অর্থনীতি
বাংলাদেশের দুই খাতের সংস্কার পর্যবেক্ষণ করবে আইএমএফ
বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ। এই ঋণ কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছে আইএমএফের একটি দল। এবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে তারা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন।
আইএমএফের ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য আইএমএফের একটি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে। এবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। একটি হচ্ছে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর মাধ্যমে রাজস্ব খাতে সংস্কার। অন্যটি আর্থিক খাতের সংস্কার।
কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেছেন, বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। চলমান কর্মসূচির সফলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সংস্কারের মূল ক্ষেত্রগুলোতে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে। এ সময় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
এছাড়া, প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির বিষয়েও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের মতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪২ শতাংশে নামতে পারে এবং পরের অর্থবছরে তা আরও কমে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশে নেমে আসবে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক এই সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সংস্কার বাস্তবায়নের গতি ও প্রত্যাশার তুলনায় ধীর মূল্যস্ফীতি হ্রাসের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
এছাড়া, আইএমএফ জ্বালানি সরবরাহে সীমাবদ্ধতা এবং বৈশ্বিক নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে সম্ভাব্য বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেছে।
অর্থনীতি
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
দীর্ঘ ৩ মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। দিনাজপুরের হিলি দিয়ে এ চালান এসেছে বাংলাদেশে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় পেঁয়াজ আমদানির এ চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমদানিকারক রকি এন্টারপ্রাইজের আব্দুল মালেক বাবু। তিনি জানান, আপাতত এ চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
এদিকে আমদানির খবরে কমেছে পেঁয়াজের দাম। দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
সরেজমিনে রোববার সকালে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১০০ টাকা এবং দেশি শুকনো মানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভারত থেকে আমদানির খবরে মোকামে দাম কমে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও কমেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের আরেক পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এটি অল্প পরিসরে। প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। সরকারের কাছে অনুরোধ পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। তাহলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।
এমকে
অর্থনীতি
নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.২৯ শতাংশ
শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুম হলেও খাদ্য খাতে চলতি বছরের নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এর আগের মাস অক্টোবরে এই হার ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর গত বছরের নভেম্বরে এ হার ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশে, যা আগের মাস অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমেছে। এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০২৪ সালের নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
খাদ্যবহির্ভূত (নন-ফুড) খাতে নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে ৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাস অক্টোবরে ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বরে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এমকে
অর্থনীতি
আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার
দেশের বাজার সহনীয় রাখতে আজ রবিবার (০৭ ডিসেম্বর) থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রত্যেকটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে যে সব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন তারাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, মাসখানেক আগে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকার মতো বেড়ে যায় দাম। প্রতি কেজির দর ওঠে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। এরপর সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দর কিছুটা কমতে থাকে। ধীর ধীরে কমে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় নেমে আসে।
গত সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত আছে। নতুন পেঁয়াজও শিগগিরই বাজারে চলে আসবে। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের এমন পদক্ষেপের সুযোগ নিচ্ছেন মজুতদার ব্যবসায়ীরা। ফলে ফের দাম বাড়ছে।
তবে টিসিবির হিসাবে, গত বছরের চেয়ে এখনও ১০ শতাংশ কম দর রয়েছে পেঁয়াজের। এদিকে বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ না এলেও পাতাযুক্ত পেঁয়াজ এসেছে। প্রতি কেজি কেনা যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি করা হবে না এমন খবরে দর বেড়েছে। মজুতদার ও কৃষক পর্যায়ে দর বাড়ার কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গত ৯ নভেম্বর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা বাজারে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। দেশে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজের মজুত রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। তারপরও যদি আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে দাম না কমে তাহলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
অর্থনীতি
ভর্তুকি দিয়ে শিল্প চালানো সম্ভব নয় : শিল্প উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ভর্তুকি দিয়ে শিল্প চালানো সম্ভব নয়। আমাদের সময়ে বা আগামী সরকারের সময় ভালো খবর আসবে। দেশি উদ্যোক্তাদের প্রতি আমাদের আগ্রহ বেশি। তারা যেন আমাদের সহযোগী হয়ে আসেন, সেজন্য আমরা আলোচনা করছি।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর চিনিকল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করা আপাতত বন্ধ। কারণ আমাদের দেশের চিনিকলগুলোতে উৎপাদিত যে চিনি জমা রয়েছে, সে চিনি আগে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করছি। এটা চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, চিনিতে লাভ খুব দ্রুত আসে না। আমাদের দেশের চিনিকলগুলো ব্রিটিশ আমলের তৈরি। আমাদের সারা দেশের যে চাহিদা তার ছোট অংশ আমরা দেশীয়ভাবে শোধ করতে পারি। আমাদের সক্ষমতা শুধু চিনির ওপর না থেকে চিনির সঙ্গে অন্য কিছু উৎপাদনের চিন্তা করছে সরকার।
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দীন, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাবসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
অর্থনীতি
২ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বাড়লো পেঁয়াজের দাম
পর্যপ্ত মজুদ থাকা স্বত্বেও দেশের খুচরা বাজারে দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন অঞ্চল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারেই দাম বাড়ছে, যা দ্রুত প্রভাব ফেলেছে খুচরা বাজারে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মজুতদাররা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার অজুহাত তুলে ভারত থেকে আমদানির জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, ইব্রাহিমপুর, কচুক্ষেত, ভাসানটেকসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগেও এই দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।
বেসরকারি চাকরিজীবী মো. শামীম বলেন, ‘এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৬০ টাকা, প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। বাজারে নিশ্চয় কিছু হচ্ছে। সরকারকে নিয়মিত নজরদারি বাড়াতে হবে।’
ব্যবসায়ীরা বলেন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও পাবনার হাটে দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ পাইকারি কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের মাতৃ ভাণ্ডারের মালিক সজীব শেখ বলেন, ‘হাটে ৮০ বস্তা পেঁয়াজ কেনার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় ২০ বস্তা পেয়েছি। ফলে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, ক্রেতারা দাম শুনে হতবাক হচ্ছেন, কেউ কেউ তর্কেও জড়াচ্ছেন। তাঁদের দাবি, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা এবং আমদানি শুরু হলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দাম কমতে পারে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত মৌসুমে কৃষকরা ন্যায্য দাম না পেয়ে সব পেঁয়াজ বিক্রি করে ফেলেছেন। ফলে এখন তাদের কাছে পেঁয়াজ নেই। এই সুযোগে অসাধু মজুতদাররা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়াচ্ছেন। একই সঙ্গে দাম বাড়ার অজুহাত তুলে ভারত থেকে আমদানির জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. জামাল উদ্দীন বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাজারে সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। আমদানির অনুমতি দিতে সরকারকে বাধ্য করতেই সিন্ডিকেটচক্র কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। অথচ এখনো এক লাখ টনেরও বেশি পুরোনো পেঁয়াজ আছে।
এমকে



