ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

ঢাকায় আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা শুরু ৩০ অক্টোবর

আগামী ৩০ অক্টোবর ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম পর্যটন মেলা ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার’ (বিটিটিএফ)। তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে টোয়াব এই তথ্য জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে মেলার প্রেক্ষাপট ও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বর্ণনা করেন টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তাসলিম আমিন শোভন। তিনি জানান, এবারের মেলা হবে ১৩তম সংস্করণ এবং মেলাটি আগের সব বছরের তুলনায় অনেক বৃহৎ পরিসরে, আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; পর্যটন করপোরেশন; ট্যুরিজম বোর্ড; ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং এফবিসিসিআই।

তিনি জানান, এ ছাড়া প্রথমবারের মতো কোনো মেলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। মেলায় গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক হোটেল চেইন প্রতিষ্ঠান আইএসজি, হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে আছে ইন্টার কন্টিনেন্টাল ঢাকা, ক্রাউন প্লাজা গুলশান, হলিডে ইন ঢাকা।

তাসলিম আমিন শোভন জানান, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান ও শ্রীলঙ্কা এর জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে এবং আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে মেলায় অংশগ্রহণের আলোচনা চলমান রয়েছে। এছাড়াও মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, এবারের মেলায় মেডিকেল ট্যুরিজমের জন্য আলাদা জোন থাকবে। মেলায় ৪টি হলে প্যাভিলিয়নসহ ২২০ টি স্টল থাকবে। এবারের মেলায় ২৫০ প্রদর্শক, ২০টি দেশের অংশগ্রহণ, ২ হাজার বাণিজ্যিক প্রতিনিধি এবং ৫০ হাজার দর্শনার্থী উপস্থিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা বলেন, এ মেলা বাংলাদেশের পর্যটন সেক্টরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। দেশের পর্যটনের বিকাশে এই আয়োজনের গুরুত্ব অনেক। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সবাই এই আয়োজনের সঙ্গে আছি এবং এই আয়োজনকে সফল করে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবো।

সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর টেকসই উন্নয়ন এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। এবারের মেলা ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার