ক্যাটাগরি: পুঁজিবাজার

নতুন মার্জিন ঋণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে জনমত আহ্বান

পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এবং প্রান্তিক বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের সকল বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের মার্জিন ঋণের বিধিমালা রহিত করে ‘মার্জিন বিধিমালা ২০২৫’ নামের নুতন বিধিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। খসড়া বিধিমালাদ্বয় জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। মতামত অনুযায়ী, পরবর্তীতে চূড়ান্ত বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।

গত ১২ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৬৮তম কমিশন সভায় ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন) বিধিমালা, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদিত হয়।

বিষয়ে কমিশন থেকে জানানো হয়, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এবং প্রান্তিক বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের সকল বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে খসড়া বিধিমালাটি অনুমোদন করা হয়েছে। খসড়া বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে মার্জিন অর্থায়নে বিদ্যমান ঝুঁকিসমূহ(প্রাতিষ্ঠানিক ঝুঁকি, ক্রেডিট ঝুঁকি, পদ্ধতিগত ঝুঁকি, ইত্যাদি) এবং উক্ত ঝুঁকিসমূহ হ্রাসকরণ তথা যথাযথ মার্জিন অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে খসড়া বিধিমালাটি জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে খসড়া বিধিমালাটির উপর সংশ্লিষ্ট অংশীজন, বিনিয়োগকারী ও জনসাধারণের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি আহ্বান করা হয়েছে। জনমত যাচাই তথা অংশীজন বা সংশ্লিষ্টদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি গ্রহণের পর সার্বিক বিচার বিবেচনা পূর্বক প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন-পরিমার্জন করে বিধিমালাটি চূড়ান্ত করবে কমিশন।

বর্তমানে খসড়া বিধিমালাটি কমিশনের একটি প্রস্তাবনা যা সংশ্লিষ্টদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে চূড়ান্ত বিধিমালাটি সরকারি গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার