কর্পোরেট সংবাদ
আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এক অনবদ্য সন্ধ্যা
আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন তাদের বহুল প্রশংসিত ‘ব্রেইন গেইন সিরিজ’-এর সর্বশেষ পর্ব আয়োজন করে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) গুলশানে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) প্রধান কার্যালয়ে এটি আয়োজন করা হয়। ‘সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস: এ গ্লোবাল পারস্পেকটিভ’ শিরোনামের এই সেশনে মূল বক্তা ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ও আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য আসিফ সালেহ।
বৈঠকটি পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত, চিন্তাশীল ও অনুপ্রেরণামূলক সন্ধ্যায়। এতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, বিশিষ্ট উদ্যোক্তা, উন্নয়নকর্মী ও গণমান্য অতিথিবৃন্দ। সবার আগ্রহের মূল বিষয় ছিল—কীভাবে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবন বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় বাস্তব পরিবর্তনের অনুঘটক হতে পারে।
মূল বক্তব্যে আসিফ সালেহ তাঁর সমৃদ্ধ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরেন এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি—নিউইয়র্ক ও লন্ডনে গোল্ডম্যান স্যাকস-এ ১২ বছরের পেশাগত জীবন থেকে শুরু করে ইউএনডিপি বাংলাদেশ ও ব্র্যাক-এ নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও অলাভজনক—এই তিন খাতের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। সহযোগিতাই এখন সবচেয়ে বড় শক্তি।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে বৈশ্বিক সামাজিক উদ্যোগের মডেল ও উন্নয়ন কাঠামোকে স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে টেকসই সামাজিক প্রভাব তৈরি করা সম্ভব। তাঁর বক্তব্য তরুণ পেশাজীবীদের অনুপ্রাণিত করে নতুনভাবে ভাবতে—নিজেদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে দেশের উন্নয়নে কীভাবে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ও ইউসিবি চেয়ারম্যান শরীফ জাহির। তিনি বলেন, আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বাস করে—বিদেশে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করাই প্রকৃত ব্রেইন গেইন।
পুরো সেশনটি সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি নুসরাত আমান। তিনি সুচিন্তিত প্রশ্ন ও উপস্থাপনার মাধ্যমে আলোচনা পর্বকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন। তাঁদের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে উঠে আসে সামাজিক উদ্যোগের পরিবর্তিত রূপরেখা, উন্নয়ন সহযোগিতার নতুন দিগন্ত, এবং যুক্তরাষ্ট্র-শিক্ষিত পেশাজীবীদের জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার বাস্তব পথনির্দেশ।
২০১১ সালে শুরু হওয়া আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ‘ব্রেইন গেইন ইনিশিয়েটিভ’-এর মূল লক্ষ্য হলো—বিদেশে শিক্ষিত বাংলাদেশিদের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা ও বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাকে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাজে লাগানো। এই উদ্যোগ আজ প্রমাণ করছে, যেখানে একসময় ‘ব্রেইন ড্রেইন’ ছিল উদ্বেগের কারণ, এখন সেটিই রূপ নিয়েছে ‘ব্রেইন গেইন’-এর আশাবাদী বাস্তবতায়।
আসিফ সালেহ নিজেই এই দর্শনের এক অনন্য উদাহরণ। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম তাঁকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার (২০১৩)’ এবং এশিয়া সোসাইটি তাঁকে ‘এশিয়া ২১ ফেলো (২০১২)’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাঁর যাত্রা প্রমাণ করে—বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি দেশের উন্নয়নে কীভাবে পরিবর্তনের শক্তি হয়ে উঠতে পারে।
কর্পোরেট সংবাদ
সুবিধা বঞ্চিত তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়াতে কাজ করবে ইউনিসেফ-সিটি ব্যাংক
সিটি ব্যাংক এবং ইউনিসেফ এক নতুন অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী, বিশেষ করে মেয়েদের, কর্মসংস্থান ও উদ্যোগ দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হবে।
সম্প্রতি সিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মাহিয়া জুনেদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিআইও কাজী আজিজুর রহমান, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার জামিল খান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল, যেমন বাগেরহাট জেলার কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা বাজারচাহিদা নির্ভও প্রশিক্ষণ, ক্যারিয়ার কোচিং এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ফলপ্রসূ শিক্ষার সুযোগের ওপর গুরুত্ব দেবে, যাতে পিছিয়ে পড়া তরুণ প্রজন্ম টেকসই জীবিকা গড়ে তুলতে পারে এবং জলবায়ু সহনশীল সম্প্রদায় গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “প্রত্যেক শিশু ও তরুণের স্বপ্ন দেখার, শেখার এবং বিকশিত হওয়ার অধিকার আছে। সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব কেবল দক্ষতায় বিনিয়োগ নয়, এটি শিশুদের আশায় বিনিয়োগ। জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বঞ্চিত কিশোরী ও তরুণীদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে আমরা তাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছি। বেসরকারি খাতের সঙ্গে একযোগে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছি যেখানে প্রতিটি তরুণ অবদান রাখতে পারবে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির সুফল ভোগ করতে পারবে।”
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “বাংলাদেশে ইউনিসেফ দীর্ঘদিন ধরে শিশু ও তরুণদের জীবনোন্নয়ন ও নানা সুযোগ সৃষ্টি করে অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে। এই অর্থবহ অংশীদারত্বে ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একসাথে আমরা তরুণদের, বিশেষ করে মেয়েদের এমন দক্ষতা ও সুযোগ তৈরি করতে চাই যা তাদেরকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।”
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ
দেশের সম্ভাবনাময় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য “উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি’ শুরু করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির রাজশাহী জোন।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে সোমবার (১০ নভেম্বর) মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসুচী শুরু হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খাঁনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শামসুল আরেফীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা ও ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ মো. ইদ্রিস।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো. আইয়ুব আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান মিজি এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাজশাহী জোনপ্রধান মো মনিরুল ইসলাম।
কর্মশালায় নতুন উদ্যোক্তাদেরকে ব্যবসা পরিচালনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, রেকর্ডকিপিং, উদ্ভাবন ও ডিজিটাল ব্যবসা পরিচালনা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
নগদে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদন ফি চার্জ ফ্রি
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই প্রদান করা যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে। বরাবরের মতোই এবারও এক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে – যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের এবং ৩টি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সবগুলো ক্যাডেট কলেজগুলোতে যেকোন আবেদনকারী ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি প্রদান করতে পারছেন কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তাছাড়া নগদ-এর এই ভির্তি ফি’র চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য, ভর্তি প্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট https://cadetcollege.army.mil.bd/ অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ‘Apply Now/Sign Up’ এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ইমেইল অ্যাড্রেস ও জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে ২ হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূইয়া বলেন, “আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি যাতে সারা দেশের যেকোন স্থান থেকে অবিভাবকরা সহজে, দ্রুত এবং সবচেয়ে কম খরচে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষা-সংক্রান্ত যেকোন ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।”
