বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মন্থা আগামী মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ায় আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে কলকাতার আবহাওয়া দপ্তর। তবে এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলসহ আশপাশের কয়েকটি জেলাতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্য উপকূলীয় অঞ্চলে তৈরি হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি যখন অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়বে, তখন ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি এরই মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং রোববার (২৬ অক্টোবর) এটি অতি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের ওই দিন থেকে সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং যারা ইতিমধ্যে মাছ ধরতে গেছেন, তাদের দ্রুত ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা আরও জানান, আগামী সোমবার (২৭ অক্টোবর) উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় বজ্রপাতসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উপকূলসংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। এছাড়া কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায়ও মেঘলা আকাশ এবং বজ্রসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) পর্যন্ত সেখানে বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে উত্তরবঙ্গের নদীগুলোর পানিস্তর বাড়তে পারে এবং ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের পাকা ফসল দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি অঞ্চলে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।