে পকেটে যা থাকতো, তা-ই দিতেন।
তিনি স্মৃতিচারণ করে আরও বলেন, আমি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দেখছি তিনি গরিব-অসহায়দের পাশে ছিলেন সবসময়। আজ যারা তার পাশে ছিল, তারা শত কোটি টাকার মালিক কিন্তু আনোয়ার মাঝি নিজের জন্য কিছুই করেননি, করেছেন কেবল জনগণের জন্য।
তিনি আহ্বান জানান, আমরা যেন তার পরিবারের প্রতি কেউ অন্যায় না করি। আল্লাহ যদি আমাকে সংসদে নেওয়ার তৌফিক দেন, আমি আমার সামর্থ্য ও অর্থ দিয়ে হলেও তার পরিবারের খেয়াল রাখবো ইনশাআল্লাহ। তার প্রতিষ্ঠিত স্কুল-মাদ্রাসা-মসজিদগুলোর এক ইঞ্চি জমিও আমি নষ্ট হতে দেব না।
শেষে তিনি বলেন, যে মানুষ সারাজীবন জনগণের জন্য কাজ করেছে, তার জন্য যদি আমরা নামাজের পর দোয়া না করি, তাহলে আমরা অকৃতজ্ঞ। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন—আমিন। আল-আমিন সুমন মাঝির আবেগঘন বক্তব্য আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝির সুযোগ্য সন্তান আল-আমিন সুমন মাঝি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন, আমার বাবা ৪৪ বছর ইউনিয়ন ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, কিন্তু ৪৪ বছরে ব্যাংকে ৪৪ টাকাও রেখে যাননি। বাবার চিকিৎসা হয়েছিল শফিকুর রহমান কিরণ সাহেব, বিভিন্ন শিল্পপতি, প্রবাসী ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অর্থায়নে। যেখানে তিনি এখন শুয়ে আছেন, সেই জায়গাটিও অন্যের, কারণ নিজের নামে এক খণ্ড জমিও রেখে জাননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাবা নিজের জন্য কিছুই করেননি—সব করেছেন জনগণের জন্য। আজকাল অনেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে যেতে পাকা রাস্তা লাগে, কিন্তু আনোয়ার মাঝি সাহেবের বাড়িতে এখনো কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। তার বাড়ির আঙিনায় আজও কুকুর চলাফেরা করে।
আল-আমিন সুমন মাঝি বলেন, যদি ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে কোনো ভোট রিজার্ভ থাকতো, তবে সেটা ছিল আনোয়ার মাঝি সাহেবের। এর প্রমাণ সাত বছর পর আমার মা ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন। কেউ হিংসা করেও আমার বাবার মতো সম্মান অর্জন করতে পারবে না কারন সম্মান দেওয়ার মালিক এক মাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি যেন আমার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন আমিন। শিক্ষা ও সমাজসেবায় অনন্য ভূমিকা শিক্ষাক্ষেত্রে আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝির অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের আমৃত্যু সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। তার নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ও উন্নত হয় বহু শিক্ষা ও জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যেমন ৮৭নং আব্বাস আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়, হাসান সিদ্দিকীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা, শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা ও সড়ক-ঘাট উন্নয়ন প্রকল্প পরিবার ও সর্বস্তরের মানুষের দোয়া কামনা
তার পরিবার ও অনুরাগীরা বলেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝি ছিলেন এক আদর্শবান, সৎ ও মানবিক নেতা, যিনি আজও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন তার কর্মে ও স্মৃতিতে।
শেষে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া চাওয়া হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন মরহুম আনোয়ার হোসেন মাঝির সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মর্যাদা দান করেন।
সারাদেশ
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা দিন দিন আরও বাড়ছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পার না হতেই জেলার জনজীবন হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির থাকলেও আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে নতুন করে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। ফলে ভোর থেকেই বেড়ে যায় শীতের দাপট, হাত-পা জমে আসার মতো ঠান্ডা অনুভূত হয় এলাকায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপর টানা তিন দিন (বুধবার-শুক্রবার) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলতে হয়েছে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, টানা কয়েক দিন তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছিল। আজ তা নেমে ১১ ডিগ্রিতে এসেছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এই অবস্থা এর মানে সামনের দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
এমকে
সারাদেশ
শনিবার ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
জরুরি মেরামত, সংরক্ষণ এবং গাছের ডালপালা কাটার জন্য শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সিলেট ও সুনামগঞ্জ—দুই জেলায় নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সিলেট অংশে ১০ ঘণ্টা এবং সুনামগঞ্জ অংশে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকবে বিভিন্ন এলাকা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিলেটের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ–২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১১ কেভি বালুচর, ১১ কেভি সেনপাড়া এবং ১১ কেভি শিবগঞ্জ ফিডারের আওতাধীন বিস্তৃত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়— বালুচর, শান্তিবাগ আ/এ, সোনার বাংলা আ/এ, নতুনবাজার, আল-ইসলাহ, আরামবাগ, বালুচর ছড়ারপাড়, ফোকাস, জোনাকী, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, আলুরতল; সেনপাড়া, শিবগঞ্জ, ভাটাটিকর, সাদিপুর, টিলাগড়, গোপালটিলা, এমসি কলেজ; এবং শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, বোরহানবাগ, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া ও আশপাশের এলাকায় নির্ধারিত সময় বিদ্যুৎ থাকবে না। কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগে শেষ হলে দ্রুত সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে বিউবো জানিয়েছে। গ্রাহকদের সাময়িক ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে একই দিনে সুনামগঞ্জেও পাঁচ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিউবো সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাসেল আহমেদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আগামী শনিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৩ কেভি সুনামগঞ্জ ফিডারের মেরামত, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ এবং সড়ক প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ ও প্রতিস্থাপন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ কারণে ১৩২/৩৩ কেভি সুনামগঞ্জ গ্রীড উপকেন্দ্রের ৩৩ কেভি লাইনে সাট-ডাউন নেওয়া হচ্ছে। ফলে বিউবো সুনামগঞ্জ দপ্তরের আওতাধীন সব এলাকায় সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