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন ভর্তি ও টিউশন ফি প্রদানের জন্য নগদ ব্যবহার করছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সল্যুশন হিসেবে কাজ করছে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
সুস্থ শরীর ও সুন্দর মনই টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি: ইউসিবি চেয়ারম্যান
সবসময় ব্যস্ততার ছন্দে দৌড়ানো শহর ঢাকায় এক বিরল প্রশান্তি নেমে এসেছিল গুলশানের শাহাবুদ্দিন পার্কে। সংগীত, নৃত্য, যোগ ও ধ্যানের নরম সুরে মুখরিত সেই পার্কে ফিরে এসেছে ঢাকা ফ্লো ফেস্ট ২০২৫—এক উৎসব যা উন্মুক্ত আকাশের নিচে যোগব্যায়াম, নাচ, শিল্প আর সচেতন জীবনচর্চার সম্মিলন ঘটায়। এসময় এক আলোচনায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) চেয়ারম্যান শরীফ জহীর বলেন, সুস্থ শরীর ও সুন্দর মনই টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি।
এই উৎসবে আধুনিক জীবনের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার আহ্বানে বহুমানুষের উপস্থিতিতে এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে। দ্বিতীয় দিনের “পার্টনার্স ইন ফ্লো” প্যানেল আলোচনায় ইউসিবি চেয়ারম্যান বলেন, “ইউসিবি এখন নতুন উদ্যম ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে—যেখানে টেকসই প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের কর্মী, গ্রাহক ও সম্প্রদায়ের সুস্থতা ও কল্যাণই সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আমি বিশ্বাস করি মানবিক সুস্থতা ও সচেতন জীবনদৃষ্টি ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।’’
তার বক্তব্যে প্রতিফলিত হয় ইউসিবির সাম্প্রতিক স্থায়িত্ব-অভিযান—যেখানে কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, “আজকের দিনে ‘ওয়েলনেস’ ও ‘সাসটেইনেবিলিটি’ আর আলাদা কোনো প্রকল্প নয়; এগুলোই আধুনিক প্রতিষ্ঠানের মূল দর্শন, যা তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দিচ্ছে।”
সূর্য যখন গুলশানের আকাশরেখার ওপারে ঢলে পড়ছে, তখনও উৎসবের অংশগ্রহণকারীরা যোগম্যাট থেকে হাসির বৃত্তে, সুরের গভীরতা থেকে নীরব ধ্যানে-প্রবাহিত হচ্ছিলেন এক মননশীল ছন্দে। উপস্থিত অতিথিরা প্রশংসা করেন আয়োজকদের, যাঁরা এমন অনুপ্রেরণাদায়ী ও মননশীল পরিসর তৈরি করেছেন।
এখন প্রতি বছরই নিজের ছন্দে ফিরে আসে ঢাকা ফ্লো ফেস্ট। এটি কেবল একটি ওয়েলনেস ইভেন্ট নয়—এটি এক জীবনধারা, যা নগরবাসীকে মনে করিয়ে দেয় একটু থামতে, গভীরভাবে শ্বাস নিতে এবং নিজের সঙ্গে আবার সংযোগ স্থাপন করতে।
ইউসিবির জন্য এমন একটি উদ্যোগে অংশ নেওয়া কেবল পৃষ্ঠপোষকতা নয়, বরং এক বার্তা— একটি আধুনিক ব্যাংক শুধু আর্থিক সাফল্যের জন্য নয়, বরং মানবিক ভারসাম্য, সামাজিক সম্প্রীতি ও টেকসই অগ্রগতির পক্ষেও দাঁড়াতে পারে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
সিলেটে আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে ‘তারুণ্য উৎসব ২০২৫’
ভবিষ্যত প্রজন্মকে ব্যাংকিং বিষয়ক প্রাথমিক ধারণা, সঞ্চয় করার অভ্যাস ও অর্থ ব্যবস্থাপনা সর্ম্পকে সম্মুখ ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় ‘তারুণ্য উৎসব ২০২৫’ এর অধীনে সিলেটে আর্থিক সাক্ষরতা বিষয়ক বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
গত ০৪ নভেম্বর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালাটি কলেজটির অডিটেরিয়াম প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসের ভুবনজয় আর্চায্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের নির্বাহী পরিচালক খালেদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. শামসুল ইসলাম, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্রান্ডিং, কমিউনিকেশনস এন্ড কর্পোরেট এফ্যায়ার্স বিভাগের প্রধান খন্দকার আনোয়ার এহতেশাম।
দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আয়োজিত কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, অর্থিক সু-ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তিগত ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ সর্ম্পকে বিস্তারিত তুলে ধরেন আইএফআইসি ব্যাংকের হেড অব সেন্ট্রালাইজ্ড রিটেইল মার্কেটিং মিজ ফারিহা হায়দার।
উল্লেখ্য, আইএফআইসি ব্যাংক বছরব্যাপী শহর থেকে প্রান্তিক পর্যায় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সাক্ষরতা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।



