সারাদেশ
রংপুরে অ্যানথ্রাক্সে শতাধিক গরুর মৃত্যু, আক্রান্ত অর্ধশতাধিক মানুষ
রংপুরে গত দুই মাসে অ্যানথ্রাক্স রোগে মারা গেছে শতাধিক গরু। শুধু তাই নয়, এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। পশুবাহিত এই রোগ অনেকটা অসচেতনতার কারণেই ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের শরীরে। রংপুর ছাড়াও এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে মেহেরপুরসহ কয়েক জেলায়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে যায় যায়, জেলায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১১ জন। চলতি বছরের জুলাই ও সেপ্টেম্বরে রংপুরের পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা যান। একই সময়ে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে অর্ধশত ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা যায়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ গরুর মাংসের নমুনা পরীক্ষা করে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত করেছিল প্রাণিসম্পদ বিভাগ। পরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধিদল ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পীরগাছা সদর এবং পারুল ইউনিয়নের অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ থাকা ১২ জন নারী-পুরুষের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। এর মধ্যে আটজনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পীরগাছা, মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। তবে আইইডিসিআরের তথ্যে যে ১১ জন বলা হচ্ছে, বাস্তবে সে চিত্র ভিন্ন। পশুর টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। আক্রান্তদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকেরও সংকট আছে।
মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০ দিন আগে ইমাদপুর ইউনিয়নের আমাইপুর গ্রামে একটি গরু অসুস্থ হলে জবাই করা হয়। পরে ওই মাংস কাটাকাটি করার পর গ্রামের পাঁচ-ছয় জনের শরীরে ঘা হয় ও অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারা চিকিৎসা নিতে আসলে সেখানে থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়।
মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (রোগনিয়ন্ত্রণ) এম এ হালিম লাবলু বলেন, এই উপজেলায় ১১ জনের শরীরে উপসর্গ পাওয়া গেছে। এ রোগ গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। তাই মানুষকে সচেতন হতে হবে। অসুস্থ গরু জবাই করা বা মাংস খাওয়া যাবে না।
পীরগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একরামুল হক বলেন, ‘শুধু পীরগাছাতেই অন্তত দেড় লাখ পশু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৪০০টি টিকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আরও ৫০ হাজার টিকার চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। সেগুলো এখনও পাওয়া যায়নি।’
মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এই রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আক্রান্ত পশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে সংকট আছে।’
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মো. রাসেল বলেন, আমরা আরও ৫০ হাজার টিকার চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। আপাতত অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আক্রান্তদেরও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রংপুরের সিভিল সার্জন শাহিন সুলতানা বলেন, ‘আক্রান্ত তিন উপজেলায় তিনটি মেডিক্যাল টিম গঠন করে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ওসব উপজেলার মানুষকে আক্রান্ত গরু জবাই না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু ছাইদ বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হওয়ার পরই গত আগস্ট থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছি আমরা।
সারাদেশ
বিএলসি’র সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল, সাধারণ সম্পাদক তালেব
বাংলাদেশ ল’ ইয়ার্স কাউন্সিলের (বিএলসি) সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ২০২৬–২০২৭ মেয়াদের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. আবু তালেব আকন্দ।
বুধবার (০৫ নভেম্বর) সংগঠন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটিতে উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন আলহাজ খন্দকার হাফিজুর রহমান, মো. আব্দুস সাত্তার মোল্লাহ ও মো. জালাল উদ্দিন মানিক।
কার্যকরী কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মো. মাহমুদুল হাসান সৈয়দ, সৈয়দ মুহাম্মদ আব্দুল মতিন, মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ ও মো. আবুল কাশেম। সহ-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মো. খন্দকার মোজাম্মেল হক, মো. ডাজ উখিন এবং মো. সাইদুল ইসলাম খান।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মো. ছনরুল ইসলাম, আর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মো. আব্দুল আওয়াল। অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. নাজিম উদ্দিন এবং প্রচার সম্পাদক হয়েছেন মুফতি মো. শহিদুল ইসলাম। দপ্তর সম্পাদক পদে রয়েছেন মো. শামিম হোসেন, তার সহকারী হিসেবে দায়িত্বে আছেন মো. ইমরুল হাসান ইমন।
