ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

৫০ কোটি ডলার চুক্তির প্রথম চালানে যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ পাঠাল পাকিস্তান

যুক্তরাষ্ট্রে সমৃদ্ধ বিরল খনিজের একটি চালান পাঠিয়েছে পাকিস্তান, গত মাসে বিরল খনিজ নিয়ে দুই দেশের চুক্তি স্বাক্ষরের পর এটিই প্রথম চালান। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ওই অংশীদারত্ব চুক্তিটির বাস্তবায়ন শুরু হলো।

গত বৃহস্পতিবার এই চালানটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউএস স্ট্র্যাটেজিক মেটালস- এর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

গেল সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের ফ্রন্টিয়ার ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (এফডব্লিউও) এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি-ভিত্তিক কোম্পানি ইউএসএসএম -এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এয় পাকিস্তানে একটি পলিমেটালিক রিফাইনারি স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এই ঘটনাকে উভয় দেশের জন্যই সুরক্ষিত ও বৈচিত্র্যময় সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরির পথে একটি অগ্রগতি বলে আখ্যা দিয়েছেন।

ইউএসএসএম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেসি ডব্লিউ. হ্যাস্টি এক বিবৃতিতে বলেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিটিক্যাল মিনারেল সরবরাহের প্রথম পদক্ষেপ, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে এবং পারস্পরিক বন্ধুত্ব জোরদার করবে।”

প্রথম চালানে অ্যান্টিমনি, কপার কনসেনট্রেট এবং বিরল মাটির খনিজ – যেমন নিয়োডিমিয়াম ও প্রাসোডিমিয়াম – অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই নিজস্ব বিরল খনিজ সরবরাহ চক্রকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে, চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে। এজন্য নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। একইসঙ্গে বিরল খনিজ রয়েছে এমন দেশগুলোর সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে ওয়াশিংটন।

চলতি বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের গুরুত্বপূর্ণ খনিজের তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয়, যেখানে কপার ও সিলভারসহ নতুন ছয়টি উপাদান যোগ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয় প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যাতে বিরল খনিজ উত্তোলন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং উৎপাদন খাতে সম্প্রসারণ সম্ভব হয়। এই উদ্যোগ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আনলিশিং আমেরিকান এনার্জি’ শীর্ষক নির্বাহী আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার লক্ষ্য ছিল জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও শিল্পক্ষেত্রে অপরিহার্য বিরল খনিজের দেশীয় সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করা।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার