ক্যাটাগরি: রাজনীতি

ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনরায় আনতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগগুলো নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এসব সংস্কার বা দেশ কিভাবে চলবে, তার সব প্রস্তাবনা বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচিতে অনেক আগেই দিয়ে রেখেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবনাগুলোর ৯৫ ভাগই আমাদের দলের ৩১ দফায় রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে, এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। জনগণের রাজনৈতিক, ভোটের, বেঁচে থাকার, কর্মসংস্থান, নারী, শিক্ষা-চিকিৎসা, এবং কৃষক ও শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

আগামী নির্বাচনে নেতাকর্মীদের করণীয় প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে ৩১ দফার ভিত্তিতে আমাদের জনরায় নিয়ে আসতে হবে। এ জন্য ধানের শীষের প্রতিটি কর্মী এবং জাতীয়তাবাদের প্রতিটি সমর্থককে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই মহান সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”

তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, “স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও অদৃশ্য অপশক্তি মাঝে মাঝে মাথা তুলছে। আমরা যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ইস্পাতের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, জনগণের কাছে যেতে পারি, তাহলেই নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে সফল জনরায় আনতে পারব।”

তিনি আরও বলেন, সবাই যেন সচেতন থাকে এবং দলের নামে কেউ কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ায়। জনগণের পাশে থেকে জনসেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

বক্তব্যের শেষে তিনি দুটি বিষয়ে নেতাকর্মীদের শপথ নিতে বলেন:

১. দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকা।

২. দলের নামে কেউ যেন ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে না পারে।

এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে তার প্রতিজ্ঞাকে সমর্থন জানান।

দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্মেলন উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এবং আরও অনেক কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা। এই সম্মেলনে ১৩টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভার মোট ২ হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট দেবেন।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার