নিলামে গ্রহণযোগ্য দর না পাওয়ায় বিগত আওয়ামী লীগ আমলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩০টি গাড়ি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গাড়িগুলো সরকারকে ব্যবহারের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
চট্টগ্রাম বন্দর অডিটোরিয়ামে ‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্যরা, যাদের অধিকাংশই ছিলেন আওয়ামী লীগের। ওই বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ফলে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে এনবিআর। এরপর শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়িগুলো আর ছাড় করেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সরকারকে গাড়িগুলো দিয়ে দেবো। সরকার এগুলো ব্যবহার করবে। সরকারের পরিবহন পুলে যাবে। আমরা নিলাম ডাকলেও খুবই অল্প দাম উঠেছে। নিলামের টাকাটাও সরকারের কোষাগারে আসবে, আবার সরকারকেই এসব গাড়ি কিনতে হবে অনেক দাম দিয়ে। তাই, আমরা জাতীয় স্বার্থ চিন্তা করে এসব গাড়ি সরকারের পরিবহন পুলকে দিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জানা গেছে, সাবেক সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৫১টি গাড়ি আমদানি করেছিলেন। এর মধ্যে সাতটি গাড়ি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে-পরে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। বাকিগুলোর মধ্যে ২৪টি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সেই নিলামে অংশ নিয়ে আগ্রহীরা গাড়িভেদে সর্বোচ্চ ১ লাখ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর দিয়েছেন। ১০টি গাড়ির জন্য কোনও দরই জমা পড়েনি। অথচ প্রতিটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ফলে নিলামে যে দর উঠেছে, তাতে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি। এখন সেগুলো সরকারের মালিকানায় যাচ্ছে।