চলতি বছর হজ মৌসুমে চিকিৎসক দলের সঙ্গে সৌদি আরব গিয়ে সেখানে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এ চিঠি পাঠানো হয়। এ সিনিয়র স্টাফ নার্সের নাম মো. মারুফ হোসেন সিকদার। তিনি মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় চিঠিতে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের (১৪৪৬ হিজরি) হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয় ব্যাচে মদিনায় পদায়ন করা হজ চিকিৎসক দলের সদস্য সিনিয়র স্টাফ নার্স মারুফ সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন শেষে টিমের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মদিনা থেকে মক্কায় আসেন। গত ১০ জুলাই যথারীতি টিমের সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে ফেরার জন্য জেদ্দা বিমানবন্দরে আসেন। কিন্তু দেশে না ফিরে বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে যান।
সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে তার দেশে ফেরার বিষয়ে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়। বিভিন্নভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং জরুরিভিত্তিতে দেশে ফেরার জন্য অনুরোধ করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ২৬ আগস্ট জেদ্দায় বাংলাদেশ হজ অফিসে আসেন। হজ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং টিকিট না থাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট সংগ্রহ করে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ২৯ আগস্ট তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
হজ সমন্বিত চিকিৎসক দলের সরকারি আদেশের শর্তাবলি ১০ অনুযায়ী টিমের সদস্যদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে ‘সরকারি চাকুরি আইন, ২০১৮’ প্রযোজ্য হবে। দায়িত্বে অবহেলা, শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ অসদাচরণের কারণে এ আইন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ বরাবরে সুপারিশ করা হবে- বলে উল্লেখ রয়েছে। এ নার্স দেশে ফেরত না আসায় ইতোমধ্যে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নার্স হজ শেষে অবৈধভাবে সৌদি আরবে অবস্থান করায় সৌদি সরকার অসন্তোষ প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তাছাড়া ভবিষ্যতে হজ সমন্বিত চিকিৎসক টিম পাঠাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
তাই সিনিয়র স্টাফ নার্স মারুফ হোসেন সিকদার সৌদি আরব থেকে নির্ধারিত সময়ের পর বাংলাদেশে ফেরত আসায় তার বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।