টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানী ঢাকায় কাঁচা মরিচের দাম হু হু করে বাড়ছিল। স্বস্তির খবর বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। বাজারে প্রতিকেজি মরিচ পাওয়া যাচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। তবে সব ধরনের সবজির দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। মুলা, কচুর লতি, চিচিঙা, গোল বেগুন, করলা, লম্বা বেগুন, পটল, ধনে পাতা, ঢ্যাঁড়স, বরবটিসহ সব ধরনের সবজির বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, সেগুনবাগিচা ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা বলেন, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। গত সপ্তাহে তা ৩৫০ টাকার ওপরে ছিল। টানা বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন জেলার মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে, ফলে সরবরাহ কম ছিল। এখন আবার সরবরাহ বেড়েছে। অন্যদিকে, বেড়েছে ডালের দাম।
এদিকে, শীতের আগাম সবজি বাজারে এলেও দাম রীতিমতো আকাশছোঁয়া। এর মধ্যে শিম ২০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, খুচরা বাজারে এক কেজি মসুর ডালের দাম এখন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। এই দাম ছোট দানার; অর্থাৎ সরু মসুর ডালের। গত দেড় মাস আগে বাজার থেকে এই ডাল কেনা যেত ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়; অর্থাৎ দেড় মাসের ব্যবধানে ছোট দানার মসুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। মসুর ডালের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে খুচরা বাজারে ছোলা ও অ্যাংকর ডালের দামও কিছুটা বেড়ে গেছে।
রামপুরা বাজারের ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, সবজির তেমন ঘাটতি না থাকলেও ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। দুই সপ্তাহ আগে তেলের দাম বেড়েছিল। এখন ডালের দাম বাড়ছে। এ কারণে সাধারণ মানুষের সংসার খরচে হিমশিম খাচ্ছে।
এদিকে, বাজারে মাছ-মাংসের দাম আগের মতো চড়া দামে আটকে আছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি ৩০০-৩২০ টাকা, কক মুরগি ২৬০ থেকে ২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৩০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।