আন্তর্জাতিক
ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা
প্রচণ্ড শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে। ইতোমধ্যে অঞ্চলটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৮ টার দিকে দেশটির মিন্দানাও অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এবং ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পবিদ্যা কেন্দ্র (ইএমএসসি) থেকে ভূমিকম্পটির মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৪। আর ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অফ ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজির রেকর্ড অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৬। ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৮ কিলোমিটার নিচে আঘাত হেনেছে।
তাৎক্ষণিক এক বার্তায় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সুনামি সতর্কতা সংস্থা প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, সুনামির জলোচ্ছ্বাসের সময় ফিলিপাইনের কোনো কোনো এলাকায় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ১০ ফুট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। আরও বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ-এও আঘাত হানতে পারে সুনামি। এই দুই দেশে জলোচ্ছ্বাসের সময় ঢেউয়ের উচ্চতা ১ মিটার বা ৩ ফুটের বেশি হতে পারে।
ফিলিপাইনের ভূকম্পবিদ্যা প্রধান টেরেসিটো বাকলকল বলেছেন যে তার সংস্থা ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করবে, যা স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে মানায় শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের আঘাতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে দেশটির প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে এক মিটার উঁচু ঢেউয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থাও সুনামির সতর্কতা জারি করেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে উপকূলে বিপজ্জনক ঢেউ আসতে পারে জানিয়েছে তারা।
প্রাথমিক ভূমিকম্পের আধ ঘন্টার মধ্যে ইউএসজিএ একই স্থানে একাধিক আফটারশক রেকর্ড করেছে, যার মধ্যে ৫.৬ থেকে ৬.০ মাত্রার কম্পনও রয়েছে।
মাত্রই সপ্তাহ দুয়েক আগে ৬.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ইন্দোনেশিয়ায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬৯ জন। দেশটির কেন্দ্রীয় সেবু প্রদেশে ওই ভূমিকম্পে আহত হন আরও অনেকে।
আন্তর্জাতিক
হাসিনা ভারতে থাকবেন কি না, সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর: জয়শঙ্কর
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে তিনি এখানে (ভারতে) এসেছিলেন। সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব এই ঘটনার (ভারতে আশ্রয় নেওয়া) ওপর ছিল। এ ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা তাঁকে নিজেকেই নিতে হবে।’ শনিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও ও এডিটর-ইন-চিফ রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা যতদিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি? এমন প্রশ্নে জয়শঙ্কর বলেন, ‘দেখুন, এটি একটি ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি (শেখ হাসিনা) একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছিলেন। আমি মনে করি, সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব এই ঘটনার (ভারতে আশ্রয় নেওয়া) ওপর ছিল। আবার শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা তাঁকে নিজেকেই নিতে হবে।’
এরপর আলোচনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন জয়শঙ্কর। তিনি বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিতের প্রতি ভারতের চাওয়ার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা শুনেছি, বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর অভিযোগ, আগের নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় সমস্যা ছিল। যদি নির্বাচন নিয়েই আপত্তি থাকে, তাহলে প্রথম কাজ হওয়া উচিত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রতিবেশীর প্রতি ভারতের গণতান্ত্রিক অগ্রাধিকারের ওপর জোর দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সব সময় চায় প্রতিবেশী দেশেও জনগণের প্রকৃত মতামত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হোক।’
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। আমি নিশ্চিত, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে যে সরকারই আসুক না কেন, তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিপক্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে এবং আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। শত শত মানুষের প্রাণহানি ও হাজার হাজার মানুষ আহত হওয়ার পর তার টানা ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরই প্রেক্ষিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে গত মাসে ৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনাকে তার অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক
৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো আলাস্কা ও কানাডা
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার ইয়াকুতাতের আশপাশে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক শূন্য।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আলাস্কা ও কানাডার ইউকন সীমান্তের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৭ দশমিক শূন্য মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা আহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গার্ডিয়ান বলছে, ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬ মাইল (১০ কিলোমিটার) ভূগর্ভে উৎপত্তি হয়েছে। এর পরে আরও কয়েকটি ছোট ছোট আফটারশক অনুভূত হয়।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি আলাস্কার জুনো থেকে প্রায় ২৩০ মাইল (৩৭০ কিলোমিটার) উত্তর-পশ্চিমে এবং ইউকনের হোয়াইটহর্স থেকে ১৫৫ মাইল (২৫০) পশ্চিমে আঘাত হেনেছে।
মার্কিন সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরে আপাতত কোনো সুনামির আশঙ্কা নেই।
হোয়াইটহর্সের রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ সার্জেন্ট ক্যালিস্টা ম্যাকলিওড জানান, ভূমিকম্প সম্পর্কে তারা পৃথক দুটি ৯১১ নম্বরে কল পেয়েছেন।
কানাডার ভূকম্পবিদ অ্যালিসন বার্ড বলেন, ইউকনের যে অংশে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এটি ছিল পাহাড়ি এলাকা। সেখানে খুব পরিমাণ মানুষ বসবাস করে।
আন্তর্জাতিক
ভারত বাদ, বাংলাদেশ-চীনকে নিয়ে জোট করতে চায় পাকিস্তান
দক্ষিণ এশিয়ার অকার্যকর সার্ক জোটকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ–চীন–পাকিস্তানকে নিয়ে নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ইশহাক দার গত বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ কনক্লেভ ফোরামে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন ভারতের অনমনীয় অবস্থানের কারণে আটকে থাকা উচিত নয়। তাই বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে মিলে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের সুযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, প্রয়োজন হলে এশিয়ার বাইরের দেশগুলোকেও এই সহযোগিতা কাঠামোয় যুক্ত করা যেতে পারে। চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশ–চীন–পাকিস্তানের কূটনীতিকদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অর্থনীতি ও জীবনমান উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়, যা এই উদ্যোগের ভিত্তি তৈরি করেছে।
সার্ক কার্যত অচল হয়ে আছে ২০১৬ সালে ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার পর থেকে। দক্ষিণ এশিয়ার ২০০ কোটির বেশি মানুষের বাজার থাকলেও সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক বাণিজ্য মাত্র ৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সার্কের এই স্থবিরতা পাকিস্তানকে বিকল্প জোট ভাবনায় এগিয়ে দিয়েছে।
এদিকে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারত–পাকিস্তান সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে, আর গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কেও অস্বস্তি বেড়েছে। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে নেমেছে। ফলে ঢাকার সঙ্গে ইসলামাবাদের যোগাযোগ তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক অবস্থানে আছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নতুন জোটের ধারণা উচ্চাকাঙ্ক্ষী হলেও বাস্তবতা জটিল। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক বাস্তবতা, ভারতের প্রতিক্রিয়া এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা-সংকট এ ধরনের জোটকে প্রতিষ্ঠা করতে বড় বাধা সৃষ্টি করবে। তবে বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং চীন–পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতা আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন ভারসাম্য তৈরি করতে পারে। সার্ক অচল হয়ে পড়ায় পাকিস্তানের এই নতুন উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ আনতে পারে। যদিও তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা এখনও সীমিত। তথ্যসূত্র : আল জাজিরা।
এমকে
আন্তর্জাতিক
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: জয়শঙ্কর
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান সম্পূর্ণই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, তিনি (হাসিনা) যে পরিস্থিতির মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, সেটিই এখন তার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করছে।
হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী রাহুল কানওয়ালের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। রোববার (০৬ ডিসেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এ সময়ে দেশে বিক্ষোভে শত শত মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজারো মানুষ আহত হন। ৭৮ বছর বয়সী হাসিনাকে গত মাসে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল অনুপস্থিত অবস্থায় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এ মামলাটি ছিল তার সরকারের গত বছরের ছাত্র আন্দোলন দমনের সঙ্গে সম্পর্কিত। সামিটে এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, তিনি যে পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, সেটিই এখন মূল বিষয়। তার সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।
বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে জয়শঙ্কর জোর দিয়ে বলেন, ভারত তার প্রতিবেশী দেশে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া’ দেখতে চায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা এখন ক্ষমতায় আছেন, তারা অতীতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। যদি সমস্যা নির্বাচন হয়, তবে প্রথম কাজ হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।
জয়শঙ্কর আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী এবং দুই দেশের সম্পর্ক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই সবচেয়ে ভালো অবস্থায় পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা চাই জনগণের ইচ্ছা একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিফলিত হোক।
এমকে
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি
শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত; বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে দুই দেশের কর্মকর্তারাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের
আফগান তালেবানের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, পাকিস্তানি বাহিনী কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক জেলায় হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেন, আফগান বাহিনী চামান সীমান্তে অযৌক্তিকভাবে গুলি চালানো শুরু করে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের মুখপাত্র মুশাররফ জাইদি বলেন, পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং নিজেদের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তায় অঙ্গীকারবদ্ধ। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ব্যর্থ শান্তি আলোচনার পর এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটলো। যদিও উভয় দেশই নাজুক যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছিল।
গত সপ্তাহে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল কাতার, তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় চলমান আলোচনার সর্বশেষ ধাপ, যার উদ্দেশ্য ছিল অক্টোবরের প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর উত্তেজনা কমানো।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিরোধের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নিরাপত্তা ইস্যু। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তানে আশ্রয় নেয়া জঙ্গিরাই পাকিস্তানে সাম্প্রতিক হামলাগুলো চালিয়েছে। এসব হামলার মধ্যে আফগান নাগরিকদের জড়িত আত্মঘাতী বোমা হামলার কথাও উল্লেখ করেছে পাকিস্তান। তবে কাবুল এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করা যাবে না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের অক্টোবরে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে জড়ায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান, যেখানে প্রাণ হারান বহু মানুষ।
এমকে



