পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমলো আরও ৮ হাজার কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে (০৫ অক্টোবর থেকে ০৯ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এই মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা বা ১.০৯ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩২.০৭ পয়েন্ট বা ২.৪৪ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪৮.৮০ পয়েন্ট বা ২.৩৪ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩৭.৭১ পয়েন্ট বা ৩.২২ শতাংশ।
তবে সূচকের পতনের পরও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৪২৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৭ কোটি ২ লাখ টাকা বা ৫.৯৭ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৫৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৬২০ কোটি ১০ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৯টি কোম্পানির, কমেছে ২৯৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানালো ওয়াটা কেমিক্যালস
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ ১০ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৪ পয়সা । আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৬৭ পয়সা।
গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৯ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৬ টাকা ৮৩ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৬১ টাকা ৯ পয়সা।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ নভেম্বর।
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ দেবে ন্যাশনাল টিউবস
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা।
গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৩ টাকা ৬৮ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৩৭ টাকা ৬১ পয়সা।
আগামী ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১১ টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ নভেম্বর।
পুঁজিবাজার
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না আল-আমিন কেমিক্যাল
ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) কোম্পানি আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোন প্রকার লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২ পয়সা (০.০১৮)।
গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১ টাকা ৬ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩৫ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪ টাকা ২৮ পয়সা।
আগামী ২১ ডিসেম্বর, সকাল ১২ টা ১০ মিনিটে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ নভেম্বর।
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ দেবে সামিট অ্যালায়েন্স
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৮৫ পয়সা । আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৭৫ পয়সা।
গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল ২ টাকা ৪৫ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর, সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ নভেম্বর।
পুঁজিবাজার
মার্জিন ঋণের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসির নতুন বিধিমালা জারি
পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণ কার্যক্রমের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে “বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন) রুলস, ২০২৫” জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নতুন এই বিধিমালা বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। যা গত ৩০ অক্টোবর অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুঁজিবাজারে গ্রাহক ঝুঁকি, প্রতিপক্ষ ঝুঁকি, প্রতিষ্ঠানিক বা মার্জিন অপারেশনের ঝুঁকি, পদ্ধতিগত ঝুঁকি এবং স্বার্থের দ্বন্দ্ব হ্রাস করাই এই বিধিমালার মূল উদ্দেশ্য।
গেজেটে আরও বলা হয়, এই নতুন বিধিমালা মার্জিন অপারেশন ও তার ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া এবং সার্বিক পুঁজিবাজার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। ঝুঁকিমুক্ত ও সুশৃঙ্খল বাজার পরিচালনার স্বার্থে বিএসইসি এই নিয়ম জারি করেছে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর ৩৩(১) ধারা অনুযায়ী প্রণীত এই বিধিমালা “বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন রুলস, ১৯৯৯)” রহিত করে কার্যকর হবে।
বিধিমালার প্রথম অধ্যায়ে বলা হয়েছে, এটি ইকুইটি সিকিউরিটিজে মার্জিন অপারেশনের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং স্টকব্রোকার, মার্কেট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের অধীনে থাকা মার্জিন ঋণ কার্যক্রমে এর প্রভাব পড়বে।
গেজেট অনুযায়ী, এই নতুন বিধিমালা সরকারী গেজেটে প্রকাশের তারিখ থেকেই কার্যকর হবে।
নতুন বিধিমালার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও স্বচ্ছতা আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিএসইসি।
এমকে



