বাংলাদেশের অগ্রগামী রোটারি ক্লাবগুলোর অন্যতম রোটারি ক্লাব অব ঢাকা নর্থ ওয়েস্ট তাদের ৫০তম ইনস্টলেশন অনুষ্ঠান এবং সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে।
গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ক্লাবে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এটি উদযাপন করা হয়। এ আয়োজনের মাধ্যমে ক্লাবটির ১৯৭৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা এবং একই বছরের ৩০ জুন চার্টারপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ সেবাযাত্রা ও নেতৃত্বের সাফল্যকে স্মরণ করা হয়। তৎকালীন জেলা গভর্নর ইফতেখারুল আলম, পিএইচএফ-এর দিকনির্দেশনায় এবং রোটারি ক্লাব অব ঢাকা নর্থের স্পন্সরে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল বাংলাদেশের ১৩তম ও ঢাকার ৪র্থ রোটারি ক্লাব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাস্ট প্রেসিডেন্ট লায়লা রোজী, আর কো-কনভেনার ও উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রোটারিয়ান মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল। এসময় রোটারিয়ান, অতিথি, অংশীদার ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরও বর্ণময় করে তোলে, যেখানে অর্ধশতকব্যাপী ক্লাবটির “সার্ভিস এবোভ সেলফ”-এর উত্তরাধিকারকে সম্মান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে নতুন বোর্ড অব ডিরেক্টরসের দায়িত্বভার গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। রোটারিয়ান ইঞ্জি. আব্দুর রহিম চৌধুরী ২০২৫–২৬ রোটারি বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সঙ্গে ছিলেন সেক্রেটারি শহীদ সাদ উল্লাহ এবং নতুন বোর্ড সদস্যবৃন্দ। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আইপিপি অরজুদা রহমান এবং বিদায়ী সেক্রেটারি রোটারিয়ান শারমিন রহমান-কে তাদের অসাধারণ সেবা ও অবদানের জন্য বিশেষভাবে সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সদস্য ও অবদানকারীদের বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ক্লাবের সেবার পরিধি আরও সম্প্রসারিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সাঈদ এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
পূর্বতন ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ, স্পন্সর, পার্টনার এবং সমর্থকদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ নৈশভোজের মাধ্যমে।
এসময় প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ইঞ্জি. আব্দুর রহিম চৌধুরী বলেন, এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য যেমন গৌরবের, তেমনি একটি বড় দায়িত্বও। আমরা রোটারির মূল মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে যাব।
১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত রোটারি ক্লাব অব ঢাকা নর্থ ওয়েস্ট বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, যুবশক্তি উন্নয়ন ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রোটারি ইন্টারন্যাশনালের অংশ হিসেবে—যার রয়েছে বিশ্বব্যাপী ১.৪ মিলিয়ন সদস্য—ক্লাবটি শান্তি প্রতিষ্ঠা, রোগ প্রতিরোধ, শিক্ষা সহায়তা, স্থানীয় অর্থনীতি বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।