সকল ধর্মবিশ্বাসী মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায় একটি কথা—‘ডেস্টিনি’। ধারণা করা হয়, অপরাধ করলে তার বিচার কেবল পরকালে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—তাহলে কি দুনিয়ায় কোনো শাস্তি নেই? যদি আজ কেউ অন্যায় করে, মানুষের ক্ষতি সাধন করে, তবে তার পরিণতি কি আমরা এই জীবনেই দেখতে পাই না?
এই প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হলেই তর্ক-বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকে প্রশ্ন তোলেন—এর প্রমাণ কোথায়? তখনই বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব সামনে আসে। আমি সেই বিতর্কে ঢুকতে চাই না। বরং যেসব বিষয়ে আমরা শতভাগ নিশ্চিত, সেগুলো নিয়েই কথা বলতে চাই। কারণ নিশ্চিত সত্যকে কেন্দ্র করেই সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। দ্বিমত থাকলেও অন্তত সত্য আর মিথ্যার সীমারেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আমাদের বিবেক সক্রিয় থাকলে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একমত হতে পারি। তাই এখন চলুন এমন একটি বিষয়ে মনোযোগ দিই, যা কেবল বিশ্বাস নয়, বাস্তব অভিজ্ঞতার ভেতরেও প্রতিদিন স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়।
আমি দীর্ঘদিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কাজ করেছি। ওষুধ তৈরির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া, গুণগত মান নিশ্চিতকরণ এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের FDA, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের নানা দেশের স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি—স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা কেবল তাত্ত্বিক নয়, বরং মানুষের জীবন-মরণের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
নকল ও ভেজাল ওষুধ: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট
যেমন খাবারে ভেজাল হয়, ঠিক তেমনি ওষুধেও ভেজাল ঢুকে গেছে। নিয়মিত মনিটরিং ও কঠোর আইন থাকলেও বাজারে নকল ও নিম্নমানের ওষুধের উপস্থিতি এখনো ভয়াবহ বাস্তবতা। বিস্ময়কর হলেও সত্য—এই প্রক্রিয়ায় অনেক সময় শিক্ষিত সমাজের অংশ, যেমন ডাক্তার, ব্যবসায়ী কিংবা উৎপাদকও জড়িত থাকে। কঠোর আইন থাকার পরও নকল ওষুধের প্রবাহ রোধ করা যাচ্ছে না; বাংলাদেশও এ সংকট থেকে মুক্ত নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ নিম্নমানের বা নকল ওষুধের কারণে প্রাণ হারান। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। অর্থাৎ এটি কোনো একটি দেশের সমস্যা নয়, বরং বৈশ্বিক সংকট।
উদাহরণ
ভাবুন তো—আপনার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেছে। যদি উপযুক্ত ওষুধ না মেলে, তাহলে স্ট্রোকের ঝুঁকি তীব্র হয়ে উঠবে। ডাক্তার প্রেসক্রিপশন দেবেন, কিন্তু একই নাম বা উপাদানের ওষুধ তৈরি করছে অনেক কোম্পানি। এর মধ্যে যদি নিম্নমান বা নকল ওষুধ পৌঁছে যায়, তখন রোগীর জীবনের ওপর নেমে আসে ভয়াবহ বিপদ। ভুল বা নকল ওষুধের কারণে শরীরের অবনতি যেমন দ্রুত ঘটে, তেমনি অকাল মৃত্যুও ডেকে আনে। আর এই মৃত্যুর দায়ভার তখন কার ওপর বর্তায়—রোগী, ডাক্তার, নাকি সেই ভেজাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অদৃশ্য কারবারিদের ওপর?
