কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের প্রথম ইএসজি প্রতিবেদন প্রকাশ
সিটি ব্যাংক পিএলসি ‘Bank on Solidity, Banking on Sustainability’ শিরোনামে প্রথমবারের মত তাদের এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি টেকসই ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিংয়ের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্রেমওয়ার্ক- যেমন GRI Standards, IFRS S1 ও S2 এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং পূর্ববর্তী সাসটেইনেবিলিটি প্রতিবেদন প্রকাশের ধারাবাহিকতায় এই পূর্ণাঙ্গ ইএসজি প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে জলবায়ু ও পরিবেশ সংক্রান্ত উদ্যোগ সমূহের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সিটি ব্যাংকের বিস্তৃত অবদানকেও তুলে ধরা হয়েছে। সবুজ ও টেকসই অর্থায়নের প্রবৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগের তথ্য এই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও এতে গ্রাহকের পরিবেশ ও সামাজিক ঝুঁকি (ESRM) নির্ণয় কিভাবে অর্থায়নের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে তা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগের পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের তথ্য রয়েছে। এ বছরের প্রতিবেদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ব্যাংকের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের হিসাব প্রকাশ, যা ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি পরিপালনের একটি নজির।
ইএসজি প্রতিবেদন প্রকাশনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘এই ইএসজি প্রতিবেদনটি দায়িত্বশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের কার্যক্রমের প্রতিফলন। আমরা পরিবেশ, সামাজিক এবং সকল ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে আমাদের অংশীদারদের মধ্যে দৃঢ় আস্থা গড়ে তুলেছি। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে টেকসই প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে আমাদের ভূমিকা জোরদার করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের টেকসই যাত্রায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিনিয়োগকারী, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং দায়িত্বশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনুসন্ধানকারী গ্রাহকদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা আরও জোরদার করবে বলে ব্যাংক আশা রাখে।
কর্পোরেট সংবাদ
সাউথইস্ট ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচি
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা অঞ্চলে অবস্থিত ১৮টি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং অভিভাবকদের অংশগ্রহণে “সাউথইস্টএডুফিন’র বৈশিষ্ট্য ও সুবিধাসমূহ পরিচিতি” শীর্ষক এক স্কুল ব্যাংকিং সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বিষয়ক কর্মসূচি আয়োজন করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি।
সম্প্রতি এই কর্মসূচিটি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার তত্ত্বাবধানে পতেঙ্গা উপশাখা কর্তৃক আয়োজন করা হয়, যার মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা খাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারণে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা।
উক্ত অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুম উদ্দিন খান, আঞ্চলিক প্রধান (চট্টগ্রাম) মো. আবদুল মান্নান এবং ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সাউথইস্টএডুফিন-একটি আধুনিক ও সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমকে সহজতর করে। এটি ফি ব্যবস্থাপনা, উপস্থিতি নিরীক্ষণ, গ্রেড ব্যবস্থাপনা এবং অভিভাবক, শিক্ষকদের জন্য যোগাযোগ সুবিধাসহ উন্নত ফিচার প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা সাউথইস্ট ব্যাংকের যে কোন শাখা, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং এবং অন্যান্য ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বেতন ও অন্যান্য ফি সহজে পরিশোধ করতে পারবে।
এছাড়াও, ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং একাউন্ট “তারকা”, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ন্যূনতম জমা, কোন রক্ষণাবেক্ষণ ফি ছাড়াই এবং আকর্ষণীয় মুনাফাসহ সঞ্চয় হিসাব খুলতে পারবে। এর মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক শৃঙ্খলা ও সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্যাংক সর্বদা শিক্ষা খাতে ডিজিটাল রূপান্তর, যুবশক্তির ক্ষমতায়ন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই উদ্যোগটি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন, যা আগামী প্রজন্মের আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষা খাতে প্রযুক্তিনির্ভর, সহজ ও সুবিধাজনক আর্থিক সেবা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্পোরেট সংবাদ
সুবিধা বঞ্চিত তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়াতে কাজ করবে ইউনিসেফ-সিটি ব্যাংক
সিটি ব্যাংক এবং ইউনিসেফ এক নতুন অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী, বিশেষ করে মেয়েদের, কর্মসংস্থান ও উদ্যোগ দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হবে।
সম্প্রতি সিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মাহিয়া জুনেদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিআইও কাজী আজিজুর রহমান, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার জামিল খান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল, যেমন বাগেরহাট জেলার কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা বাজারচাহিদা নির্ভও প্রশিক্ষণ, ক্যারিয়ার কোচিং এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ফলপ্রসূ শিক্ষার সুযোগের ওপর গুরুত্ব দেবে, যাতে পিছিয়ে পড়া তরুণ প্রজন্ম টেকসই জীবিকা গড়ে তুলতে পারে এবং জলবায়ু সহনশীল সম্প্রদায় গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “প্রত্যেক শিশু ও তরুণের স্বপ্ন দেখার, শেখার এবং বিকশিত হওয়ার অধিকার আছে। সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব কেবল দক্ষতায় বিনিয়োগ নয়, এটি শিশুদের আশায় বিনিয়োগ। জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বঞ্চিত কিশোরী ও তরুণীদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে আমরা তাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছি। বেসরকারি খাতের সঙ্গে একযোগে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছি যেখানে প্রতিটি তরুণ অবদান রাখতে পারবে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির সুফল ভোগ করতে পারবে।”
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “বাংলাদেশে ইউনিসেফ দীর্ঘদিন ধরে শিশু ও তরুণদের জীবনোন্নয়ন ও নানা সুযোগ সৃষ্টি করে অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে। এই অর্থবহ অংশীদারত্বে ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একসাথে আমরা তরুণদের, বিশেষ করে মেয়েদের এমন দক্ষতা ও সুযোগ তৈরি করতে চাই যা তাদেরকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।”
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ
দেশের সম্ভাবনাময় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য “উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি’ শুরু করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির রাজশাহী জোন।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে সোমবার (১০ নভেম্বর) মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসুচী শুরু হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খাঁনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শামসুল আরেফীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা ও ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ মো. ইদ্রিস।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো. আইয়ুব আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান মিজি এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাজশাহী জোনপ্রধান মো মনিরুল ইসলাম।
কর্মশালায় নতুন উদ্যোক্তাদেরকে ব্যবসা পরিচালনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, রেকর্ডকিপিং, উদ্ভাবন ও ডিজিটাল ব্যবসা পরিচালনা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
নগদে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদন ফি চার্জ ফ্রি
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই প্রদান করা যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে। বরাবরের মতোই এবারও এক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে – যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের এবং ৩টি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সবগুলো ক্যাডেট কলেজগুলোতে যেকোন আবেদনকারী ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি প্রদান করতে পারছেন কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তাছাড়া নগদ-এর এই ভির্তি ফি’র চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য, ভর্তি প্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট https://cadetcollege.army.mil.bd/ অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ‘Apply Now/Sign Up’ এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ইমেইল অ্যাড্রেস ও জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে ২ হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূইয়া বলেন, “আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি যাতে সারা দেশের যেকোন স্থান থেকে অবিভাবকরা সহজে, দ্রুত এবং সবচেয়ে কম খরচে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষা-সংক্রান্ত যেকোন ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।”
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন ভর্তি ও টিউশন ফি প্রদানের জন্য নগদ ব্যবহার করছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সল্যুশন হিসেবে কাজ করছে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
সুস্থ শরীর ও সুন্দর মনই টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি: ইউসিবি চেয়ারম্যান
সবসময় ব্যস্ততার ছন্দে দৌড়ানো শহর ঢাকায় এক বিরল প্রশান্তি নেমে এসেছিল গুলশানের শাহাবুদ্দিন পার্কে। সংগীত, নৃত্য, যোগ ও ধ্যানের নরম সুরে মুখরিত সেই পার্কে ফিরে এসেছে ঢাকা ফ্লো ফেস্ট ২০২৫—এক উৎসব যা উন্মুক্ত আকাশের নিচে যোগব্যায়াম, নাচ, শিল্প আর সচেতন জীবনচর্চার সম্মিলন ঘটায়। এসময় এক আলোচনায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) চেয়ারম্যান শরীফ জহীর বলেন, সুস্থ শরীর ও সুন্দর মনই টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি।
এই উৎসবে আধুনিক জীবনের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার আহ্বানে বহুমানুষের উপস্থিতিতে এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে। দ্বিতীয় দিনের “পার্টনার্স ইন ফ্লো” প্যানেল আলোচনায় ইউসিবি চেয়ারম্যান বলেন, “ইউসিবি এখন নতুন উদ্যম ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে—যেখানে টেকসই প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের কর্মী, গ্রাহক ও সম্প্রদায়ের সুস্থতা ও কল্যাণই সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আমি বিশ্বাস করি মানবিক সুস্থতা ও সচেতন জীবনদৃষ্টি ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।’’
তার বক্তব্যে প্রতিফলিত হয় ইউসিবির সাম্প্রতিক স্থায়িত্ব-অভিযান—যেখানে কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, “আজকের দিনে ‘ওয়েলনেস’ ও ‘সাসটেইনেবিলিটি’ আর আলাদা কোনো প্রকল্প নয়; এগুলোই আধুনিক প্রতিষ্ঠানের মূল দর্শন, যা তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দিচ্ছে।”
সূর্য যখন গুলশানের আকাশরেখার ওপারে ঢলে পড়ছে, তখনও উৎসবের অংশগ্রহণকারীরা যোগম্যাট থেকে হাসির বৃত্তে, সুরের গভীরতা থেকে নীরব ধ্যানে-প্রবাহিত হচ্ছিলেন এক মননশীল ছন্দে। উপস্থিত অতিথিরা প্রশংসা করেন আয়োজকদের, যাঁরা এমন অনুপ্রেরণাদায়ী ও মননশীল পরিসর তৈরি করেছেন।
এখন প্রতি বছরই নিজের ছন্দে ফিরে আসে ঢাকা ফ্লো ফেস্ট। এটি কেবল একটি ওয়েলনেস ইভেন্ট নয়—এটি এক জীবনধারা, যা নগরবাসীকে মনে করিয়ে দেয় একটু থামতে, গভীরভাবে শ্বাস নিতে এবং নিজের সঙ্গে আবার সংযোগ স্থাপন করতে।
ইউসিবির জন্য এমন একটি উদ্যোগে অংশ নেওয়া কেবল পৃষ্ঠপোষকতা নয়, বরং এক বার্তা— একটি আধুনিক ব্যাংক শুধু আর্থিক সাফল্যের জন্য নয়, বরং মানবিক ভারসাম্য, সামাজিক সম্প্রীতি ও টেকসই অগ্রগতির পক্ষেও দাঁড়াতে পারে।
এমকে



