ক্ষমতার পালাবদল যেন কেবল দুর্নীতির পালাবদল না হয়, বরং নির্বাচিত সরকারকে অবশ্যই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় আগামী নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মজুমদার তার বক্তব্যে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে নির্বাচিত সরকারের ওপর বেশ কিছু দায়িত্বের কথা তুলে ধরেন। তার মতে, গণতন্ত্র তখনই সুরক্ষিত থাকবে, যখন নির্বাচিত সরকার পরবর্তী নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যবস্থা করবে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করবে এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দেবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও দুর্বৃত্তায়নমুক্ত হতে হবে এবং কাঠামোর পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, কতগুলো আইনি, কাঠামোগত ও পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করতে হবে। তবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে ও সুরক্ষিত থাকবে। তা না হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।
গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে তিনি গণভোটের গুরুত্বারোপ করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি গণভোট হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা-ই হবে চূড়ান্ত। একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গণভোটের সফলতার ওপর নির্ভর করছে।
সংস্কারের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ড. মজুমদার আরও বলেন, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংস্কার প্রক্রিয়া অনেক এগিয়ে যাবে। যেসব বিষয়ে বিএনপি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছিল, সেসব বিষয় জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে জনগণের মতামত নিয়েই সবকিছু বাস্তবায়িত হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই অন্তর্বর্তী সরকার কমিশন গঠন করেছে, এবং তিনি বিশ্বাস করতে চান যে তারা নিরপেক্ষভাবে এই কমিশন গঠন করেছেন।