বাংলাদেশের অর্থনীতি গত দুই দশকে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তবে আর্থিক কাঠামো এখনো ব্যাংক-নির্ভর, যেখানে কর্পোরেট বন্ড মার্কেট কার্যত অনুপস্থিত। দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য শক্তিশালী বন্ড বাজার অপরিহার্য হলেও বাংলাদেশের বিকাশ নানা কারণে বাধাগ্রস্ত। এই প্রেক্ষাপটে বন্ড মার্কেটের গুরুত্ব, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা, প্রধান প্রতিবন্ধকতা, সাম্প্রতিক নীতি উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ এবং করণীয় নীতিগত সংস্কার ও ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম বিকাশমান অর্থনীতির একটি। ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি, প্রবাসী আয় এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ ইতিমধ্যে একটি মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। তবে দেশের আর্থিক কাঠামোতে বড় একটি দুর্বলতা রয়ে গেছে-একটি কার্যকর ও শক্তিশালী বন্ড মার্কেটের অনুপস্থিতি।
যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান, চীন কিংবা ভারত তাদের প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে বন্ড মার্কেটকে অর্থনৈতিক কাঠামোর অন্যতম মূল স্তম্ভে রূপান্তর করেছে, সেখানে বাংলাদেশ প্রায় সম্পূর্ণভাবে ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরশীল। এর ফলে –
•ব্যাংকিং খাতের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে,
•দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন সীমিত হয়ে যাচ্ছে,
•আর্থিক খাতে বৈচিত্র্যের অভাব দেখা দিচ্ছে।
বন্ড মার্কেটকে সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সবচেয়ে কার্যকর উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বলছে-
•যুক্তরাষ্ট্র: বিশ্বের বৃহত্তম বন্ড মার্কেট, প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আকারের (SIFMA, ২০২৩)।
•ভারত: কর্পোরেট বন্ড বাজার GDP-র ১৭% (RBI, ২০২২); গত দশকে বাজার প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
•মালয়েশিয়া: ইসলামিক সুকুক বাজারে বিশ্বসেরা; দেশটির মোট বন্ড মার্কেটের ৬০% সুকুকভিত্তিক।
•ভিয়েতনাম: সাম্প্রতিক কর প্রণোদনা ও নিয়ন্ত্রক সংস্কারের ফলে কর্পোরেট বন্ড বাজার জিডিপির ১৫% এ উন্নীত হয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে কর্পোরেট বন্ড বাজার জিডিপির ১% এরও কম (বিএসইসি, ২০২৪) । এই ব্যবধান দেশের আর্থিক কাঠামোর দুর্বলতাকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।
বাংলাদেশের বন্ড মার্কেটের বর্তমান প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের বন্ড মার্কেটকে মূলত দুটি অংশে ভাগ করা যায়-সরকারি বন্ড বাজার এবং কর্পোরেট বন্ড বাজার। দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে এই দুটি বাজার গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাস্তবে উভয় ক্ষেত্রেই সীমিত কার্যক্রম এবং নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।
সরকারি বন্ড বাজার
সরকারি বন্ড বাজার বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সবচেয়ে স্থিতিশীল অংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজেট ঘাটতি পূরণ এবং অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিতভাবে ট্রেজারি বিল (T-Bill) এবং ট্রেজারি বন্ড (T-Bond) ইস্যু করে।
•T-Bill সাধারণত ৩, ৬ এবং ১২ মাসের জন্য ইস্যু হয়, আর T-Bond দীর্ঘমেয়াদি (২ থেকে ২০ বছর) প্রকল্প অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়।
•সরকারি বন্ড প্রধানত ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, পেনশন ফান্ড এবং অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ক্রয় করে থাকে।
•যদিও সরকারি বন্ড ইস্যু হয়, তবুও সেকেন্ডারি মার্কেট খুব সীমিত, ফলে বিনিয়োগকারীরা সহজে বন্ড বিক্রি বা ক্রয় করতে পারেন না।
•সুদের হার বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। সরকারি বন্ড সাধারণত নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বেশি।
কর্পোরেট বন্ড বাজার
বাংলাদেশে কর্পোরেট বন্ড বাজার কার্যত অনুপস্থিত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কর্পোরেট বন্ডের সংখ্যা হাতে গোনা। উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো বেক্সিমকো গ্রীণ সুকক (২০২১), যা দেশের প্রথম গ্রিন সুকুক। তবে এ ধরনের উদ্যোগ এখনও ব্যতিক্রমী এবং ধারাবাহিক নয়।
•বড় কর্পোরেট সংস্থা সাধারণত ব্যাংক ঋণকে প্রাধান্য দেয়, কারণ এটি সহজলভ্য এবং ঝুঁকিমুক্ত।
•নিয়ন্ত্রক জটিলতা, কর কাঠামো, এবং সেকেন্ডারি মার্কেটের অভাব কর্পোরেট বন্ডের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
•ফলশ্রুতিতে, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য বেসরকারি খাত এখনও প্রধানত ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরশীল, যা ব্যাংক খাতের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে।
সরকারি বন্ড বাজার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য স্থিতিশীল এবং নিরাপদ হলেও, খুচরা বিনিয়োগকারীর জন্য প্রায় অপ্রাপ্য। কর্পোরেট বন্ড বাজার প্রায় অনুপস্থিত, ফলে দেশের অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগের বিকল্প সীমিত। শক্তিশালী নীতি সংস্কার, কর প্রণোদনা এবং সেকেন্ডারি মার্কেট উন্নয়ন ছাড়া কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট বিকাশে চ্যালেঞ্জ
১. ব্যাংক-নির্ভর আর্থিক কাঠামো -ব্যাংকগুলো কর্পোরেটদের সহজে ঋণ দিয়ে থাকে, ফলে তারা বন্ড ইস্যুর পথে আগ্রহী নয়।
২. সেকেন্ডারি মার্কেটের অভাব – সক্রিয় মার্কেট মেকার না থাকায় বন্ড সহজে ক্রয়-বিক্রয় করা যায় না।
৩. তথ্য স্বচ্ছতার ঘাটতি- অনেক কর্পোরেট নির্ভরযোগ্য আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করে না। ক্রেডিট রেটিং কার্যকর হলে ও সবসময় আস্থা তৈরি করে না।
৪. নিয়ন্ত্রক জটিলতা বিএইসির অনুমোদন প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
৫. বিনিয়োগকারীর মানসিকতা -দ্রুত মুনাফার জন্য বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারকে অগ্রাধিকার দেয়, বন্ডে আগ্রহ সীমিত।
৬. কর কাঠামো – উৎসে কর, স্ট্যাম্প ডিউটি ও অন্যান্য চার্জ বন্ড বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে ।
৭. ডেরিভেটিভ মার্কেটের অনুপস্থিতি – ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য হেজিং টুলস না থাকায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে না।
৮. কুপন রেট এ যুক্তি নির্ভর পার্থক্য বাংলাদেশে কর্পোরেট বন্ডে বিনিয়োগে উদ্বৃত্ত করার জন্য, কর্পোরেট বন্ড (ঝুকি নির্ভর) এবং এড়াঃ. ট্রেজারী বন্ড (ঝুকি মুক্ত) এ-ইন্টারেস্ট রেট অথবা কুপন রেট এ যুক্তি নির্ভর পার্থক্য থাকা উচিত।
-৯. ক্রেডিট রেটিং এজেন্সীর উপর নির্ভরতা বিশাসযোগ্য এবং গ্রহনেযোগ্য লোকাল ক্রেডিট রেটিং এজেন্সীগুলোর উপর নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে হবে।
১০. High Risk ওয়েটেড এসেট বন্ডে বিনিয়োগে High Risk ওয়েটেড এসেট- যেটি কিনা ১২৫% থেকে কমিয়ে আনতে হবে।
সাম্প্রতিক নীতি উদ্যোগ
বাংলাদেশ সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী এবং টেকসই করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলো এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, বাজারের কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর আস্থা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
•বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির যৌথ টাস্কফোর্স গঠন।
•গ্রিন বন্ড ও ইসলামিক সুকুক ইস্যুর উদ্যোগ।
•ইলেকট্রনিক বন্ড ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম চালুর প্রক্রিয়া, এটি প্রাতিষ্ঠানিক এবং খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য বন্ড ক্রয় ও বিক্রয় সহজ করবে।
•অবকাঠামো বন্ডের পাইলট প্রকল্প।
সাম্প্রতিক নীতি উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের বন্ড মার্কেটকে সক্রিয় করার দিক দিয়ে একটি ইতিবাচক সূচনা। তবে কার্যকর এবং ব্যাপক প্রভাবের জন্য আরও নীতি সংস্কার, কর প্রণোদনা এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও খুচরা বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা
•ভারত: কর্পোরেট বন্ডে কর ছাড়, বাধ্যতামূলক রেটিং এবং সহজ ট্রেডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাজারকে তিনগুণ বাড়িয়েছে।
•মালয়েশিয়া: ইসলামিক সুকুক বাজারকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রধান উৎসে পরিণত করেছে।