সমাজকল্যাণ সম্পাদক হয়েছেন মো. তারিকুল ইসলাম, মানবাধিকার সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ এবং আইন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. আমিনুল ইসলাম মল্লিক।
এছাড়া, মহিলা সম্পাদিকার দায়িত্বে আছেন ইলোরা কাবেরী ইলা, আর সহমহিলা সম্পাদিকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিমু খাতুনকে।
সারাদেশ
ভেদরগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝির সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝির সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে এ উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় বক্তারা মরহুম আনোয়ার হোসেন মাঝির কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরহুমের সুযোগ্য সন্তান সাংবাদিক জাকির হোসেন ও আল-আমিন সুমন মাঝি, সখিপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মাজহারুল ইসলাম সরদার, মানু সরকার যুগ্ম আহ্বায়ক সখিপুর থানা বিএনপি, উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুল মান্নান মাঝি, থানা যুবদল সভাপতি মাসুম বালা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাজীব সরদার, প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন আসামী, যুগ্ম আহ্বায়ক, সখিপুর থানা বিএনপি আজমল হক নান্টু মালত,বৃহত্তর তারাবুনিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান।
জয়নাল আবেদীন মাঝি, সাবেক সহ-সভাপতি, শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদল মিলন মাঝি, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি তোফায়েল আহমেদ সরদার, মনির খাঁন৷ ছাত্রদল সভাপতি নিহাদ মাহমুদ সরদার, জিয়াউর রহমান টিপু মাঝিসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শত বছরে একবার আনোয়ার মাঝিরা জন্ম নেন শফিকুর রহমান কিরণ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ বলেন, আনোয়ার মাঝির মতো মানুষ যুগে যুগে জন্মায় না, শত বছরেও একবার এমন মানুষ দেখা যায়। তিনি ছিলেন অসহায় মানুষের বন্ধু, গরিবের আশ্রয়। অসহায় কেউ সাহায্য চাইলে পকেটে যা থাকতো, তা-ই দিতেন।
তিনি স্মৃতিচারণ করে আরও বলেন, আমি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দেখছি তিনি গরিব-অসহায়দের পাশে ছিলেন সবসময়। আজ যারা তার পাশে ছিল, তারা শত কোটি টাকার মালিক কিন্তু আনোয়ার মাঝি নিজের জন্য কিছুই করেননি, করেছেন কেবল জনগণের জন্য।
তিনি আহ্বান জানান, আমরা যেন তার পরিবারের প্রতি কেউ অন্যায় না করি। আল্লাহ যদি আমাকে সংসদে নেওয়ার তৌফিক দেন, আমি আমার সামর্থ্য ও অর্থ দিয়ে হলেও তার পরিবারের খেয়াল রাখবো ইনশাআল্লাহ। তার প্রতিষ্ঠিত স্কুল-মাদ্রাসা-মসজিদগুলোর এক ইঞ্চি জমিও আমি নষ্ট হতে দেব না।
শেষে তিনি বলেন, যে মানুষ সারাজীবন জনগণের জন্য কাজ করেছে, তার জন্য যদি আমরা নামাজের পর দোয়া না করি, তাহলে আমরা অকৃতজ্ঞ। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন—আমিন। আল-আমিন সুমন মাঝির আবেগঘন বক্তব্য আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝির সুযোগ্য সন্তান আল-আমিন সুমন মাঝি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন, আমার বাবা ৪৪ বছর ইউনিয়ন ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, কিন্তু ৪৪ বছরে ব্যাংকে ৪৪ টাকাও রেখে যাননি। বাবার চিকিৎসা হয়েছিল শফিকুর রহমান কিরণ সাহেব, বিভিন্ন শিল্পপতি, প্রবাসী ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অর্থায়নে। যেখানে তিনি এখন শুয়ে আছেন, সেই জায়গাটিও অন্যের, কারণ নিজের নামে এক খণ্ড জমিও রেখে জাননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাবা নিজের জন্য কিছুই করেননি—সব করেছেন জনগণের জন্য। আজকাল অনেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে যেতে পাকা রাস্তা লাগে, কিন্তু আনোয়ার মাঝি সাহেবের বাড়িতে এখনো কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। তার বাড়ির আঙিনায় আজও কুকুর চলাফেরা করে।
আল-আমিন সুমন মাঝি বলেন, যদি ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে কোনো ভোট রিজার্ভ থাকতো, তবে সেটা ছিল আনোয়ার মাঝি সাহেবের। এর প্রমাণ সাত বছর পর আমার মা ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন। কেউ হিংসা করেও আমার বাবার মতো সম্মান অর্জন করতে পারবে না কারন সম্মান দেওয়ার মালিক এক মাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি যেন আমার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন আমিন। শিক্ষা ও সমাজসেবায় অনন্য ভূমিকা শিক্ষাক্ষেত্রে আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝির অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের আমৃত্যু সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। তার নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ও উন্নত হয় বহু শিক্ষা ও জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যেমন ৮৭নং আব্বাস আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়, হাসান সিদ্দিকীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা, শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা ও সড়ক-ঘাট উন্নয়ন প্রকল্প পরিবার ও সর্বস্তরের মানুষের দোয়া কামনা