ডাক্তারের দায়িত্ব ও নৈতিকতা
সকল দায় এককভাবে কোম্পানির ওপর চাপানো যায় না। একজন ডাক্তার যখন রোগীকে দেখেন, তখন তাঁর হাতে থাকে মানুষের জীবন। অধিকাংশ ডাক্তারই আন্তরিকভাবে রোগীর সুস্থতা কামনা করেন এবং তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো—চিকিৎসা ব্যবস্থার কাঠামোতে নানা ফাঁক-ফোঁকর রয়ে গেছে, যেখানে সৎ ডাক্তারও সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করেন।
ডাক্তারকে ওষুধ লিখতে হয় বাজারে বিদ্যমান কোম্পানির প্রোডাক্ট থেকে। অথচ সব কোম্পানির ওষুধ সমান মানসম্পন্ন হয় না। এখানে দায়িত্বের প্রশ্ন আসে—ডাক্তার কি রোগীর জন্য সবচেয়ে ভালো ওষুধটি বেছে নেবেন, নাকি প্রচলিত প্রথা বা প্রভাবিত ব্যবস্থার কাছে নতি স্বীকার করবেন?
এখানেই নৈতিকতার গুরুত্ব। ডাক্তার যদি মনে করেন—“এই প্রেসক্রিপশনের পেছনে একটি জীবন দাঁড়িয়ে আছে”—তাহলে তাঁর কলমের প্রতিটি দাগই হয়ে উঠতে পারে জীবনরক্ষাকারী অস্ত্র। বিপরীতে, সামান্য অবহেলা বা স্বার্থপর সিদ্ধান্ত রোগীর জন্য হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। তবে এটাও সত্য, সব দোষ ডাক্তারের নয়। সিস্টেমে যদি স্বচ্ছতা ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ না থাকে, তাহলে চিকিৎসা প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলতে পারে না। তাই ডাক্তারদের ব্যক্তিগত সততার পাশাপাশি প্রয়োজন একটি শক্তিশালী ও সৎ স্বাস্থ্যব্যবস্থা, যেখানে দুর্নীতির জায়গা নেই, আর রোগী নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করতে পারে—তার চিকিৎসা সর্বোচ্চ নিরাপদ হাতে রয়েছে।
কোম্পানি প্রতিনিধিদের সীমাবদ্ধতা
ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রতিনিধিরা মূলত ডাক্তারদের কাছে তাঁদের ওষুধের বৈশিষ্ট্য ও নতুন তথ্য উপস্থাপন করেন। তাঁদের কাজ হলো তথ্য দেওয়া, বোঝানো—জোর করা নয়। একজন ডাক্তার কোন ওষুধ প্রেসক্রাইব করবেন, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তাঁর নিজের। তবে বাস্তবতায় দেখা যায়, কোম্পানির সেলস টার্গেট পূরণের চাপ অনেক সময় প্রতিনিধিদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। কেউ কেউ উপহার বা প্রলোভনের আশ্রয় নেয়—যা পেশাদারীত্বের সীমা লঙ্ঘন করে এবং চিকিৎসক-প্রতিনিধির সম্পর্ককে স্বচ্ছতার বদলে সন্দেহের জায়গায় নিয়ে যায়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রেসক্রিপশন কপি সংগ্রহ। অনেক কোম্পানি প্রমাণস্বরূপ প্রেসক্রিপশন কপি চায়, যা রোগীর গোপনীয়তা লঙ্ঘনের শামিল। স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত ব্যক্তিগত ক্ষেত্র; তাই এ ধরনের চর্চা কেবল অনৈতিকই নয়, আইনি দিক থেকেও প্রশ্নবিদ্ধ। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিনিধিদের সীমাবদ্ধতা হলো—তাঁরা সিস্টেমকে পাল্টাতে পারেন না। তাঁরা শুধু বার্তা বহন করেন। রোগীর জন্য সঠিক ওষুধ নির্বাচন, মান নিয়ন্ত্রণ আর নৈতিক ব্যবহারের দায়ভার শেষ পর্যন্ত ডাক্তার, কোম্পানি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার উপরই বর্তায়।
রোগীর গোপনীয়তা
রোগীর প্রেসক্রিপশন শুধু একটি কাগজ নয়; এটি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার ইতিহাসের সংবেদনশীল দলিল। এই তথ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকে তাঁর দুর্বলতা, ভয়, এমনকি সামাজিক মর্যাদার সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলোও।
তাই প্রেসক্রিপশনকে সুরক্ষিত রাখা কেবল আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, এটি চিকিৎসার নৈতিকতার অন্যতম মূলভিত্তি। বাস্তবে দেখা যায়, অনেক সময় কোম্পানির স্বার্থে বা সেলস টার্গেটের কারণে প্রেসক্রিপশন কপি সংগ্রহ করা হয়। রোগীর অজান্তে তাঁর গোপনীয়তা ভঙ্গ করা হয়—যা কেবল পেশাগত সীমালঙ্ঘন নয়, বরং মানবিক আস্থার ওপর আঘাত। রোগীর সম্মতি ছাড়া তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো তথ্য ব্যবহার বা প্রকাশ করা উচিত নয়। এই সীমারেখা ডাক্তার, কোম্পানি প্রতিনিধি ও ফার্মাসিস্ট—সবারই কঠোরভাবে মেনে চলা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ বনাম অন্যান্য দেশ
বাংলাদেশে অনুমোদিত ঔষধ কোম্পানির সংখ্যা ২৫০টিরও বেশি। ডাক্তাররা এখানে যেকোনো অনুমোদিত কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন। কিন্তু সিস্টেমিক দুর্নীতি, নিয়ন্ত্রণের ফাঁকফোকর এবং অপ্রতুল তদারকি রোগীর জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে রোগী নিশ্চিত হতে পারেন না—হাতে পাওয়া ওষুধটি সত্যিই নিরাপদ কি না।
তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, ভারত ও জাপানের মতো দেশে ডাক্তাররা স্বাধীনভাবে যেকোনো কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন, কিন্তু প্রতিটি ওষুধ কঠোর পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্য দিয়ে বাজারে আসে। রোগী নিশ্চিন্ত থাকেন—প্রতিটি পণ্য নিয়ন্ত্রিত এবং নিরাপদ। অন্যদিকে, বাংলাদেশে সচেতনতা ও সঠিক তদারকি না থাকলে রোগী সহজেই ভেজাল ওষুধের শিকার হতে পারেন।
অতএব, শুধু অনুমোদনের সংখ্যা নয়, প্রয়োজন একটি শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক স্বাস্থ্যব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, তদারকি এবং রোগীর নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পরিশ্রম
চিকিৎসক এবং কোম্পানি প্রতিনিধিরা সহজভাবে এই পেশায় প্রবেশ করেননি। বছরের পর বছর কঠোর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাঁরা দক্ষতা অর্জন করেন। নতুন ওষুধের বৈশিষ্ট্য বোঝানো, রোগীর সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা—এ সবই তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের অংশ।
একজন ডাক্তার যখন রোগীর জীবন রক্ষার জন্য সঠিক ওষুধ নির্বাচন করেন, তখন সেটি শুধু পেশাগত দায়িত্ব নয়; এটি নৈতিক দায়বোধের প্রকাশ। একইভাবে, কোম্পানি প্রতিনিধিরাও প্রচলিত নিয়ম মেনে রোগীর মঙ্গলের জন্য তথ্য ভাগাভাগি করেন। তাঁদের পরিশ্রম ও সততা না থাকলে চিকিৎসা ব্যবস্থার কাঠামোই ব্যর্থ হয়ে যেত।
তাহলে শুধুমাত্র ব্যক্তির উপর দোষ চাপানো ঠিক হবে না। সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত সততার সঙ্গে একটি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ স্বাস্থ্যব্যবস্থার সমন্বয়।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
ভেজাল ওষুধ বা নিম্নমানের চিকিৎসা কেবল আধুনিক সমস্যা নয়। মধ্যযুগীয় ইউরোপে খাবার ও ওষুধের ভেজালের কারণে মৃত্যুর ঘটনা থেকে “Apothecary Laws” চালু হয়েছিল। এ আইনগুলো রোগীর সুরক্ষা ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করেছিল।
বাংলাদেশের উপনিবেশকালে নীলচাষীদের জন্যও নকল ওষুধ এবং ভেজাল খাবারের সমস্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, এটি মানবসভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাসের অংশ। তবে যুগ পরিবর্তন সত্ত্বেও, সঠিক নিয়ম-নীতি ও সতর্ক নজরদারি না থাকলে সমস্যা পুনরায় ফিরে আসে। এ ইতিহাস শেখায়—সিস্টেমের দুর্বলতা ও নৈতিক দায়িত্বের অভাব কেবল ব্যক্তির নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য বিপদ ডেকে আনে।
বিবেক ও নৈতিক প্রশ্ন
ওষুধ জীবন রক্ষাকারী। যদি ওষুধই জীবন নাশের কারণ হয়, মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে—ডাক্তার, বিক্রেতা নাকি কোম্পানিকে? যদি দেশে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির বীজ রোপণ করা হয়, তখন ঠিক কাদের থেকে সঠিক চিকিৎসা আশা করা যাবে?
যে ব্যক্তি ভেজাল ওষুধ বিক্রি করে, তিনিও এক একজন বাবা-মা। তবে কি তিনি ভেবেছেন অন্যের পরিবারও তার মতোই স্নেহ-ভালোবাসার উপর টিকে আছে? যদি তিনি এক মুহূর্তের জন্য ভাবতেন যে তাঁর সন্তানকেও কোনোদিন এই ভেজাল ওষুধ গিলে নিতে হতে পারে, তবে কি তিনি একই পথে হাঁটতেন?
বিবেক জাগ্রত হলে বোঝা যেত—অন্যের সন্তানের কান্না আর নিজের সন্তানের হাসির মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। আর এই উপলব্ধিই হতে পারে পরিবর্তনের প্রথম পদক্ষেপ।
দুনিয়ার বিচার
যদি আমরা জেনেশুনে এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকি, তাহলে কি মনে হয় সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ফলাফল শুধুই পরকালে ভোগ করতে হবে? না—ফল দুনিয়াতেই আসে। মানুষ অসুস্থ হয়, অকালে প্রাণ হারায়, পরিবার শোকে ডুবে যায়, সমাজ হারায় কর্মক্ষম মানুষ ও মানবিক মূল্যবোধ। এটাই দুনিয়ার বিচার—যেখানে অন্যের ক্ষতি আসলে আমাদের নিজেদের জীবন ও সমাজকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সমাধানের আহ্বান
কষ্ট আমরা করি নিজের পরিবারের জন্য। অন্যেরাও তাদের পরিবারের জন্য একইভাবে কষ্ট করে। কষ্টই যখন করি, তখন হালাল উপায়ে উপার্জন করব না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারে সমাধান।
ব্যক্তিগত বিবেক সচেতন হলে, ওষুধ ও খাদ্যে ভেজাল রোধে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। আমাদের নীতিনির্ধারক, নিয়ন্ত্রক এবং পেশাজীবীদের মিলিত প্রচেষ্টা দরকার—এবং প্রতিটি নাগরিককেও সতর্ক ও দায়বদ্ধ হতে হবে।
শেষ বার্তা
পরকালের বিচার নিশ্চিত, কিন্তু দুনিয়ার বিচারও অস্বীকারযোগ্য নয়। ভেজাল খাবার বা নকল ওষুধের কারণে যদি আজই একটি প্রাণ ঝরে যায়, সেটি কি কেবল পরকালের সাজা? না, এটি বর্তমানের কঠিন বাস্তবতা।
তাই “সব সাজাই কি মৃত্যুর পরে হবে” ভাবনা আমাদের নীরবে বসিয়ে দেয়। সত্য হলো—আজই যদি আমরা বিবেকবান ও দায়িত্বশীল হই, তাহলে কালকের প্রজন্ম একটি নিরাপদ সমাজ পাবে।
রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। Rahman.Mridha@gmail.com