•ভিয়েতনাম: কর প্রণোদনা ও বিশেষ নিয়ন্ত্রক কাঠামোর মাধ্যমে জিডিপির ১৫% পর্যন্ত কর্পোরেট বন্ড বাজার তৈরি করেছে।
•চীন: সরকারি উদ্যোগে বন্ড মার্কেট দ্রুত প্রসারিত হয়েছে; পেনশন ফান্ড ও বীমা খাতকে বন্ডে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য দেশের প্রমাণিত নীতি থেকে প্রাপ্ত অন্তর্দৃষ্টি ব্যবহার করে, নিজস্ব প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো উন্নয়ন এবং সংস্কার কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে। বাংলাদেশে কর্পোরেটরা সহজ সমাধান হিসেবে ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভর করছে। কিন্তু এর ফলে-
•ব্যাংকের উপর ঋণের চাপ বাড়ছে,
•দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প অর্থায়ন সীমিত হচ্ছে,
•বিনিয়োগকারীদের বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং নীতিগত সুপারিশ
আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, একটি শক্তিশালী ও টেকসই বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে তিনটি মূল উপাদান অপরিহার্য:
১.নীতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্কার
২.কর প্রণোদনা
৩.সেকেন্ডারি মার্কেটের সক্রিয়তা
উপরোক্ত অন্তর্দৃষ্টি বিবেচনা করে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিম্নলিখিত নীতিগত সুপারিশ প্রাসঙ্গিক ও প্রযোজ্য:
১.নীতিগত সংস্কার: বন্ড ইস্যু সংক্রান্ত নিয়ম ও প্রক্রিয়াগুলোকে সহজ, দ্রুত এবং স্বচ্ছ করা।
২.কর প্রণোদনা: উৎসে কর এবং স্ট্যাম্প ডিউটি হ্রাসের মাধ্যমে বন্ড ইস্যুকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
৩.সেকেন্ডারি মার্কেট উন্নয়ন: কার্যকর মার্কেট মেকার তৈরি এবং ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম চালু করা।
৪.স্বচ্ছতা বৃদ্ধি: কর্পোরেট ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ এবং ক্রেডিট রেটিংকে বাধ্যতামূলক করা।
৫.প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করা: পেনশন ফান্ড, বীমা কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডকে বন্ডে বিনিয়োগে নীতিগত প্রণোদনা প্রদান।
৬.খাতভিত্তিক বন্ড ইস্যু: গ্রিন বন্ড, ইসলামিক সুকুক এবং অবকাঠামো বন্ডকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশেষ প্রকল্পের জন্য তহবিল নিশ্চিত করা।
৭.বিনিয়োগকারী শিক্ষা ও সচেতনতা: খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে, বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট আরও স্থিতিশীল, স্বচ্ছ ও টেকসই হয়ে উঠতে পারবে এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের বিকল্প পথ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং ব্যাংককেন্দ্রিক আর্থিক কাঠামো কর্পোরেট বন্ড বাজারের সম্প্রসারণকে সীমিত করছে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগের বৈচিত্র্যময় বিকল্প সৃষ্টির জন্য একটি সক্রিয়, স্বচ্ছ ও টেকসই বন্ড মার্কেট অপরিহার্য।
একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ব্যাংক, কর্পোরেট সেক্টর এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও খুচরা বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যথাযথ নীতি সংস্কার, কর প্রণোদনা, সেকেন্ডারি মার্কেট উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকারীর সচেতনতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামী দশকে একটি স্থায়ী, কার্যকর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
এ ধরনের উন্নয়ন শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের জন্য তহবিল নিশ্চিত করবে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও টেকসই করবে, বিনিয়োগের বিকল্প পথ সম্প্রসারিত করবে এবং সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য একটি দৃঢ় আর্থিক কাঠামো স্থাপন করবে । সুসংগত নীতি প্রয়োগ ও বাজার প্রণোদনার মাধ্যমে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্তরের বন্ড মার্কেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হবে এবং ভবিষ্যতের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে।
মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, পরিচালক, এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ই-মেইল: obayad77@gmail.com