জাতীয়
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবেই: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আপনারা সবাই মিলে জাতীয় সনদ তৈরি করেছেন। এখন সরকারের দায়িত্ব হলো উৎসবমুখর নির্বাচন করে দেওয়া।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবেই। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। তার জন্য যা যা করতে হয়, সাধ্য অনুযায়ী আমরা সবকিছু করব। এর সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদ সই হবে ১৭ অক্টোবর। জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে। উৎসবমুখরভাবে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) আমরা সেখানে যাব এবং দলিলে (জুলাই সনদ) সই করব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদ সই হয়ে গেলেই শেষ হয়ে যাবে না। এটা মস্ত বড় একটা অধ্যায় শেষ হলো। কিন্তু আরও বহু অধ্যায়ের সূত্রপাত হবে। কাজেই সেইভাবে আমরা আগাবো, যাতে এটা কোথাও হারিয়ে না যায়। পাঠ্যবইসহ নানা জায়গায় এটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যে দলিলগুলো আপনারা তৈরি করেছেন সেগুলো হারিয়ে যাবে না। আমি যতদিন পারি চেষ্টা করব এগুলো যেন প্রত্যেকের কাছে যায়। যেন সবার মনের মধ্যে থাকতে পারে কেন আমরা একমত হতে পেরেছি। একমত হওয়া এক জিনিস, এটাকে সঞ্চারিত করা আরেক জিনিস। এই সঞ্চারণের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে সরকার হিসেবে, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করব। বিষয়গুলো জনগণের কাছে প্রচার করার মতো ভাষায় প্রচার করতে হবে। আমি বলে রেখেছি, আপনারা যে বিতর্কগুলো করেছেন এগুলো অমুল্য সম্পদ। এইগুলোকে বিষয়ভিত্তিকভাবে ভিডিও করে, বই করে আমাদের কাছে থাকবে, যাতে হারিয়ে না যায়। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রচার করলে সবার কাছে পরিষ্কার হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে অসম্ভবকে আপনারা সম্ভব করেছেন সেটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে না পৃথিবীর রাজনৈতিক ব্যবস্থার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে। আপনারা কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং সমাধানে এসেছেন। নিজেরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন, একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। এজন্য আজকে জুলাই সনদ রচিত হয়েছে। সেজন্য আমি একা নই, জাতির সবাই অভিভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে যেই পয়েন্টে এসেছি, সেটা একটা অবিশ্বাস্য কাণ্ড। মানুষ চিরদিন স্মরণ করবে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করছে। আমি একজন ব্যক্তি হিসেবে গর্ববোধ করছি, যে এই কাজের সঙ্গে আমি শরিক ছিলাম, অংশীদার ছিলাম। যেই অসম্ভব কাজ আপনারা করলেন এটা যুগযুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইতিহাসের স্বর্ণ অক্ষরে লিখে রাখার মতো একটা দিন।
বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
জাতীয়
ভোলার গ্যাস দেশের কাজে লাগানো হবে: শিল্প উপদেষ্টা
ভোলার গ্যাস সম্পদকে সারাদেশের কাজে লাগাতে চায় সরকার এমন মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেন, ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে। দেশের অন্য জেলায় তো এত গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। ভোলার সেই গ্যাস আমরা দেশের কাজে লাগাবো। ভোলার গ্যাস দিয়ে সার কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। তার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাবিত দুটি স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় তার সঙ্গে পরিদর্শনে আরও ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মো. ফওজুল করিম খান ও বাণিজ্য, বস্ত ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
জাতীয়
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার ১২ প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শরিফুল ইসলাম জানান, ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় তাদের কার্যক্রম স্থগিত থাকায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন দলটিকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকা থেকেও বাদ দিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় দুই নেতা ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন, অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা সংকট, এবং বিমান ও সামুদ্রিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক এবং ভোটার উপস্থিতি হবে ব্যাপক। বড় ধরনের ভোটার উপস্থিতি থাকবে। লাখো তরুণ প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। গত ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের তিনটি সাজানো নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না।’
বৈঠকে ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনাও তুলে ধরা হয়। প্রধান উপদেষ্টা জানান, বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক গবেষণার জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা জাহাজ ক্রয় করছে।
মন্ত্রী চ্যাপম্যান দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল খাতে আরও দৃঢ় সম্পর্ক গড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান শিগগির বাংলাদেশ সফর করবেন।’
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ নির্বাচন অংশ নিতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সফররত যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন, অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলা, বাণিজ্য বাড়ানো, রোহিঙ্গা সংকট, বিমান ও নৌ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে এবং ভোটার উপস্থিতিও হবে ব্যাপক।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের সময়কার তিনটি ‘কারচুপির নির্বাচনে’ ভোট দিতে না পারা কোটি তরুণ এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ নির্বাচন অংশ নিতে পারবে না। এ কারণে নির্বাচন কমিশন দলটিকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকেও বাদ দিয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সূচনা হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেবে, যা গত বছরের ঐতিহাসিক জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া লাখো মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করে।
মন্ত্রী জেনি চ্যাপম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনুসকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জুলাই সনদ নিয়ে ন্যাশনাল কনসেনসাস কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান আলোচনাকেও প্রশংসা করেন।
চ্যাপম্যান যুক্তরাজ্যের আশ্রয় ব্যবস্থার অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসনের ওপর জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা একমত হয়ে জানান, তার সরকার নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার বৈধ পথে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রহণে বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা তরুণরা আশাহীন, বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। তাদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতেই হবে।
বৈঠকে ঢাকা-লন্ডনের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক গবেষণা চালাতে একটি ব্রিটিশ গবেষণা জাহাজ ক্রয় করছে।
এসময় চ্যাপম্যান দুই দেশের বিমান খাতে আরও দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান শিগগির বাংলাদেশ সফর করবেন।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা চূড়ান্ত, আনা হলো যেসব পরিবর্তন
সরকারি স্কুলে ভর্তিতে এবারও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। লটারি প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তাপূর্ণ হওয়ায় ভালো স্কুল পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় থাকে শিক্ষার্থীরা। লটারির মাধ্যমে ভর্তিতে ‘অসুস্থ’ প্রতিযোগিতা কমানোর কথা বলা হলেও বিভিন্ন কোটা রাখা নিয়ে আপত্তি রয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী- এবারও স্কুলে ভর্তিতে ৬৩ শতাংশ কোটা বণ্টন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এরমধ্যে ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা ৪০ শতাংশ। এ কোটা নিয়ে আপত্তি রয়েছে অনেক অভিভাবকের। বিশেষ করে যারা কর্মসূত্রে ঢাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন, তারা এ কোটা পদ্ধতি বাতিল চান।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির কর্মকর্তাদের দাবি, বিশৃঙ্খলা ও ভোগান্তি এড়াতে ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা রাখা হয়। এতে শিশুরা নিজের আশপাশের এলাকার বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান। বাকি অন্য কোটা খুবই কম।
এবার প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালায় দেখা যায়, মোট শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, স্কুলের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা যারা, তাদের সন্তানদের জন্য-এ কোটা রাখা হয়। এ কোটায় ভর্তির জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের কার্যালয় থেকে প্রত্যয়নপত্র নিতে হয়। অনেক সময় যারা ভাড়াটিয়া, তাদের এ প্রত্যয়নপত্র নিতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়।
রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন ফাহমিদুল হক। তার সন্তানকে গত বছর লটারিতে পছন্দের স্কুলে ভর্তির চেষ্টা করেও পারেননি। এবারও তিনি সন্তানের জন্য আবেদন করবেন। অভিভাবক ফাহমিদুল হক গত বছর ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন বলে জানান।
তিনি বলেন, এ কোটার ক্ষেত্রে অনেকে অনলাইনে জালিয়াতি করেন। ভিন্ন ভিন্ন এলাকার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও অনলাইন আবেদনের সময় ক্যাচমেন্ট এরিয়া সুবিধাজনক এলাকা দেন। সন্তান লটারিতে টিকে গেলে তখন মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে নেন। এটা এক ধরনের জালিয়াতি।
এদিকে, ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী বাকি যে ২৩ শতাংশ কোটা সেগুলো হলো- মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনরা ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
অন্যদিকে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ আসন অবশ্যই বরাদ্দ রাখতে হবে।
নীতিমালার বাইরেও অলিখিত এক কোটা রয়েছে। সেটা হলো-দূর থেকে বদলি হয়ে আসা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ আসন কোটায় সংরক্ষণ করা হয়। আর সরকারি হাইস্কুলগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তানরাও কোটা সুবিধা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, যদিও আমি শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা, তারপরও আমার মনে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য যে কোটা রাখা হয়েছে, সেটার প্রয়োজন নেই। যদিও সেটা খুবই অল্প। আর ক্যাচমেন্ট এরিয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে। জালিয়াতি হয় বলেও তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়ম কঠোরভাবে মানতে হবে। তাহলে এ কোটার নেতিবাচক দিক নেই।
জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বি এম আব্দুল হান্নান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে সভা করে এ নীতিমালা ঠিক করা হয়। এবার যে নীতিমালা করা হয়েছে, সে অনুযায়ী লটারির মাধ্যমে ভর্তি করানো হবে। যদি এ নিয়ে কোনো আপত্তি থাকে বা ভবিষ্যতে ওঠে, তাহলে মন্ত্রণালয় আলোচনাসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে।
জাতীয়
গণভোট নিয়ে সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর সিদ্ধান্ত: সিইসি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সরকার থেকে গণভোট নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পেলে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ইসির মতামত কী, নির্বাচন অনুষ্ঠান করা চ্যালেঞ্জ হবে কি না, সংসদ নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এখানে আমি সংলাপে ছিলাম। আমি বক্তব্য শুনিনি। কী বলেছেন, কোন লাইনে বলেছেন আমি জানি না।
তিনি বলেন, যেহেতু আমি শুনিনি, বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমরা ফরমালি বিষয়গুলো জানলে, এক্সারসাইজ করে, সবাই বসে কমিশনে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের মতামত দিতে পারবো। এখন মতামত দেওয়া যথার্থতা হবে না। আমি বক্তৃতাটাই শুনিনি আসলে। আমি মতামত দিতে চাই না।



