রাজধানী
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে মানিক মিয়া এভিনিউ রণক্ষেত্র
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষে মানিক মিয়া এভিনিউ একরকম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশের ব্যারিকেডের জন্য ব্যবহৃত ‘রোড ব্লকার’গুলো একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সেচ ভবনের সামনে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে তৈরি করা অস্থায়ী তাঁবুতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
দুপুর ২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় আন্দোলনকারীদের মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখন আসাদগেটে অবস্থান করছেন আর আসাদগেটের ওপারে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি এখন থমথমে রয়েছে। আগুন দেওয়ার স্থলে প্রচুর পরিমাণ আসবাবপত্র ও সিরামিক্সের থালা-বাসনও ভাঙচুর করা হয়েছে।
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বর্তমানে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এমনকি সাধারণ মানুষের হেঁটে চলাও বন্ধ রয়েছে। এই সড়কের পাশাপাশি মিরপুর সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পুরোটা এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। আন্দোলনকারী জুলাই যোদ্ধারের একটি গ্রুপ আড়ংয়ের দিকে, আরেকটি গ্রুপ খামার বাড়ির দিকে অবস্থান করছে। থেমে থেমে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছে পুলিশ।
বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে আজ। বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা।
তবে এ অনুষ্ঠান ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সংসদ ভবন এলাকায়। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং জুলাই আহত বীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানসহ ৩ দফা দাবিতে সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেন তারা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জুলাই সনদে তাদের স্বীকৃতি থাকবে জানিয়ে তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও আন্দোলনকারীরা আগের অবস্থান চালিয়ে যান। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
রাজধানী
ঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর
বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে আজ ইরাকের বাগদাদ নগরী। অন্যদিকে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি আর ঢাকা রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর)) সকাল ৯টা ৯ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা বাগদাদের দূষণ স্কোর ২৮৫ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর ২৬৪ এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মানও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার দূষণ স্কোর ২৫৪ অর্থাৎ এখানকার বাতাসও খুবই অস্বাস্থ্যকর। এরপর রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।
অন্যদিকে, ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এমকে
রাজধানী
ঢাকায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬
ঢাকার আগারগাঁওয়ে একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের ছয় জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে আগারগাঁওয়ের পাকা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছে।
দগ্ধরা হলেন- মো. জলিল মিয়া (৫০), আনেজা বেগম (৪০), আসিফ মিয়া (১৯), সাকিব মিয়া (১৬), মনিরা আক্তার (১৭) ও ইভা (৬)।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এনে ভর্তি করা হয়।
তাদের জাতীয় বার্নে নিয়ে আসা আরফান মিয়া জানান, ভোরের দিকে আগারগাঁওয়ের পাকা মার্কেট ইসলামি ফাউন্ডেশনের পাশে ২০৪/এফ নম্বর বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুন লেগে যায়। পরে আমরা সবাইকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্নে নিয়ে আসি।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আগারগাঁও থেকে নারী ও শিশুসহ ৬জন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এসেছেন। তাদের ড্রেসিংয়ের কাজ চলছে। এখনো বলা যাচ্ছে না তাদের কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বিস্তারিত আমরা একটু পরে জানাচ্ছি।
এমকে
রাজধানী
বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে রাজধানীর ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ৩০২ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার প্রকাশিত বায়ুমান সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন দূষণের শীর্ষে থাকা ঢাকার চার এলাকায় বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে।
এগুলো হলো- মিরপুরের দক্ষিণ পল্লবী (৩৭৪) ও ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা (৩৫৪), মাদানি সরণির বেজ এজওয়াটার (৩৩৪) এবং কল্যাণপুর (৩০৪)। এছাড়া গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৮৭) ও পীরেরবাগ রেললাইন (২০২) এলাকায় বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো—বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ সকালে ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ২৭ গুণেরও বেশি রয়েছে।
আজ সকালে দেশের সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সূচকে ৩০০ পার করলে যেখানে বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনা করা হয়, সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার স্কোর ৪১২। এছাড়া দেশের আরেক বিভাগীয় শহর খুলনার বাতাসও ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে। এই শহরের একিউআই স্কোর ৩০২।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।
এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এমকে
রাজধানী
দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর চকবাজারে দুটি ভবনে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের সাত ইউনিটের প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আগুন নেভানোর কাজে লালবাগ, পলাশী ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের মোট ৭টি ইউনিট নিয়োজিত ছিল। ইউনিটগুলোর দ্রুত প্রচেষ্টায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের তদন্তকারী দল এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, চকবাজারে মূলত দুটি ভবনে আগুন লেগেছিল। প্রথম ভবনটি তিনতলা বিশিষ্ট। এর মধ্যে নিচ তলা ডালের গোডাউন ও মিল, দ্বিতীয় তলায় কর্মচারীদের আবাসন আর তৃতীয় তলায় লাগেজ ফিটিংস কারখানা। আর দ্বিতীয় ভবনটি দুই তলা বিশিষ্ট। এই ভবনের নিচ তলায় ওয়ার্কশপ ও দ্বিতীয় তলায় অফিস।
এর আগে বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে, পরে আরও তিনটি ইউনিট পৌঁছায়।
একই দিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জহুরি মহল্লায় একটি ৬ তলা আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজধানী
চকবাজারে আবাসিক ভবনে আগুন
রাজধানীর চকবাজারের রহমতগঞ্জ ডালপট্টি এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করেছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চকবাজারে তিনতলা একটি আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে, আরো চারটি ইউনিট পথে রয়েছে।
আগুনে এখনো কোন হতাহতের খবর নেই বলেও জানান তিনি। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।



