জাতীয়
জুলাই সনদ আমাদের নতুন পথ দেখায়, এটিই এর শক্তি: প্রেস সচিব
জুলাই সনদ আমাদের নতুন পথ দেখায়, এটিই এর শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার (১৮ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম তার পোস্টে বাংলাদেশের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস ও জুলাই চার্টার বা জুলাই সনদ প্রণয়ন বিষয়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
তিনি লিখেছেন, বহু বিপ্লবই ইতিহাসের অন্ধকারে মিলিয়ে যায় যখন রাস্তায় অর্জিত পরিবর্তনগুলো আইনে রূপ নিতে পারে না। তাই অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন—সড়ক আন্দোলন, প্রাণঘাতী প্রতিবাদ, ঘেরাও, হরতাল কিংবা অবরোধই বিপ্লবের সহজ অংশ। প্রকৃত জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক পরিপক্বতার পরীক্ষা শুরু হয় তখনই, যখন মানুষ যে আদর্শ ও উদ্দেশ্যে রক্ত ঝরিয়েছে, তা আইনে রূপ দেওয়ার সময় আসে।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কিন্তু সেই নয় মাসের সংগ্রাম এবং পাকিস্তানি শাসনামলের দীর্ঘ বঞ্চনা—যে আদর্শ ও স্বপ্নের আগুনে জ্বলছিল, সংবিধান রচনার কুয়াশায় তা অনেকটাই হারিয়ে যায়।
‘১৯৭১-এর ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন রাষ্ট্র গঠনের তাড়নায় আমরা ভুলে গিয়েছিলাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি—আমরা কেমন দেশ গড়তে চাই, আমাদের জাতীয় পরিচয় কী হবে? সেই সময়ের নেতারা, ট্র্যাজেডির ভারে ক্লান্ত ও বিপর্যস্ত, প্রয়োজনীয় দূরদৃষ্টি প্রদর্শন করতে পারেননি। এর ফল আজও আমাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান আমাদের বারবার ব্যর্থ করেছে। আমরা একের পর এক মূল ধারা বিকৃত করেছি, তাড়াহুড়ো করে আইন যোগ-বিয়োগ করে তা সাময়িকভাবে টিকিয়ে রেখেছি। কিছুদিনের জন্য মনে হয়েছিল—এই ভাঙাচোরা কাঠামো হয়তো চলবে। কিন্তু না, যখন সেই শক্তিমানরা পতিত হলেন, গোটা ব্যবস্থা ভেঙে পড়লো। জনগণের ক্ষোভে ভেসে গেলো বহু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া রাজনৈতিক দলও, কারণ ভিত্তিটাই ছিল দুর্বল।
শফিকুল আলম আরও বলেন, আইন প্রণয়ন ও সংবিধান সংস্কারের কাজ কেবল ক্ষমতার খেলা নয়—এটা সেই নেতাদের কাজ, যারা সময়ের সীমা পেরিয়ে ভবিষ্যৎকে দেখতে পারেন, যারা জানেন আইনের প্রতিটি শব্দের গুরুত্ব কত গভীর। দুই দশকেরও বেশি আগে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে আমরা একযোগে কঠোর আইন পাস করেছিলাম। কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে, সেই আইনের অপ্রত্যাশিত পরিণতিতে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক গ্রামেই এখন প্রায় সব মামলাই এই আইনের অধীনে দায়ের হয়, যার সঙ্গে মূল উদ্দেশ্যের সামান্যও সম্পর্ক নেই।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, এবারের ‘জুলাই চার্টার’ সেই রাজনৈতিক পরিপক্বতার এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। এটি আমাদের শিখিয়েছে—শব্দেরও সীমা আছে, কেবল রাস্তায় স্লোগান নয়, আইনের ভাষাই সময়ের পরীক্ষায় টিকে থাকতে হবে। যেমনভাবে আমেরিকার পূর্ববর্তী নেতারা প্রায় আড়াই শতাব্দী আগে তাদের সংবিধান ও অধিকার সনদ নিয়ে গভীর বিতর্ক করেছিলেন।
তিনি বলেন, জুলাই চার্টারের বৈপ্লবিক দিকটি এখানে রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান দাবি করছে না। বরং এটি দীর্ঘ আলোচনা, মতবিনিময় ও ঐকমত্যের ফসল। ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সরকার যখন এটি বাস্তবায়নে এগোবে, তখনো হয়তো এটি প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে। তবু এটি ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে-যে অধ্যায়ে আমরা গর্বভরে বলতে পারবো, একসময় আমাদের নেতারা একসঙ্গে বসেছিলেন, আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছিলেন জাতির দীর্ঘদিনের সংকট সমাধানের।
শফিকুল আলম বলেন, তাদের পূর্ণ সফলতা না এলেও এটি ব্যর্থতা নয়। বরং জুলাই চার্টারের শক্তি এখানেই-এটি আমাদের নতুন পথ দেখায়, আমাদের আহ্বান জানায় বারবার আলোচনার টেবিলে ফিরে যেতে, পরস্পরের মত শুনতে, সহযোগিতার মনোভাব বজায় রাখতে-যতক্ষণ না আমরা নিশ্চিত হচ্ছি, এবার আমাদের তৈরি করা শব্দগুলো আর আমাদের ব্যর্থ করবে না।
জাতীয়
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে নিকুঞ্জ-১ এলাকায় সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধনের নামে রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কমিশন কখনও ব্যক্তির পরিচয় দেখে অনুসন্ধান করে না; মূল বিষয় হলো অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতা।
রাজধানীর অভিজাত নিকুঞ্জ এলাকার লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে তিনতলা বিশিষ্ট ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে আবদুল হামিদের। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষে তিনি ২০২৩ সালের এপ্রিলে সপরিবারে ওই বাড়িতে ওঠেন।
অভিযোগ উঠেছে, বাড়ির দুপাশের রাস্তায় হাঁটার জন্য বাঁধা, নান্দনিক ডেক ও ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণ, খালসংলগ্ন অত্যাধুনিক ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনসহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এমকে
জাতীয়
চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা: ইসি সানাউল্লাহ
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সম্মেলন কক্ষে কমিশনের সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল উপলক্ষে বিটিভির মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করা হবে। আমরা বিটিভিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড করার জন্য চিঠি দেব।
তিনি বলেন, যেদিন তফসিল ঘোষণা হবে সেদিন সন্ধ্যায় মাঠ পর্যায়ে মিটিং হবে। আচরণবিধি প্রতিপালনে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুইজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। ভোটের পাঁচ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানো হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের আগের রাতেই ব্যালট পৌঁছে যাবে ভোটকেন্দ্রে। প্রবাসী ভোটারদের জন্য সোমবার থেকে ব্যালট ছাপানো হচ্ছে।
নির্বাচনে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি, আধা সরকারি এবং সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নেওয়া হবে। বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের এই মুহূর্তে ভোটের কাজে নিযুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ব্যাংক, পোস্ট অফিস খোলা থাকবে ইসির প্রয়োজন অনুযায়ী। তফসিলের পর নতুন কোনো প্রকল্প অনুমোদন করতে পারবে না উপদেষ্টা পরিষদ। উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্যই পদে বহাল থেকে ভোট করতে পারবে না। আইন যাদের পারমিট করবে তারাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
এছাড়া, নির্বাচনী পোস্টার নিয়ে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পোস্টার সরাতে, না সরালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমকে
জাতীয়
ভোট দিতে ২ লাখ ২৩ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৭১ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার নিবন্ধন করেছেন।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধনকারীদের মধ্যে ২ লাখ ৩ হাজার ৩৬২ জন পুরুষ ভোটার ও ২০ হাজার ১০৯ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
দেশভিত্তিক নিবন্ধনের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবে ৫১ হাজার ৫৭২ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ হাজার ৫৭৮ জন, কাতারে ১৩ হাজার ৮৯ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ হাজার ৪৯২ জন, মালয়েশিয়ায় ১২ হাজার ১১৬ জন, সিঙ্গাপুরে ১২ হাজার ১০৬ জন, যুক্তরাজ্যে ১১ হাজার ১৯৬ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯ হাজার ৫১০ জন, কানাডায় ৯ হাজার ২৬৯ জন, ওমানে ৮ হাজার ৭০৭ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৭ হাজার ৯২৩ জন, ইতালিতে ৭ হাজার ৬০৭ জন এবং জাপানে ৬ হাজার ৯৬৯ জন।
এ ছাড়া ইসির এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটার, নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণ পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট (www.ecs.gov.bd) ভিজিট করতে বলা হয়েছে।
আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের ‘টিম লিডার’ সালীম আহমাদ খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনের সময় সঠিক ঠিকানা দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে ইসি এক বার্তায় জানায়, ‘পোস্টাল ব্যালট পেতে হলে অ্যাপে নিবন্ধনের সময় প্রবাসী ভোটারের অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা দিতে হবে। প্রয়োজনে কর্মস্থল বা পরিচিতজনের ঠিকানাও দিতে হবে। সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান করা ছাড়া পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারগণের কাছে পাঠানো সম্ভব হবেনা।’
আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া বিশ্বের সব দেশের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।
এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, ‘আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং এর ব্যাপারে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছে। এখন সারা বিশ্বের যেকোন জায়গা থেকেই আমাদের এই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।’
গত ১৮ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেন।
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যে দেশ থেকে ভোট দেবেন সে দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
নিবন্ধনের জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।
জাতীয়
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ১১৪ জনের মরদেহ তোলা হচ্ছে আজ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে মরদেহ তোলা হবে আজ (রোববার)। রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে মরদেহগুলো তোলার পর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে সেখানে কাজ শুরু করবে সিআইডি। মরদেহগুলো তোলার পর ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা নিয়ে আবার যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাফন করা হবে।
সিআইডি প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ শহীদদের মরদেহ তোলার আগে রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে এ নিয়ে ব্রিফিং করবেন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুয়িস ফনডিব্রাইডার, ফরেনসিক অ্যানথ্রোপোলজিস্ট ও ফরেনসিক কনসালট্যান্ট।
জানা গেছে, যে জায়গায় শহীদদের দাফন করা হয়েছে, সেই জায়গা সিটি করপোরেশনের বিশেষ উদ্যোগে মার্বেল পাথর, টাইলস দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। রায়েরবাজার কবরস্থানে জুলাই আন্দোলনে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ উদ্ধারে কবরস্থান এলাকায় তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদনটি করেন মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলাম।
জাতীয়
প্রেস সচিবের ‘রহস্যময়’ ফেসবুক পোস্ট
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক ‘রহস্যময়’ পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে তিনি ওই পোস্ট দেন। পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ডরে আমার ভয় কাঁপতেছে!!।
ফেসবুকে তিনি এ কথা কেন লিখেছেন বা এর মর্মার্থ কী সে বিষয়ে কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও পোস্টটি নিয়ে আলোচনায় মেতেছেন নেটিজেনরা। এছাড়া পোস্ট করার পর তিন ঘণ্টার মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি রি-অ্যাক্ট জমা পড়েছে।
মন্তব্যের তলায় জমা পড়ছে একের পর এক মন্তব্য। কেউ কেউ এর জন্য প্রেস সচিবের আলোচিত সেই মাফলারের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। কে এম সজীব নামের এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘মাফলার পেঁচিয়ে নেন, কাঁপাকাঁপি কমবে।’ সুইটি সাজিদা প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘আপনার মাফলারটা কই?’
বেশ কয়েকজন গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ তুলছেন। কেউ কেউ মজার ছলে লিখেছেন, ‘আপা আসার আগে পালিয়ে যান।’
রিক রিদওয়ান নামের এক আইডি থেকে সম্প্রতির আতঙ্ক ভূমিকম্পের প্রসঙ্গ সামনে আনা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘ডরে ভাই গোটা দেশই কাঁপছে – দেখেন না সব কেমনে নড়েচড়ে উঠল।’
প্রেস সচিবের ওই পোস্ট নিয়ে রহস্য থেকে গেলেও তার পরবর্তী পোস্ট বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্ট। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন তিন।
রাত ৮টা ২১ মিনিটে দেওয়া ওই পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, অন্তর্বর্তী সরকার খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে সাহায্য করছে কি না। উত্তরে তখন প্রেস সচিব বলেন, সরকার বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত তার পরিবারের সকল অনুরোধ সুবিধাজনকভাবে পূরণ করা অব্যাহত রাখছে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘সরকার দেশবাসীকে বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা অব্যাহত যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি মুক্তি পান। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং ১১৭ দিন চিকিৎসার পর ৬ মে দেশে ফেরেন। এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
সিসিইউতে গত ১৩ দিন ধরে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বিদেশ যাত্রা তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে।



