কর্পোরেট সংবাদ
সিডিবিএলের এমডি ও সিইও হলেন আব্দুল মোতালেব
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মো. আবদুল মোতালেব। মোতালেব আইসিটি পেশাজীবি হিসাবে আর্থিক খাতে ৩৭ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। তিনি ডিপোজিটরি সেবা, স্টক এক্সচেঞ্জ অপারেশন এবং প্রযুক্তি অবকাঠামোতে বিশেষজ্ঞ।
তিনি সিডিবিএলে ২০১৮ সালে চীফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) হিসেবে যোগদান করে পরবর্তীতে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এক্সচেঞ্জ টেকনোলজি, আইডেন্টিটি ম্যানেজমেন্ট, পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্র্যাশন ম্যানেজমেন্ট এ তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে।
মোতালেব বলেন, সিডিবিএলের এমডি হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্তিতে আমি সম্মানিত এবং বাংলাদেশের` পুঁজিবাজারে উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সিডিবিএলের পরিচালনা পর্ষদ আশা প্রকাশ করেছে যে মোতালেব এর এই নিয়োগ সিডিবিএলের চলমান ডিজিটাল রূপান্তর উদ্যোগগুলিকে ত্বরান্বিত করবে এবং নেতৃত্বকে আরও সুদৃঢ় করবে। তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা এবং দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি সিডিবিএল এর কার্যক্ষমতা, স্বচ্ছতা এবং সেবার উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
মোতালেব বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) হতে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তার নেতৃত্ব সিডিবিএলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিডিবিএল প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল স্টেকহোল্ডারের জন্য টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিআইসিএম’র বিশেষ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসির কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত এক মাসব্যাপী ‘ফান্ডামেন্টালস অন ট্রেডিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এনালাইসিস’ প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিআইসিএম’র মাল্টিপারপাস হলে প্রশিক্ষনের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা শুরু হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর।
প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন বিআইসিএম’র শিক্ষকবৃন্দ-সহকারী অধ্যাপক কাশফীয়া শারমিন, সহযোগী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খান, সহকারী অধ্যাপক এস. এম. কালবীন ছালিমা এবং অন্যান্য রিসোর্স পার্সন।
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ ও বিআইসিএমের মধ্যে বিদ্যমান ২ বছরের প্রশিক্ষণ অংশীদারিত্বের আওতায় এই বিশেষায়িত কোর্সটি আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাদের বাজার বিশ্লেষণ, ট্রেডিং জ্ঞান এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে, যা গ্রাহকসেবা আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
কোহিনূর কেমিক্যালের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা
প্রসাধনী প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ আয়োজন করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী ও কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রমের ওপর আলোচনা করা হয়। আলোচ্যসূচিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে। আলোচ্য সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য ৬৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ এবং ১০ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল করিম। এতে আরও ছিলেন– পরিচালক মো. এবাদুল করিম, স্বতন্ত্র পরিচালক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ও কাজী মামুনুল আশরাফ, কোম্পানি সচিব মো. কামরুজ্জামান ও সিএফও মোহা. শামীম কবির।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ’র কন্টাক্টলেস এনএফসি পেমেন্টে কেনাকাটা হবে আরও দ্রুত-নিরাপদ
এখন থেকে এনএফসি (নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) এনাবেল্ড কিউআর-এ ট্যাপ করেই পেমেন্ট করা যাচ্ছে বিকাশ-এ। গ্রাহকের ডিজিটাল পেমেন্ট অভিজ্ঞতাকে আরও ঝামেলাহীন, নিরাপদ ও কন্টাক্টলেস করতেই এই সেবা চালু করেছে বিকাশ। এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে গ্রাহকরা এখন কোনো পিন নম্বর ছাড়াই মাত্র এক ট্যাপে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন, যা তাদের ক্যাশলেস পেমেন্টের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং দেশের ডিজিটাল পেমেন্টের ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।
এনএফসি প্রযুক্তির মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুবিধা গ্রাহকদের দৈনন্দিন লেনদেনকে বিশেষ করে ছোট-বড় দোকান, সুপারশপ, ক্যাফে ও অন্যান্য খুচরা বিক্রেতার কাছে পেমেন্ট আরও দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত করে তুলছে। বিকাশ-এর মাধ্যমে এনএফসি পেমেন্ট করতে হলে গ্রাহককে এনএফসি চিহ্নিত কিউআর কোডে মোবাইল ট্যাপ করতে হবে। এরপর লগইন করলে সরাসরি পেমেন্ট স্ক্রিনে নিয়ে যাবে। এখানে টাকার পরিমাণ বসিয়ে নিশ্চিত করলেই পেমেন্টটি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
ফলে পিন ভুলে যাওয়া কিংবা বেহাত হওয়ার বিড়ম্বনা যেমন থাকলো না, তেমনি বাড়লো বিকাশ অ্যাপের নিরাপত্তাও। উল্লেখ্য, ১ হাজার টাকা পর্যন্ত পিন ছাড়াই এনএফসি পেমেন্ট করা যাচ্ছে।
প্রযুক্তির অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিনের লেনদেনকে আরও সহজ, নিরাপদ ও ঝামেলাহীন করতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা নিয়ে আসছে বিকাশ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার এনএফসি পেমেন্ট সুবিধা চালু করলো প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহকরা এখন ক্যাশলেস, কন্টাক্টলেস ও নিরাপদ লেনদেনের অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। ধারাবাহিকভাবে বিকাশ-এর এই এনএফসি পেমেন্ট সেবাটি সারাদেশের মার্চেন্ট পয়েন্টগুলোতে বিস্তৃত করা হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশে আসা রেমিট্যান্সে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন প্রবাসীর স্বজনদের
জাপান প্রবাসী জাহানারা সুমী দৈনন্দিন কাজ শেষে বিশ্রাম নিতে নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করছিলেন। হঠাৎ একটি অনলাইন পেইজে তাঁর চোখে পড়ল বিশাল আকৃতির একটি নদীর বোয়াল মাছ বিক্রির ভিডিও। সেটি দেখেই তিনি স্মৃতিকাতর হয়ে উঠলেন- মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় বাবার আনা বড় বড় মাছের কথা, যা দেখে পুরো বাড়িতে হৈচৈ লেগে যেত। তাই আর দেরি না করে বাবার প্রিয় বোয়াল মাছ অর্ডার করে তাঁকে সারপ্রাইজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুমী।
তিনি বলেন, ঢাকায় থাকা আমার ভাইকে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাসেজ দিয়ে বোয়াল মাছ বুক করার জন্য বলি। সচরাচর এতো বড় মাছ তো আর পাওয়া যায় না! আমি জাপান থেকেই তাৎক্ষণিক ভাইয়ের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেই। এমন জরুরি মুহূর্তে বিকাশ-এর রেমিট্যান্স সেবা সত্যিই খুব স্বস্তির জায়গা। ক্যারিয়ারের তাগিদে বাবা-মা-পরিবার ছেড়ে দূর প্রবাসে থাকলেও এই ধরনের আর্থিক সেবার কল্যাণে সেই দূরত্ব অনেকটাই ঘুচে যায়।
এদিকে, সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে রেখে সংসারের প্রয়োজনে বাহরাইন-এ পাড়ি জমিয়েছিলেন চাঁদপুরের বাসিন্দা রসুল মিয়া। প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখেন অনাগত সন্তান আর স্ত্রী আকলিমার। এমনই এক ঝড়ের রাতে প্রসব বেদনা উঠে আকলিমার, সেই রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যান আত্মীয়স্বজন। এমন পরিস্থিতিতে সন্তান ও মাকে বাঁচাতে মাঝ রাতেই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তাররা। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্ত্রীর পাশে না থাকার মনোবেদনা ছিল পাহাড়সম। তবুও অপারেশনের জন্য তাৎক্ষণিক বিকাশ-এর রেমিটেন্স সেবা ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে পারায় খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় কেটে যায়, স্ত্রী-সন্তান দুইজনই সুস্থ হয়ে ফেরে বাড়ি।
হোক সংকট কিংবা আনন্দ – প্রিয়জনদের বিশেষ মুহুর্তগুলোয় পাশে থাকার চেষ্টায় প্রবাসীদের বড় বাধা সময়মতো কষ্টার্জিত রেমিটেন্স পাঠাতে না পারা। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন কোটি প্রবাসী তার প্রিয়জনদের বিশেষ মুহুর্তগুলোকে আরও অর্থবহ করে তুলছেন সরাসরি তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠিয়ে। মাত্র কয়েক ট্যাপে বিকাশ-এ রেমিটেন্স পাঠানোর সুবিধা প্রবাসীর সাথে তার পরিবারের বন্ধন আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়িয়ে সমৃদ্ধ করছে দেশের অর্থনীতিকেও।
বিদেশ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠানো এবং তা তোলার জন্য নিকটবর্তী বাজারে বা উপজেলা শহরে যাওয়া প্রবাসী এবং তার স্বজন উভয়ের জন্যই অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। এই কারণে যখন প্রয়োজন তখনই রেমিটেন্স পাঠাতে বা পেতে বিকাশ-এর রেমিটেন্স সেবায় আগ্রহ বাড়ছে প্রবাসী এবং তার প্রিয়জনদের।
দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত প্রবাসীদের কষ্টার্জিত এই রেমিটেন্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহকে গতিশীল করে রিজার্ভকে শক্তিশালী করছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সে লক্ষ্যে, প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্স পাঠানোর একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে বিকাশ। বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী ১৭৬টিরও বেশি দেশ থেকে শতাধিক আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর (এমটিও)-এর মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা, যা দেশের ২৫টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকে নিষ্পত্তির (স্যাটেলমেন্ট) মাধ্যমে নিমেষেই পৌঁছে যাচ্ছে প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। সাথে রেমিটেন্সের সাথে যোগ হয়ে যাচ্ছে সরকার প্রদত্ত প্রণোদনার অর্থও।
বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ‘লাস্ট মাইল সল্যুশন প্রোভাইডার’ হিসেবে বিকাশ-এ পাঠানো রেমিটেন্স হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাওয়ায় প্রবাসীর পরিবার-প্রিয়জনদের জীবনমান বাড়ছে। সহজে এই রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ হুন্ডিসহ অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোকে নিরুৎসাহিত করছে, পাশাপাশি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখছে। এদিকে, বিকাশ-এ আসা রেমিটেন্সের টাকা দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই মোবাইল রিচার্জ, সেভিংস, কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, এনজিওর কিস্তি দেওয়া, স্কুল-কলেজের ফি পরিশোধসহ অসংখ্য কাজে ব্যবহার করতে পারছেন প্রবাসীর স্বজনরা।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপে যোগ হলো সম্পূর্ণ ভয়েস-চালিত সেবা
ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপে চালু হলো দেশের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সেলফিন ইকো। এটি একটি সম্পূর্ণ ভয়েস-ভিত্তিক উন্নত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী ভয়েস কমান্ড দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। ব্যবহারকারী ইংরেজিতে ভয়েস কমান্ড দিলেই সেলফিন ইকো গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করে বাকি কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদন করে। এতে প্রয়োজন হয় না হাতের কোনো স্পর্শ।
উদাহরণস্বরূপ গ্রাহক যদি বলেন “শো মি সেলফিন/এমক্যাশ ব্যালেন্স” সেলফিন ইকো সঙ্গে সঙ্গে ব্যালেন্স প্রদর্শন করবে। অথবা তার অ্যাকাউন্ট নম্বরটি বললে সেই অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স তাৎক্ষণিকভাবে দেখাবে। একইভাবে ব্যবহারকারী যদি বলেন “সেন্ড টেন থাউজ্যান্ড টাকা টু মামুনস অ্যাকাউন্ট”, সেলফিন ইকো ফেভারিট অপশনে মামুন নামে সংরক্ষিত অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফারের প্রিভিউ দেখাবে। এরপর গ্রাহক পিন ও ওটিপি দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করবেন।
ব্যবহারকারী শুধু ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করেই পরিশোধ করতে পারবেন খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড বিল। “চেক মাই খিদমাহ বিল অ্যান্ড পে” বললেই সেলফিন ইকো স্বয়ংক্রিয়ভাবে খিদমাহ’র বকেয়া বিল পরিদর্শন করবে এবং অ্যাকাউন্ট থেকে বিল পরিশোধ করার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্পর্শ ছাড়াই সম্পন্ন হবে। গ্রাহক শুধু পিন আর ওটিপি দিয়ে কাজ শেষ করবেন।
সেলফিন ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন হবে আরও সহজ ও দ্রুত। ব্যবহারকারী শুধু ভয়েস কমান্ডে “জেনারেট টোকেন টু উইথড্রো টাকা টোয়েন্টি থাউজ্যান্ড ফ্রম অ্যাকাউন্ট নাম্বার” বলে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বারটি বললেই সেলফিন ইকো স্বয়ংক্রিয়ভাবে উল্লেখিত অ্যাকাউন্ট নম্বর থেকে ২০ হাজার টাকার জন্য একটি টোকেন তৈরি করে দেবে, এটিএম বুথে এই টোকেন ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
মোবাইল রিচার্জ করা যাবে হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই। রিচার্জ মাই মোবাইল উইথ টোয়েন্টি টাকা বললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর মোবাইলে ২০ টাকা রিচার্জ হয়ে যাবে। এছাড়া রিচার্জ গ্রহীতার মোবাইল নম্বর আর খুঁজতে কিংবা লিখতে হবে না। শুধু সেভ করা নাম কিংবা মোবাইল নম্বরটি বললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিচার্জ হয়ে যাবে।
সেলফিন ইকোর কার্যকারিতা লেনদেনের বাইরেও বিস্তৃত। ভয়েস কমান্ডেই দেখা যায় অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, সেলফিন ও কার্ড লিমিট, চার্জ ও ফি সংক্রান্ত তথ্য। এছাড়া ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়ের স্টেটমেন্টও দেখা যায়। প্রয়োজন হলে স্টেটমেন্ট নিজের ইচ্ছেমত ফিল্টার করে নেওয়া যায়। কাজ শেষে ভয়েস দিয়ে লগ-আউট করা যায় হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই। এ যেন সায়েন্স ফিকশনের বাস্তব রূপ।
ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপ বহুদিন ধরেই স্মার্ট ব্যাংকিংয়ের একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। বিল পেমেন্ট, ফান্ড ট্রান্সফার, রেমিট্যান্স সংগ্রহসহ বিভিন্ন সেবার কারণে অ্যাপটি ইতোমধ্যেই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে প্রায় ৫৭ লাখ গ্রাহক সেলফিন ব্যবহার করছেন।
বর্তমানে সেলফিন ইকো ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বর আরও নিখুঁতভাবে শনাক্ত করার জন্য শেখার ধাপে রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে পিন ও ওটিপি ম্যানুয়ালি প্রদান করতে হবে, ভবিষ্যতে এই ধাপগুলোও স্বয়ংক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।