তার পরিবার ও অনুরাগীরা বলেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝি ছিলেন এক আদর্শবান, সৎ ও মানবিক নেতা, যিনি আজও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন তার কর্মে ও স্মৃতিতে।
শেষে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া চাওয়া হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন মরহুম আনোয়ার হোসেন মাঝির সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মর্যাদা দান করেন।
রাজধানী
দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে আসতেই ছাত্রলীগের ৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরায় দিনে ময়মনসিংহ জেলা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানারে মিছিলের পর রাতেই জেলায় অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নূর হামীম রুশোসহ তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বিকালে গ্রেপ্তার ৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সকালে রাজধানীতে ময়মনসিংহ জেলা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানারে মিছিলটি হয়।
গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নূর হামীম রুশো (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আলিফ জাহান পার্থ (২০), মো. মারুফ মিয়া (২৫)। তারা সবাই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রলীগ নেতা নূর হামীম রুশো রাজধানীর উত্তরার মিছিলে অংশগ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে পুলিশের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সারাদেশ
শিক্ষার আলো ছাত্র কল্যাণের পুরস্কার বিতরণ
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার আলো ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের ৮ম তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন আসামী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার আলো ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের উদ্যোক্তা ফয়সাল মাহমুদ, আবুল কালাম আজাদ, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আক্তার সরকার।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শিক্ষার আলো ছাত্র কল্যান সংগঠনের সভাপতি জামাল খান। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাহের আলী। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে সাটিফিকেট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এসময় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় এবং অতিথিবৃন্দ তাদের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যে শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে যেমন আলোকিত করে, তেমনি সমাজ ও দেশকেও এগিয়ে নিতে পারে। তারা শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠা ও মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে আদর্শ নাগরিক হয়ে সমাজে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
সারাদেশ
সখিপুরে কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
অধীর প্রতীক্ষার পর আজ শরীয়তপুরে সখিপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫। সকাল ১০টায় একযোগে জেলার ৬টি উপজেলায় ১০টি কেন্দ্রে শুরু হয় এ পরীক্ষা, এতে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী।
সখিপুর থানার পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয় হাজী শরীয়তউল্লাহ ডিগ্রি কলেজে। সকাল থেকেই কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও শিক্ষামুখর।
সখিপুর থানার আওতায় মোট ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৫২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এ পরীক্ষায়।
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফয়েজ আহমেদ, ডা. আব্দুর রাজ্জাক, অফিসার, নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, এবং হাজী শরীয়তউল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অশোক চন্দ্র টিকাদার।
পরিদর্শনকালে অতিথিরা পরীক্ষার সার্বিক পরিবেশ পর্যালোচনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও আগ্রহে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, অধ্যবসায় ও দেশপ্রেম জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উল্লেখ্য, কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবছর আয়োজন করা হয়, যার মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মের মেধা বিকাশ, সৃজনশীল চিন্তা ও নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা বাড়ানো।



