কর্পোরেট সংবাদ
এস আলমের অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ব্যাংক খাতের অর্থ লুটকারী এস আলম কর্তৃক অবৈধভাবে নিয়োগকৃত অদক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইসলামী ব্যাংক থেকে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারস ফোরাম।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। একই সাথে সারাদেশে ইসলামী ব্যংকের প্রতিটি শাখার সামনে ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম অবিলম্বে ইসলামী ব্যংক থেকে এস আলমের মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত করার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক থেকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের অপসারণের আহ্বান জানান। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে অবৈধ এসব কর্মকর্তাদের অপসারণ করা না হলে শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকরা বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবে বলে জানিয়েছেন।
প্রধান কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. মোহতাছিম বিল্লাহ, হাফিজুর রহমান, ইমাম হোসাইন, মাহমুদুল হাসান, এটিএম সিরাজুল হক, ড.হারুনুর রশিদ, মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও মো. রতন সহ আরো অনেকে।
এসময় ইসলামী ব্যংক গ্রাহক ফোরাম, সচেতন ব্যবসায়ী ফোরাম, ইসলামী ব্যাংক প্রাক্তন ব্যাংকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী চাকুরী প্রত্যাশী পরিষদ, সচেতন পেশাজীবী গ্রুপ, ইসলামী ব্যাংক সিবিএ এবং সচেতন ব্যাংকার সমাজ একই দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এস আলম রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যংক জবরদখল করে নেয়। এ ব্যাংক থেকে বৈধ মালিকদের ভয় দেখিয়ে বিদায় করে। পাশাপাশি বিদেশী শেয়ারহোল্ডারদেরও নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিতাড়ন করে। এ ব্যাংককে নিজের কব্জায় নিয়ে তিনি ইচ্ছামত নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা আয় করেছেন। তিনি কোন রকম বিজ্ঞাপন ছাড়াই পটিয়া চট্টগ্রামের লোক নিয়োগ দিয়ে এ ব্যাংকের চমৎকার কর্মপরিবেশ এবং উন্নত গ্রাহক সেবা ধ্বংস করে দিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংক মানবতা দেখিয়ে এতদিন এসব কর্মকর্তাদের চাকরিতে রেখেছে। এতে ব্যাংকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবছর এসব অবৈধ কর্মকর্তার পিছনে ১৫০০ কোটি টাকার উপরে ব্যায় হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক তাদের বৈধ করার জন্য যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করেছিল। ব্যাংকের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে তারা এ বাংকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বড় ধরণের বিদ্রোহ। এ ধরণে বিদ্রোহীদের ব্যাংকে বহাল রাকার আর কোন বৈধ পথ খোলা নাই। তাদেরকে দ্রুত অপসারণ করার জন্য বক্তারা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। তারা সারা দেশ থেকে মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেয়ার দাবী জানান।
তারা আরো বলেন, অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের অপসারণকে কোন ভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘন বলা যাবে না। ৬৩ টি জেলার মানুষকে বঞ্চিত করে শুধুমাত্র পটিয়া এবং চট্টগ্রামের লোকদের রাতের আঁধারে বাক্স বসিয়ে চাকরি দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছিল। অবৈধ কর্মকর্তাদের অপসারনের মাধ্যমে এ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকরা যেকোন মূল্যে ইসলামী ব্যাংককে মাফিয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।
জানা গেছে, এস আলম ইসলামী ব্যাংক দখলের পর ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন পদমর্যাদায় শুধুমাত্র চট্টগ্রামের ৭২২৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০০ জনের বেশি শুধুমাত্র পটিয়া উপজেলার। সারা দেশের চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে একটি জেলার প্রার্থীদের গোপনে নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকের শৃংখলা চরমভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়াও ব্যাংকের পুরোনো কর্মীদের ব্যাংক থেকে বিতাড়ন করে নিজ উপজেলার লোক নিয়োগ দেয়ার কর্মসূচী হাতে নেয় এস আলম। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে জুলাই বিপ্লব পর্যন্ত ব্যাংকের দেড় শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারিকে নানাবিধ ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় এবং বরখাস্ত করে।
নূরুল হক নামক একজন ড্রাইভার বলেন, আমাকে তৎকালীন এইচআরের একজন প্রতিনিধি ডেকে নিয়ে বলেন “আপনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তা না হলে আপনি সার্ভিস বেনিফিট থেকে বঞ্চিত হবেন।” বাধ্য হয়ে আমি পদত্যাগপত্র জমা দেই। এভাবে বারবার চাপ দেয়া হয়। আমার মত খলিল, আব্দুর রহমান, আব্দুল মোমিন ও দেলোয়ারও পদত্যাগপত্র জমা দিতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, এভাবে ড্রাইভার, মেসেঞ্জার ও ক্লিনারসহ কয়েকশ নিম্নপদস্থ এবং আরো বেশ কিছু কর্মকর্তা ও নির্বাহীদের জোরপূর্বক অবসরে পাঠানো হয়। আমাদের সবারই চাকরির বয়স আরও পাঁচ বছর অবশিষ্ট ছিল। এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিন পটিয়া উপজেলা থেকে লোক নিয়োগ দেয়ার জন্য এমন করেছিল বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাহী বলেন, এস আলমের কথামত ভুয়া বিনিয়োগের ফাইলে সাক্ষর না করায় ব্যাংকের বেশ কজন ঊর্ধ্বতন নির্বাহীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে অপরাধী হিসেবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তার যোগ্যতা ও দক্ষতা মূল্যায়নের জন্য ব্যাংক ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র মাধ্যমে মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করে। এসব কর্মকর্তারা মূল্যায়ন পরীক্ষা দিতে অস্বীকার করে। ২৭ সেপ্টেম্বর এসব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ৫৩৮৫ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে এদের একটি বড় অংশ অর্থাৎ ৪৯৭১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। এর মধ্যে ৪১৪ জন কর্মকর্তা মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেন। যারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ব্যাংক তাদের ওএসডি করেছে এবং বিদ্রোহী ৪০০ জনকে চাকুরিচ্যুত করেছে। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে অপারেশনাল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
কর্পোরেট সংবাদ
নগদে প্লে প্রোটেক্ট সতর্কবার্তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই: কর্তৃপক্ষ
সেবার মানোন্নয়নের জন্য সিকিউরিটি সিস্টেম আপডেট করার সময় গুগল প্লে প্রোটেক্ট সতর্কবার্তা দেখানোর ঘটনায় গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ।
বৃহস্পতিবার রাতে কিছু ব্যবহারকারী গুগলের প্লে প্রোটেক্ট সতর্কবার্তার সম্মুখীন হন। নগদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গুগলের নিজস্ব সিকিউরিটি পলিসির আপডেটের কারণে এ ধরনের বার্তা প্রদর্শিত হয়ে থাকতে পারে। এতে কিছু গ্রাহক বিভ্রান্ত হলেও বিষয়টি চিহ্নিত হওয়ার পর নগদের টেকনিকাল টিম দ্রুত গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং সমাধানের বিষয়ে উভয়পক্ষ কাজ করছে।
নগদ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের অ্যাপ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সব ধরনের আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় নিরাপত্তা মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। ব্যবহারকারীদের কোনো ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাপে সংরক্ষণ করা হয় না বলেও নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে, উদ্ভুত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ব্যবসায়িকভাবে নগদকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ জানিয়েছে নগদ।
কর্পোরেট সংবাদ
এএমএফ এশিয়া মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইমরান কাদির
এশিয়া মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড (ইয়ুথ) শীর্ষক পুরস্কার জিতেছেন দ্য ডেইলি স্টারের বিক্রয় ও বিপণন প্রধান এবং তরুণদের আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ইমরান কাদির। যা এশিয়ার ‘টপ আউটস্ট্যান্ডিং ইয়ুথ মার্কেটার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ নামে স্বীকৃত।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে মোনার্ক ইম্পেরিয়াল হোটেলে এক জমকালো অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের (এএমএফ) ১৭টি সদস্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তিনি এই পুরস্কার জিতেছেন। দেশগুলো হলো- কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেপাল, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ইমরান কাদির বলেন, “এই অর্জন শুধু আমার ব্যক্তিগত নয়, বরং বাংলাদেশের যুবসমাজ ও আমাদের বিপণন খাতের সৃজনশীল চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতি। এএমএফ কর্তৃপক্ষ ও আমার যাত্রার অংশ হওয়া সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”
এএমএফ এশিয়া মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড এশিয়ার শ্রেষ্ঠ মার্কেটিং নেতৃবৃন্দ ও উদ্ভাবকদের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে, যেখানে মহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী পেশাজীবীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ইমরান কাদির পেশায় একজন গণমাধ্যমকর্মী, বর্তমানে দ্য ডেইলি স্টারের বিক্রয় এবং বিপণন প্রধান হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ ও ব্যবসার অংশীদার। তিনি মিশন সেভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও স্প্রীহা ফাইন্ডেশনের ট্রাষ্টি। তিনি ক্লাব জেসিআই লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মার্কেটিং কমিটির সদস্য। বিনিয়োগ বিষয়ে আগ্রহ থেকে তার লেখা বই ‘রোড টু ওয়েলথ’, পাঠক মহলে সমাদৃত।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
সাউথইস্ট ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচি
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা অঞ্চলে অবস্থিত ১৮টি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং অভিভাবকদের অংশগ্রহণে “সাউথইস্টএডুফিন’র বৈশিষ্ট্য ও সুবিধাসমূহ পরিচিতি” শীর্ষক এক স্কুল ব্যাংকিং সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বিষয়ক কর্মসূচি আয়োজন করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি।
সম্প্রতি এই কর্মসূচিটি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার তত্ত্বাবধানে পতেঙ্গা উপশাখা কর্তৃক আয়োজন করা হয়, যার মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা খাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারণে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা।
উক্ত অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুম উদ্দিন খান, আঞ্চলিক প্রধান (চট্টগ্রাম) মো. আবদুল মান্নান এবং ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সাউথইস্টএডুফিন-একটি আধুনিক ও সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমকে সহজতর করে। এটি ফি ব্যবস্থাপনা, উপস্থিতি নিরীক্ষণ, গ্রেড ব্যবস্থাপনা এবং অভিভাবক, শিক্ষকদের জন্য যোগাযোগ সুবিধাসহ উন্নত ফিচার প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা সাউথইস্ট ব্যাংকের যে কোন শাখা, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং এবং অন্যান্য ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বেতন ও অন্যান্য ফি সহজে পরিশোধ করতে পারবে।
এছাড়াও, ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং একাউন্ট “তারকা”, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ন্যূনতম জমা, কোন রক্ষণাবেক্ষণ ফি ছাড়াই এবং আকর্ষণীয় মুনাফাসহ সঞ্চয় হিসাব খুলতে পারবে। এর মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক শৃঙ্খলা ও সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্যাংক সর্বদা শিক্ষা খাতে ডিজিটাল রূপান্তর, যুবশক্তির ক্ষমতায়ন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই উদ্যোগটি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন, যা আগামী প্রজন্মের আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষা খাতে প্রযুক্তিনির্ভর, সহজ ও সুবিধাজনক আর্থিক সেবা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্পোরেট সংবাদ
সুবিধা বঞ্চিত তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়াতে কাজ করবে ইউনিসেফ-সিটি ব্যাংক
সিটি ব্যাংক এবং ইউনিসেফ এক নতুন অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী, বিশেষ করে মেয়েদের, কর্মসংস্থান ও উদ্যোগ দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হবে।
সম্প্রতি সিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মাহিয়া জুনেদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিআইও কাজী আজিজুর রহমান, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার জামিল খান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল, যেমন বাগেরহাট জেলার কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা বাজারচাহিদা নির্ভও প্রশিক্ষণ, ক্যারিয়ার কোচিং এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ফলপ্রসূ শিক্ষার সুযোগের ওপর গুরুত্ব দেবে, যাতে পিছিয়ে পড়া তরুণ প্রজন্ম টেকসই জীবিকা গড়ে তুলতে পারে এবং জলবায়ু সহনশীল সম্প্রদায় গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “প্রত্যেক শিশু ও তরুণের স্বপ্ন দেখার, শেখার এবং বিকশিত হওয়ার অধিকার আছে। সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব কেবল দক্ষতায় বিনিয়োগ নয়, এটি শিশুদের আশায় বিনিয়োগ। জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বঞ্চিত কিশোরী ও তরুণীদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে আমরা তাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছি। বেসরকারি খাতের সঙ্গে একযোগে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছি যেখানে প্রতিটি তরুণ অবদান রাখতে পারবে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির সুফল ভোগ করতে পারবে।”
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “বাংলাদেশে ইউনিসেফ দীর্ঘদিন ধরে শিশু ও তরুণদের জীবনোন্নয়ন ও নানা সুযোগ সৃষ্টি করে অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে। এই অর্থবহ অংশীদারত্বে ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একসাথে আমরা তরুণদের, বিশেষ করে মেয়েদের এমন দক্ষতা ও সুযোগ তৈরি করতে চাই যা তাদেরকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।”
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ
দেশের সম্ভাবনাময় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য “উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি’ শুরু করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির রাজশাহী জোন।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে সোমবার (১০ নভেম্বর) মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসুচী শুরু হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খাঁনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শামসুল আরেফীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা ও ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ মো. ইদ্রিস।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো. আইয়ুব আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান মিজি এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাজশাহী জোনপ্রধান মো মনিরুল ইসলাম।
কর্মশালায় নতুন উদ্যোক্তাদেরকে ব্যবসা পরিচালনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, রেকর্ডকিপিং, উদ্ভাবন ও ডিজিটাল ব্যবসা পরিচালনা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
এমকে



