টেলিকম ও প্রযুক্তি
ভারতে ভোডাফোন কি বন্ধ হয়ে যাবে?

ভারতের ভোডাফোন আইডিয়ার লোকসানের বোঝা আগেই ছিল। তার উপরে চেপে বসল কেন্দ্রকে বকেয়া মেটানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। সব মিলিয়ে বড় ধরনের সঙ্কটে পড়েছে টেলিকম সংস্থা ভোডাফোন আইডিয়া।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট টেলিকম সংস্থাগুলিকে মাসখানেক সময় দিলেও কেন্দ্রের নির্দেশ, আজ অর্থাৎ, শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যেই মেটাতে হবে বকেয়া ১ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। যে নির্দেশে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ভোডাফোন আইডিয়া। কারণ, বিপুল পরিমাণ লোকসানের বোঝায় জর্জরিত ভোডাফোন আইডিয়াকে মেটাতে হবে সবচেয়ে বেশি ৪৪ কোটি টাকা। গোটা ঘটনায় জেরে শেয়ার বাজারেও পড়তির দিকে ভোডাফোন আইডিয়ার দর। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর দুপুর আড়াইটে নাগাদ ভোডাফোনের শেয়ারদর পড়ে যায় ১৬.৬৭ শতাংশ।
শুক্রবার ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া, টাটা টেলিসার্ভিসেস-সহ দেশের বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলিকে অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেফিনিউ (এজিআর) হিসাবে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্যে রয়েছে লাইসেন্স ফি বাবদ ৯২ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা এবং স্পেকট্রাম ফি বাবদ ৫৫ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৭ মার্চ, পরর্বতী শুনানির আগেই টেলিকম দফতরের কাছে সেই বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে বিভিন্ন টেলি সংস্থাকে। এবং এই নির্দেশ বলবৎ না করতে পারলে ওই সংস্থাগুলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর-সহ শীর্ষ কর্তাদের পরবর্তী শুনানির সময় আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
যা শুনে চিন্তার ভাঁজ ভোডাফোন আইডিয়ার শীর্ষ কর্তাদের কপালে। গত ডিসেম্বরে সংস্থার চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা সংবাদ মাধ্য্যমকে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া মেটানো তাঁর সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয়। এমনকি, সে ক্ষেত্রে সংস্থা বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফল ঘোষণা করে সংস্থার এমডি তথা সিইও রবীন্দ্র টক্কর জানিয়েছেন, ভোডাফোন আইডিয়ার ক্ষতির অঙ্ক ৬ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে যা ছিল ৫ হাজার ৫ কোটি টাকা। এই আবহে কী ভাবে এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া মেটাবে ভোডাফোন আইডিয়া, তা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘কিম ইং সিকিউরিটিজ’-এর বিশ্লেষক নীরব দালালের সাফ কথা, “ভোডাফোনের কোনও আশাই নেই।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা ছাড় দিলে তা-ও বা আশা ছিল। তবে এই মুহূর্তে বকেয়া মেটানোর মতো অবস্থায় নেই ভোডাফোন।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে আইসিটি খাতে

আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বেড়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে ২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিলো ১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে আইসিটি খাতে ৪৫২ কোটি টাাকর বরাদ্দ বেশি রাখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তৃতার এবারের শিরোনাম ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’। বাজেটেও এবার তথ্য প্রযুক্তি খাতকে বেশি প্রধান্য দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের সরকারের বিশেষ অঙ্গীকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে দেশে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো দেশব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে। এর ব্যাপক ও বহুমুখী ব্যবহারে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে, দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে এবং সামাজিক গতিশীলতা বেড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের কাজ শুরু করেছি।”
তিনি বলেন, “দেশের জনগণকে স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং সহজে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা হবে ‘স্মার্ট গভর্নমেন্ট’ এর মূল লক্ষ্য। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের উপযোগী প্রতিষ্ঠান যেমন- ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার তৈরি এবং সেবা প্রদান পদ্ধতি যেমন-তথ্য বাতায়ন পোর্টাল, মাইগভ প্লাটফর্ম, ই-নথি, ই-নামজারি, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ইত্যাদি উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করছি আমরা। স্মার্ট গভর্নমেন্ট এর আওতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সকল কাজে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে দ্রুততম সময়ে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করবেন।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
শীর্ষ ধনীর মুকুট ফিরে পেলেন ইলন মাস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এসেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। বুধবার (৩১ মে) ফরাসি টাইকুন বার্নার্ড আর্নল্টকে পেছনে ফেলে বিশ্বের এক নম্বর ধনীর খেতাব পুনরুদ্ধার করেছেন টেসলা সিইও।
এদিন প্যারিস ট্রেডিংয়ে আর্নল্টের লাক্সারি সংস্থা এলভিএমএইচের ২ দশমিক ৬ শতাংশ দরপতন হলে তার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতেও টান পড়ে। এর ফলে ধনীর তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে নেমে যান তিনি। আর শীর্ষে উঠে আসেন টুইটারের বর্তমান মালিক ইলন মাস্ক।
গত ডিসেম্বরে মাস্কের কাছ থেকেই শীর্ষ ধনীর খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ৭৪ বছর বয়সী আর্নল্ট। তবে এরপর থেকে বেশ কয়েকবার সম্পদের ব্যবধানে একে অপরকে ছাপিয়ে যান তারা।
আর্নল্ট ফরাসি ব্যবসায়িক গ্রুপ ‘মোয়েত হেনেসি- লুই ভুটন’ বা এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী। ফ্যাশন, জুয়েলারি, অ্যালকোহলের বাজারে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে পরিচিত কিছু বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের মালিক এই এলভিএমএইচ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লুই ভুটন, ট্যাগ হিউর, সেফোরা, ডম পেরিগনন, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর, ফেন্ডি, গিভেঞ্চি, মার্ক জ্যাকবস, স্টেলা ম্যাককার্টনি, লোওয়ে, লোরো পিয়ানা, কেনজো, সেলিন, সেফোরা, প্রিন্সেস ইয়টস, বুলগারি, টিফানি অ্যান্ড কোং প্রভৃতি।
বিপরীতে, মার্কিন ধনকুবের ইলন রিভ মাস্ক বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা টেসলার প্রতিষ্ঠাতা, রকেট কোম্পানি স্পেসএক্সের সিইও এবং প্রধান প্রকৌশলী। বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, নিউরালিংক এবং ওপেন এআই’র সহপ্রতিষ্ঠাতাও তিনি। সম্প্রতি সোশ্যালি মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে সেটিরও প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মাস্ক।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দাভাবের জেরে বিলাসবহুল খাতের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ম্লান হতে শুরু করেছে। গত এপ্রিলের পর থেকে এলভিএমএইচের শেয়ারের দর প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে। একপর্যায়ে মাত্র একদিনে ১১০ কোটি ডলার সম্পদ হারান আর্নল্ট।
ঠিক তার উল্টো অবস্থা মাস্কের। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৩০ কোটি ডলারের বেশি লাভ করেছেন তিনি। মাস্কের প্রায় ৭১ শতাংশ সম্পদই টেসলা-নির্ভর। এ বছর গাড়িনির্মাতা সংস্থাটির শেয়ারের দর ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। ফলে মাস্কের মোট সম্পত্তিও বড় লাফ দিয়েছে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের হিসাবে, বর্তমানে শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৯ হাজার ২০০ কোটি ডলার। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্নল্টের মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
স্যামসাংকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে ফায়ার-বোল্ট

ওয়্যারেবল ডিভাইসের মধ্যে স্মার্টওয়াচের বৈশ্বিক বাজারে দ্বিতীয় স্থান দখলে নিয়েছে ভারতের ব্র্যান্ড ফায়ার-বোল্ট। অ্যাপলের পর স্যামসাং দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলে এবার ফায়ার-বোল্ট তা দখলে নিয়েছে। উত্তর আমেরিকায় স্যামসাংয়ের ডিভাইসের চাহিদা থাকলেও এর বাইরে পণ্য বাজারজাতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটি বড় ধরনের বাধার মুখে পড়েছে। এতে ফায়ার-বোল্টের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে ফায়ানর-বোল্টের বাজার হিস্যা ৯ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। স্যামসাংয়ের বাজার হিস্যাও ৯ শতাংশে ছিল। দুটি কোম্পানির মধ্যে এ পার্থক্যই ফায়ার-বোল্টকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টকে ছাড়িয়ে যেতে সহায়তা করেছে।
অন্যদিকে স্মার্টওয়াচের বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে অ্যাপল। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটির বাজার হিস্যা ছিল ৩২ শতাংশ। চলতি বছরের একই সময় তা কমে ২৬ শতাংশে এসেছে। চীনের বাজারে হুয়াওয়ের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। লাটাম, এমইএ ও ভারতের বাজারে পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কোম্পানিটির বাজার হিস্যা কমে ৯ শতাংশের নিচে চলে গেছে। ফলে সামগ্রিকভাবেও হুয়াওয়ে স্মার্টওয়াচের বৈশ্বিক বাজারে অবস্থান তৈরি করতে বা ধরে রাখতে পারেনি। ভারতের বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্টওয়াচের বাজার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আর এটি ফায়ার-বোল্টের বিকাশকে চিহ্নিত করছে। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে স্মার্টওয়াচের বাজার ছিল ১২ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তা ২৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ভারতের বাজারে ফায়ার-বোল্টের আধিপত্য স্যামসাংয়ের জায়গা দখলে নিতে সহায়তা করেছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট ও বিশ্লেষকদের।
বিশ্লেষকদের মতে, ক্রয়ক্ষমতা, গ্রাহকদের উচ্চচাহিদা, বিভিন্ন দামের স্মার্টওয়াচ প্রাপ্যতার বিষয় ভারতে স্মার্টওয়াচের বাজার বিস্তারে সহায়ক ছিল। ফায়ার-বোল্ট মূলত বিভিন্ন দামে ভারতের গ্রাহকের জন্য একাধিক মডেলের স্মার্টওয়াচ বাজারজাত করেছে। যে কারণে বিক্রি বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানির প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
টেলিগ্রাম থেকে আয়ের ৪ উপায় জেনে নিন

ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দিন দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তো শুধু ইউটিউব, ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ নয়, টেলিগ্রাম থেকেও প্রচুর আয়ের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেকে সেই পদ্ধতি জানেন না। এক নজরে দেখে যাক কীভাবে টেলিগ্রাম থেকে আয় করা সম্ভব।
চ্যানেল তৈরি করুন
সবার কাজে লাগে এমন একটি বিষয় নিয়ে চ্যানেল বানান। তাতে কন্টেন্ট আপলোড করুন নিয়মিত। চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে হলে একটি মূল্য ধার্য করুন। এতেই বাড়বে আয়ের পরিমাণ।
চ্যানেলে অ্যাড দিন
চ্যানেলে অ্যাড দিয়ে টেলিগ্রাম থেকে প্রচুর আয় করা সম্ভব। ইদানিং টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আপনার চ্যানেলটি যারা সাবস্ক্রাইব করবে, তাদের ওই বিজ্ঞাপন দেখাবে। এর ফলে লাভ হবে আপনার।

ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম অ্যাসিট্যান্ট
টেলিগ্রাম থেকে অর্থ আয় করতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারেন আপনি। একজন ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে আপনাকে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের সাহায্যের করতে হবে। এর জন্য আপওয়ার্ক বা ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে প্রথমে। এই কাজ করতে পারলেই মোটা টাকা আয়ের সুযোগ আছে।
অনলাইন ক্লাস
টেলিগ্রামের মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন ক্লাস করানো যায়। এর জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। তারপর সেখানে ছাত্রছাত্রীদের যোগ করুন। একবার যোগ হলে তারা সহজেই আপনার পোস্টগুলো দেখতে পারবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের বড় হুমকি ডিপ ফেক প্রযুক্তি

কোনো একজন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার চেহারা ব্যবহার করার প্রযুক্তি হলো ডিপ ফেক। এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের ব্যবহারই রয়েছে। তবে নেতিবাচক ব্যবহারের কারণে প্রযুক্তি খাতে বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে এটি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথের মতে, এআই খাতে ডিপ ফেক বড় ধরনের হুমকি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে ওয়াশিংটনে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ওপেনএআইর চ্যাটজিপিটির আগমন এ খাতকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই কোন ছবি-ভিডিও আসল আর কোনগুলো নকল বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে তা শনাক্তে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান ব্র্যাড স্মিথ।
তিনি বলেন, ‘ডিপ ফেক বা নকল মুখচ্ছবি ব্যবহারের যে বিষয় সে সম্পর্কিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে যাচ্ছি। রাশিয়া, চীন ও ইরান সরকার এমন ধরনের যে সাইবার অপরাধ পরিচালনা করছে সে বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এসব বিষয়ে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এআই ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের প্রতারিত করার এ অভিপ্রায় ও বৈধ বিষয়বস্তুর পরিবর্তন রোধে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’ ব্র্যাড স্মিথ বলেন, ‘রফতানি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের নতুন প্রজন্মের নীতিমালা প্রবর্তন করতে হবে। অন্তত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের মডেলগুলো যেন হাতছাড়া না হয় সেজন্য রফতানি নিয়ন্ত্রণে বিবর্তন আনতে হবে। যাতে ক্ষতির উদ্দেশ্যে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার না হয়।’
বর্তমানে বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ছোট কোম্পানিগুলোও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর প্রযুক্তি আনতে কাজ করছে। এসব এআইয়ের ব্যবহার ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কোন ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে সে বিষয়ে ওয়াশিংটনের আইন প্রণেতারা কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টাও চালিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ওপেন এআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান প্রথমবার কংগ্রেসে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন। সে সময় তিনি সিনেটের একটি প্যানেলকে নির্বাচনে এআইয়ের হস্তক্ষেপকে বড় ধরনের চিন্তার বিষয় বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি দেয়া এক ব্লগপোস্টে স্মিথ এআইয়ের মাধ্যমে কোনো সমস্যা তৈরি হলে একজন মানুষকেই জবাবদিহি করতে হবে বলে জানান। পাশাপাশি এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরির জন্য আইনপ্রণেতাদের কাছে আহ্বান জানান। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পানি সরবরাহ লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর জন্য। এতে মানুষের হাতেই পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। শক্তিশালী এআই মডেল উন্নয়নকারীদের নো ইওর কাস্টমার স্টাইল সিস্টেম ব্যবহারের আহ্বানও জানান। ফলে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া ভিডিও বা অন্য কোনো কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকা যাবে।