মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে দীনা ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করে।
ছবিটি তোলা হয় গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের লোটে প্যালেসে, যেখানে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে আগত বিশ্বনেতাদের সম্মানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এছাড়া তিনি বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। উপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে।
এছাড়া ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত সার্জিও গরের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড পেজ থেকে ছবিটি প্রকাশ করে
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাশাপাশি সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা এমন একটা প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়ে যেতে চাই, যাতে করে পরবর্তী সময়ে যেই সরকার গঠন করুক, সংস্কার কাজ যেন চালিয়ে যায়।
ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা কেবল উন্নয়ন নয়— বরং জবাবদিহিতামূলক, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। আর সেই লক্ষ্যেই সরকার কঠিন সংস্কার যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্থানীয়ভাবে সংবেদনশীল অভিযোজনের নীতিকে মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে। আসন্ন কপ-৩০ সম্মেলনে আমরা তৃতীয় বারের মতো জলবায়ু পরিবর্তন রোধকল্পে আমাদের জাতীয় প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করবো, যেখানে জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রশমন লক্ষ্যের পাশাপাশি অভিযোজন উদ্যোগও থাকবে, গুরুত্ব পাবে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল রক্ষা ও জলাভূমি পুনরুদ্ধার। একইসঙ্গে আমরা আশা করি যে বৈশ্বিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে উচ্চ-কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো, তাদের দায়িত্বটুকু আন্তরিকভাবে পালন করবে। টাকা পাচার রোধে অন্তর্জাতিক কঠোর আইনেরও দাবি জানান প্রধান উপদেষ্টা।
এ বছর ৮০ বছর পূর্ণ করছে জাতিসংঘ। এবারের সাধারণ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য: ‘বেটার টুগেদার: এইট্টি ইয়ারস অ্যান্ড মোর ফর পিস, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।’