তবে নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা। গ্রাহকদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
সারাদেশ
বগুড়ায় ‘জ্বিনের বাদশা’ গ্রেফতার
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া ‘জিনের বাদশা’ পরিচয়দানকারী এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরের ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃত প্রতারক জ্বীনের বাদশা পরিচয়দানকারি মহিদুল ইসলাম জেলার সোনাতলা উপজেলার রানীরপাড়া গ্রামের মোজাম আকন্দের ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম-২ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বাদী অবসরপ্রাপ্ত আর্মি সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে প্রতারক মহিদুল ইসলাম (৩৫)কে রাতে তার নিজ বসতবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজী চিকিৎসা ও অলৌকিক ক্ষমতার ভান করে নিজেকে “জ্বিনের বাদশা” পরিচয়ে বিভিন্ন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে আসছিল। তার প্রলোভনে পড়ে বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে— ০২টি কথিত হাড়, ০২টি সুরমাদানি, ০৩টি লাল কাপড়, ০১ বোতল আতর, ০২টি তাবিজ, ০৩ টুকরা সাদা কাপড়, ছোট-বড় ০৩টি তসবিহ, ০৫টি আগরবাতি ও কালো সুতা।
ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার বলেন, ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সারাদেশ
স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার বাড়ি থেকে ৪৪৪ বস্তা সার জব্দ
রাজশাহীর বাগমারায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক নেতার বাড়ি থেকে ৪৪৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ ও কৃষি বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে এই সার জব্দ করেছে। অভিযান চলাকালে অভিযুক্ত নেতা পালিয়ে যান।
জব্দকৃত সারের মধ্যে রয়েছে ২০০ বস্তা টিএসপি, ২০০ বস্তা ডিএপি ও ৪৪ বস্তা এমওপি। এসব সার প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তে কালোবাজারে বিক্রির জন্য মজুত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযান শেষে বাড়িটি সিলগালা করা হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ওয়ারেস আলী (৩৫) ওরফে ‘মুরগী বাবু’, যিনি ভবানীগঞ্জ পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এবং দানগাছি গ্রামের আমজাদ হোসনের ছেলে। তিনি এলাকায় মুরগীর ব্যবসার জন্য পরিচিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, বাবু খুরচা সার বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধিত। তিনি ডিলারদের কাছ থেকে সার কিনে খুচরা বিক্রি করতে পারবেন। তবে নিজ বাড়িতে এত বড় পরিমাণ সার মজুত রাখা অননুমোদিত এবং অবৈধ।
পুলিশ জানায়, ৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসনের কাছে খবর আসে যে, মুরগী বাবু বাড়িতে সার মজুত করেছেন। এরপর দানগাছি গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সারগুলো জব্দ করা হয়।
ওয়ারেস আলী দাবি করেছেন, জব্দ করা সব সার বৈধ এবং কাগজপত্রও রয়েছে। ভবানীগঞ্জ বাজারের দোকানে রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিবেশ না থাকার কারণে বাড়িতে রাখা হয়েছিল।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সমন্বিত সার নীতিমালা অনুযায়ী অনুমোদিত ডিলার পয়েন্টের বাইরে সার মজুত রাখা যাবে না। ওয়ারেস আলী নিজ বাড়িতে সার মজুত করেছেন, যা অবৈধ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসন কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে সার প্রাপ্তির বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। বাড়িতে অবৈধ সার মজুতের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত চলছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাদেশ
কিশোরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক লাক্স সুন্দরী
চ্যানেল আই লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতার সেরা দশে স্থান পাওয়া সুন্দরী তানজিয়া আঞ্জুম সোহানিয়া এখন যোগদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে। সম্প্রতি তিনি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে যোগদান করেছেন।
তানজিমা আঞ্জুম সোহানিয়া বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ উপপরিচালক (সিনিয়র সহকারী সচিব) সমন্বয় ও সংসদ বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সোহানিয়া ২০১০ সালে চ্যানেল আই লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সেরা দশের তালিকায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, পুরস্কার জিতে নেন ক্লোজআপ মিস বিউটিফুল স্মাইল ক্যাটাগরিতেও। এরপর শোবিজে কিছু কাজ করেছেন তিনি। তবে নিয়মিত ছিলেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই ছাত্রী লাক্স সুন্দরী ৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে গেজেটপ্রাপ্ত হন। ২০১৯ সালের ২০ মার্চ প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে তিনি ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে দ্বিতীয় ধাপে ৭৭ উপজেলায় নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলার মধ্যে তিনটিতে আনা হয়েছে রদবদল।
জানা গেছে, সোহানিয়ার বাবা ডা. আজিজুল হক খান সরকারি কর্মকর্তা। মা সালমা সুলতানা গৃহিণী। ৫ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন সোহানিয়া। ছোটবেলা থেকেই ট্যালেন্টদের তালিকায় নাম ছিল তার।
ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতির সঙ্গে তার সম্পর্ক। গান ও একক অভিনয়ে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারও রয়েছে। কাবস্কাউট জাতীয় পর্যায়ে রানার্স আপ হয়েছেন। পাশাপাশি নাচেও তিনি ছিলেন সেরা।
টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ ও এইচএসসিতে কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। তুখোড় মেধাবী ওই ছাত্রী এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।



