চলতি বছরের জুলাই মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় জাপানে চালের দাম প্রায় ৯১ শতাংশ বেড়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) প্রকাশিত সরকারি তথ্য থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে আগের মাসগুলোর তুলনায় এই বৃদ্ধির হার কিছুটা কম, যা প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার জন্য স্বস্তির কিছু ইঙ্গিত দিতে পারে।
তবে ইশিবার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। চলতি বছর হওয়া নির্বাচনে তার জোট উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। মূলত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জন-অসন্তোষের কারণে বহু ভোটার তার দীর্ঘদিনের দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
চালের দাম হঠাৎ করে বাড়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ২০২৩ সালের অতি গরম গ্রীষ্মকাল, সরবরাহ সমস্যাসহ একটি মেগা ভূমিকম্পের সতর্কতা ঘিরে তৈরি হওয়া ভোক্তা আতঙ্ক ও অতিরিক্ত মজুত করার প্রবণতা।
জাপানের মূল মুদ্রাস্ফীতির হার জুলাইয়ে নেমে এসেছে ৩.১ শতাংশে, যা জুনে ছিল ৩.৩ শতাংশ। যদিও কিছুটা কমেছে, তবে এটি এখনো জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার ওপরে রয়ে গেছে।
তাজা খাবার বাদ দিয়ে মূল্যবৃদ্ধির এই হার বাজারের প্রত্যাশিত ৩.০ শতাংশের চেয়েও একটু বেশি। জ্বালানিও বাদ দিলে ভোক্তা মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৩.৪ শতাংশ, যা জুনের মতোই।
জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানুয়ারিতে শেষবার সুদের হার বাড়িয়েছিল, কিন্তু এরপর থেকে আর নতুনভাবে কড়াকড়ি আরোপ করেনি, কারণ তারা মনে করে বর্তমান মূল্যবৃদ্ধি অস্থায়ী, যেমন চালের দাম বৃদ্ধির মতো বিষয় দ্বারা প্রভাবিত।
ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের বিশ্লেষক অভিজিৎ সূর্য বলেন, যদিও আগামী কয়েক মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা শীতল হতে পারে, তবে তা ব্যাংক অব জাপানের অক্টোবরে আবার সুদের হার বাড়ানো থামাবে না।