মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেবাকে আরও সুরক্ষিত করতে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এর ব্যবহার প্রতিরোধে ধারাবাহিক কর্মশালার অংশ হিসেবে এবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ” শীর্ষক কর্মশালা।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ এবং বিকাশের উদ্যোগে পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে দিনব্যাপী এই কর্মশালায় জেলা পুলিশের ১২০ জন তদন্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। অপরাধী চক্র সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য কীভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের শনাক্ত করা ও আইনের আওতায় আনা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয় এই কর্মশালায়।
এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত বিকাশের নিয়মিত এই আয়োজনে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ হাজার ৫০০ তদন্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন।
চট্টগ্রামে কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. আহসান হাবিব পলাশ, বিপিএম-সেবা। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম (বার), বিকাশের উপদেষ্টা ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অব.) ড. মো. নাজিবুর রহমান, এনডিসি এবং ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মেজর এ কে এম মনিরুল করিম (অব.) সহ জেলা পুলিশ চট্টগ্রাম ও বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রযুক্তির ব্যবহার করে গ্রাহকের হারানো টাকা অনুসন্ধানের কৌশল, ডিজিটাল লেনদেন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের উপায়, এবং তদন্তের প্রয়োজনে বিকাশের কর্মকর্তাদের সাথে কীভাবে তদন্ত কর্মকর্তারা সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন-এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় কর্মশালাটিতে। এছাড়া, কোনো অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হওয়াকালীন তৎক্ষণাৎ কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, তা নিয়েও এই কর্মশালাতে আলোকপাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল লেনদেনে প্রতিটি লেনদেন মনিটর ও ট্র্যাক করা যায়। ফলে পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, পিবিআই সহ সকল তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া নির্ভুলভাবে সম্পাদন করা সম্ভব হয়। এ বিষয়ে বিকাশ ২০১৭ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এর অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ” শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে আসছে।
কাফি