বাড়ির বিদ্যুৎ খরচ কমাতে যা করবেন

দৈনন্দিন ঘরের কাজ সহজ করতে আমরা অনেক বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করি। টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, টোস্টার, ইস্ত্রি, গিজার, হিটার মেশিনসহ আরও অনেক কিছু। তবে এগুলো ব্যবহারে কাজ সহজ হলেও মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দেখে মাথায় হাত পরে যায়।

তবে আপনি বাড়ির বিদ্যুৎ খরচ কমাতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কমাতে পারেন-

>> অনেক পুরোনো ডিভাইসগুলো বদলে নিতে পারেন। পুরোনো ডিভাইসগুলোতে বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলক বেশি হয়। বাড়ির ফ্যান, লাইট, ফ্রিজ, এসি ধীরে ধীরে বদলে নিন।

>> সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ পোড়ে বাল্ব বা টিউবলাইটে। লাইটের ক্ষেত্রে এলইডি লাইট ব্যবহার করতে পারেন। এটি কম ওয়াটেও বেশি আলো পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।

>> এসি যত্নে রাখুন, প্রতি পনেরো দিনে একবার এসির কনডেনসার কয়েল পরিষ্কার করলে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমে। তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখলে অতিরিক্ত লোড পড়ে না।

>> এসির হিটিং, ভেন্টিলেশন এবং এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফিল্টার বদলানো থেকে শুরু করে বছরে একবার সার্ভিসিং, অনেকটা বিদ্যুৎ খরচ বাঁচিয়ে দিতে পারে।

>> আধুনিক ফ্রিজ আর টিভির জন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের প্রয়োজন নেই, অথচ এগুলো মাসে ৩০-৪৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ টেনে নিতে পারে।

>> চার্জার, সেট-টপ বক্স বা টিভি প্লাগে লাগিয়ে রাখলে প্রতিমাসে ৫-১০ ইউনিট পর্যন্ত খরচ হয়। অনেকেই ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের স্যুইচ অফ করেন কিন্তু প্লাগ লাগানোই থাকে। এই অবস্থাতেও বিদ্যুৎ খরচ হয়। একে ‘ফ্যান্টম’ বা ‘স্ট্যান্ডবাই’ বলে। প্লাগ থেকে সুইচ অফ করে রাখলে কিছুটা খরচ বাঁচানো সম্ভব।

>> ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে। পাশাপাশি ফুল লোডে চালানো হচ্ছে কি না সেটা দেখাও গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে জামাকাপড় শুকনোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার না করে রোদে মেলে দিলেও অনেক বিদ্যুৎ বাঁচবে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার