আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, মানবাধিকার কমিশন হবে একজন চেয়ারপারসন এবং চারজন সদস্যসহ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট। তারা সবাই সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি জানান, চেয়ারপারসন এবং চারজন কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি বাছাই কমিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব তথ্য জানান।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসনসহ পাঁচ সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বাছাই কমিটি স্ব উদ্যোগে কিছু নাম সংগ্রহ করবেন (উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে আইন সে আইনের মত) এবং সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আগেকার মানবাধিকার কমিশনের একটি সীমাবদ্ধতা ছিল। শৃঙ্খলা বাহিনীরসহ আরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তদন্তের এখতিয়ারের ঘাটতি ছিল।
বর্তমান মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকার বা রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কমিশন তদন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
আসিফ নজরুল বলেন, গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা আইনসহ মানবাধিকার সংরক্ষণমূলক যেকোনো আইনের মূল দায়িত্ব মানবাধিকার কমিশনকে প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে।